আগাছায় পরিপূর্ণ সুন্দরবনের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, চিকিৎসার জন্য যেতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয়রা

- আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার
- / 17
উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়: বেহাল অবস্থায় সুন্দরবনের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র। নজর নেই প্রশাসনের। এখনও বৃষ্টি শুরু হয়নি অথচ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চারপাশে আগাছায় পরিপূর্ণ। বাড়ছে সাপের উপদ্রব।রাজ্যের সরকার যেখানে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে নজর দিচ্ছে সেখানে বেহাল অবস্থায় দিনের পর দিন চলে আসছে সুন্দরবনের কুলতলির ভুবনেশ্বরী প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি।
বাম আমলে নির্মিত ১১ শয্যা বিশিষ্ট প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলেও এই মুহূর্তে সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে ভয় পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চারিদিকে গাছ গাছালি লতা পাতায় ভরা। যে কোন সময় কীটপতঙ্গের আক্রমণও হতে পারে।
বিষাক্ত সাপের উপদ্রবও রয়েছে।সুন্দরবনের মৈপীঠ উপকূল থানার মৈপীঠ বৈকুন্ঠপুর ও গুড়গুড়িয়া ভুবনেশ্বরী পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল। এখানকার নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ মূলত মৎস্যজীবী।
এরা জঙ্গলে মধু সংগ্রহ করে, নদীতে মাছ কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। মাছ কাঁকড়া কিংবা জঙ্গলের মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনও মৎস্যজীবী বাঘের কবলে পড়লে তাদের আর রক্ষে নেই। দীর্ঘ ৩২ কিলোমিটার পথ পার করে তাদের জয়নগর কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়।
এই দীর্ঘ সময় লাগার কারণে অধিক রক্তক্ষরণে অনেক সময় ওই সমস্ত রোগী পথে মারা যান।স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে এই গ্রামীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নির্মিত হয়েছিল আর আজ তা শুধুমাএ রক্ষণাবেক্ষণার অভাবে নস্ট হয়ে যাচ্ছে। ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছে না এলাকার মানুষ।
এব্যাপারে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়দেব প্রধান বাবলু বলেন,গত শীতে পঞ্চায়েতের সামান্য কিছু ফান্ডে আমরা কিছুটা পরিষ্কারের কাজ করেছি।জয়নগর কুলতলি ব্লক হাসপাতাল থেকে কিছুটা সহায়তা পেলে কাজটা সম্পূর্ণ করা যেত।আমরা চাই এই গ্রামীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির বেহাল অবস্থা মুক্ত করতে। আগাছা মুক্ত করতে।তবে এ ব্যাপারে কুলতলি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অয়ন্তিকা মণ্ডল বিষয়টি দেখার প্রতিশ্রুতি দেন।তবে এলাকার মানুষ চান দ্রুত আগাছা মুক্ত করে সুষ্ঠু ভাবে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিক এই গ্রামীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।