২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শর্তসাপেক্ষে হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিলের অনুমতি দিল  হাইকোর্ট

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ মে ২০২৩, শুক্রবার
  • / 30

পারিজাত মোল্লা:  বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। এদিন ডিএ-র দাবিতে  রাজ্য সরকারি কর্মীদের মিছিল মহানগরের অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা হরিশ মুখার্জি রোডে করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে,  তবে তা শর্তসাপেক্ষে। আগামী ৬ মে ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রস্তাবিত এই মিছিল। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য এই মিছিলের বিরোধিতা করা হয়েছিল। কিন্তু শর্তসাপেক্ষে এই মিছিল ওই রাস্তা দিয়েই করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। আগামী ৬ মে হাজরা দমকল কেন্দ্র থেকে হরিশ মুখার্জি রোড ধরে ডিএন রোড হয়ে ডান দিক দিয়ে আশুতোষ মুখার্জি রোড দিয়ে এসপি মুখার্জি রোড হয়ে হাজরা মোড়ে এসে এই মিছিল শেষ হওয়ার কথা। তিনটে বিকল্প রুট মিছিলের জন্য দিলেও তাতে সায় দেয়নি আন্দোলনকারীরা। তারা এই রুট দিয়েই মিছিল করতে চায়। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার আদালতে জানিয়েছিল, -‘ওটা খুব স্পর্শ কাতর এলাকা। এছাড়া ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে’। এদিকে ওই এলাকায় মিছিল করতে গিয়ে যদি ভিড় ছড়িয়ে যায়, বিশৃঙ্খলা হয় তার দায়িত্ব কে নেবে? এই প্রশ্নও তোলে রাজ্য। তবে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার জানান, -‘ প্রতি একদিন অন্তর হাজরা মোড়ে ধর্না, বিক্ষোভ হয়। তাহলে হরিশ মুখার্জি রোড নিয়ে আপত্তি কেন? ‘এই প্রেক্ষিতেই শর্তসাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দিয়ে বিচারপতি জানান, -‘ যে রুট দেওয়া হয়েছে সেটা সবচেয়ে শান্ত এলাকা। তবে কোনও রকম অশান্তি হবে না সেই ভাবে মিছিল করতে হবে।  দুটো থেকে পাঁচটা নয়। একটা থেকে চারটে পর্যন্ত মিছিল করতে হবে। আর কু-মন্তব্য করা যাবে না, শান্তি বজায় রেখে মিছিল করতে হবে’।হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিল নিয়ে আপত্তি কেন? বৃহস্পতিবার শুনানিতে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। মিছিল শান্তিপূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ অনুযায়ী, -‘ আগামী ৬ মে হাজরা, দমকল কেন্দ্র থেকে হরিশ মুখার্জি রোড ও ডি এন রোড ধরে ডান দিক দিয়ে আশুতোষ মুখার্জি রোড হয়ে এসপি মুখার্জি রোড পেরিয়ে হাজরা মোড়ে এসে মিছিল শেষ করবেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

আরও পড়ুন: ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শর্তসাপেক্ষে হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিলের অনুমতি দিল  হাইকোর্ট

আপডেট : ৫ মে ২০২৩, শুক্রবার

পারিজাত মোল্লা:  বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থারের এজলাসে ডিএ আন্দোলনকারীদের মিছিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে। এদিন ডিএ-র দাবিতে  রাজ্য সরকারি কর্মীদের মিছিল মহানগরের অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা হরিশ মুখার্জি রোডে করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে,  তবে তা শর্তসাপেক্ষে। আগামী ৬ মে ডিএ আন্দোলনকারীদের প্রস্তাবিত এই মিছিল। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য এই মিছিলের বিরোধিতা করা হয়েছিল। কিন্তু শর্তসাপেক্ষে এই মিছিল ওই রাস্তা দিয়েই করার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। আগামী ৬ মে হাজরা দমকল কেন্দ্র থেকে হরিশ মুখার্জি রোড ধরে ডিএন রোড হয়ে ডান দিক দিয়ে আশুতোষ মুখার্জি রোড দিয়ে এসপি মুখার্জি রোড হয়ে হাজরা মোড়ে এসে এই মিছিল শেষ হওয়ার কথা। তিনটে বিকল্প রুট মিছিলের জন্য দিলেও তাতে সায় দেয়নি আন্দোলনকারীরা। তারা এই রুট দিয়েই মিছিল করতে চায়। এই বিষয়ে রাজ্য সরকার আদালতে জানিয়েছিল, -‘ওটা খুব স্পর্শ কাতর এলাকা। এছাড়া ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা রয়েছে’। এদিকে ওই এলাকায় মিছিল করতে গিয়ে যদি ভিড় ছড়িয়ে যায়, বিশৃঙ্খলা হয় তার দায়িত্ব কে নেবে? এই প্রশ্নও তোলে রাজ্য। তবে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার জানান, -‘ প্রতি একদিন অন্তর হাজরা মোড়ে ধর্না, বিক্ষোভ হয়। তাহলে হরিশ মুখার্জি রোড নিয়ে আপত্তি কেন? ‘এই প্রেক্ষিতেই শর্তসাপেক্ষে মিছিলের অনুমতি দিয়ে বিচারপতি জানান, -‘ যে রুট দেওয়া হয়েছে সেটা সবচেয়ে শান্ত এলাকা। তবে কোনও রকম অশান্তি হবে না সেই ভাবে মিছিল করতে হবে।  দুটো থেকে পাঁচটা নয়। একটা থেকে চারটে পর্যন্ত মিছিল করতে হবে। আর কু-মন্তব্য করা যাবে না, শান্তি বজায় রেখে মিছিল করতে হবে’।হরিশ মুখার্জি রোডে মিছিল নিয়ে আপত্তি কেন? বৃহস্পতিবার শুনানিতে প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। মিছিল শান্তিপূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশ অনুযায়ী, -‘ আগামী ৬ মে হাজরা, দমকল কেন্দ্র থেকে হরিশ মুখার্জি রোড ও ডি এন রোড ধরে ডান দিক দিয়ে আশুতোষ মুখার্জি রোড হয়ে এসপি মুখার্জি রোড পেরিয়ে হাজরা মোড়ে এসে মিছিল শেষ করবেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

আরও পড়ুন: ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে হিংসা