০৫ অগাস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজ্যের হাজিদের নিয়ে শেষ উড়ানটি এল কলকাতায়

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার
  • / 16

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ শুক্রবার রাজ্যের হাজিদের নিয়ে শেষ উড়ানটি কলকাতায় এসে পৌঁছল। এই বিমানে হাজির সংখ্যা ছিল ৪৪ জন। শনিবার সকালে হাজিদের ‘খোশ আমদেদ’ জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক ও মাদ্রাসা এডুকেশন দফতরের মন্ত্রী গোলাম রব্বানী, রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান সাংসদ নাদিমুল হক, হজ কমিটির কার্যনির্বাহি আধিকারি মুহাম্মদ নকি।

এদিন বিমানবন্দরে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শেষ হয়। মন্ত্রী গোলাম রব্বানী এবং হজ কমিটির চেয়ারম্যানেরা দোয়ার অনুষ্ঠানে শামিল হন। রাজ্য হজ কমিটির কার্যনির্বাহি আধিকারিক মুহাম্মদ নকি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দু’বছর হজযাত্রার কাজকর্ম হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এই বছর রাজ্য থেকে অন্যান্য দেশের মতো হজযাত্রীরা হজ সম্পন্ন করতে পবিত্রভূমি মক্কা এবং মদিনায় যায়। রাজ্য থেকে প্রথম উড়ান গিয়েছিল ১৬ জুন, শেষ হয় ১ জুলাই।

আরও পড়ুন: লাইফ এক মাদারি কা খেল বাবুয়া…………..

 

আরও পড়ুন: ৭ রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতায় এনআইএ তল্লাশি

হজ সম্পন্ন করে রাজ্যের হাজিরা গত ২৭ জুলাই প্রথম আসতে শুরু করেন। শনিবার সেই  সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। করোনা পরিস্থিতিতে এই বছর ৬৫ বছরের ঊর্দ্ধে ব্যক্তিদের হজযাত্রা নিষিদ্ধ ছিল। যার কারণে রাজ্য থেকে ৫২১৪ জন হাজি হজ সম্পন্ন করেন। এর মধ্যে ৩ জন হাজির ইন্তেকাল হয় মক্কা এবং মদিনায়। এছাড়াও কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে ওড়িশার ৩৮২ জন, ত্রিপুরার ১০০, ঝাড়খণ্ডের ১৪৩৩ জন, বিহারের ১৯০০ জন, মণিপুরের ২৯৫ জন এবং অসমের ৮৭ জন হজ সম্পন্ন করে ফিরে এসেছেন বলে জনাব নকি জানান।

আরও পড়ুন: কলকাতার আকাশে যিলহজ মাসের চাঁদ, ঈদ-উল-আযহা ৭ জুন

এদিন রাজ্য হজ কমিটির পক্ষ থেকে যে সমস্ত এজেন্সি হজ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানান। জনাব নকি বলেন, উত্তর ২৪ পরগণার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য ভবন, বিধাননগর কমিশনারেট, বিধাননগর পৌরসভা, বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা, কলকাতা পুলিশ, পরিবহণ দফতর, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রত্যেকের সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হজের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, দুই বছর এই কাজ সম্পন্ন হল। কোনও অসুবিধার সম্মুখীণ হতে হয়নি। প্রত্যেকের সহযোগিতায় এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পাশাপাশি রাজ্য সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। হজযাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিদিনই বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকেছেন রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক কিংবা সাংসদরা। শুক্রবার বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বন ও ভূমি কর্মাধক্ষ্য একেএম ফারহাদ, হাজি রহিম বক্স ওয়াকফ এস্টেট কমিটির সম্পাদক কুতুবউদ্দিন তরফদার, হজ কমিটির সদস্য রাকিবুল আজিজসহ অন্যান্য সদস্যরা।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্যের হাজিদের নিয়ে শেষ উড়ানটি এল কলকাতায়

আপডেট : ১২ অগাস্ট ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ শুক্রবার রাজ্যের হাজিদের নিয়ে শেষ উড়ানটি কলকাতায় এসে পৌঁছল। এই বিমানে হাজির সংখ্যা ছিল ৪৪ জন। শনিবার সকালে হাজিদের ‘খোশ আমদেদ’ জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিষয়ক ও মাদ্রাসা এডুকেশন দফতরের মন্ত্রী গোলাম রব্বানী, রাজ্য হজ কমিটির চেয়ারম্যান সাংসদ নাদিমুল হক, হজ কমিটির কার্যনির্বাহি আধিকারি মুহাম্মদ নকি।

এদিন বিমানবন্দরে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শেষ হয়। মন্ত্রী গোলাম রব্বানী এবং হজ কমিটির চেয়ারম্যানেরা দোয়ার অনুষ্ঠানে শামিল হন। রাজ্য হজ কমিটির কার্যনির্বাহি আধিকারিক মুহাম্মদ নকি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দু’বছর হজযাত্রার কাজকর্ম হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এই বছর রাজ্য থেকে অন্যান্য দেশের মতো হজযাত্রীরা হজ সম্পন্ন করতে পবিত্রভূমি মক্কা এবং মদিনায় যায়। রাজ্য থেকে প্রথম উড়ান গিয়েছিল ১৬ জুন, শেষ হয় ১ জুলাই।

আরও পড়ুন: লাইফ এক মাদারি কা খেল বাবুয়া…………..

 

আরও পড়ুন: ৭ রাজ্যের পাশাপাশি কলকাতায় এনআইএ তল্লাশি

হজ সম্পন্ন করে রাজ্যের হাজিরা গত ২৭ জুলাই প্রথম আসতে শুরু করেন। শনিবার সেই  সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। করোনা পরিস্থিতিতে এই বছর ৬৫ বছরের ঊর্দ্ধে ব্যক্তিদের হজযাত্রা নিষিদ্ধ ছিল। যার কারণে রাজ্য থেকে ৫২১৪ জন হাজি হজ সম্পন্ন করেন। এর মধ্যে ৩ জন হাজির ইন্তেকাল হয় মক্কা এবং মদিনায়। এছাড়াও কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে ওড়িশার ৩৮২ জন, ত্রিপুরার ১০০, ঝাড়খণ্ডের ১৪৩৩ জন, বিহারের ১৯০০ জন, মণিপুরের ২৯৫ জন এবং অসমের ৮৭ জন হজ সম্পন্ন করে ফিরে এসেছেন বলে জনাব নকি জানান।

আরও পড়ুন: কলকাতার আকাশে যিলহজ মাসের চাঁদ, ঈদ-উল-আযহা ৭ জুন

এদিন রাজ্য হজ কমিটির পক্ষ থেকে যে সমস্ত এজেন্সি হজ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেছেন তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানান। জনাব নকি বলেন, উত্তর ২৪ পরগণার জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য ভবন, বিধাননগর কমিশনারেট, বিধাননগর পৌরসভা, বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা, কলকাতা পুলিশ, পরিবহণ দফতর, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রত্যেকের সহযোগিতায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হজের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, দুই বছর এই কাজ সম্পন্ন হল। কোনও অসুবিধার সম্মুখীণ হতে হয়নি। প্রত্যেকের সহযোগিতায় এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

পাশাপাশি রাজ্য সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। হজযাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রতিদিনই বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকেছেন রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়ক কিংবা সাংসদরা। শুক্রবার বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বন ও ভূমি কর্মাধক্ষ্য একেএম ফারহাদ, হাজি রহিম বক্স ওয়াকফ এস্টেট কমিটির সম্পাদক কুতুবউদ্দিন তরফদার, হজ কমিটির সদস্য রাকিবুল আজিজসহ অন্যান্য সদস্যরা।