পুবের কলম প্রতিবেদক, ডায়মন্ড হারবার:  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় এবং ভাই বোনের একতার প্রতীক হিসাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হল রাখিবন্ধন। ডায়মন্ড হারবার মহকুমা জুড়ে দিনটিকে উদ্যাপন করল পথচলতি মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দল ও পুলিশ প্রশাসন৷ যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতর রাজ্যজুড়ে এদিন রাখিবন্ধন উৎসবের পাশাপাশি দিনটিকে সংস্কৃতি উৎসব হিসেবেও পালন করেছে৷

ডায়মন্ড হারবার ১নং ব্লকের সোনামুখী এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা পথচলতি ও স্থানীয় বাজারে দোকানদারদের হাতে রাখি বেঁধে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করে। সর্বধর্মের মানুষ সাড়ম্বরে মিলিত হয় এদিন৷

১৯০৫ সালে জুন মাসে লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গ আইন পাশ করে৷ এই আইন কার্যকরী হয় ১৬ অক্টোবর। বঙ্গভঙ্গ আইন রুখতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতা,  ঢাকা ও সিলেট থেকে হাজার হাজার হিন্দু-মুসলমান ভাই বোনকে আহ্বান করেছিলেন একতার প্রতীক হিসাবের রাখিবন্ধন উৎসব পালন করার জন্য। সেই থেকে শুরু হয় রাখিবন্ধন সম্প্রীতির উৎসবে পরিণত৷ এই উৎসব শ্রাবণ মাসের পূর্ণিমার দিনে পালন করা হয়।

ডায়মন্ড হারবার ১ নং ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় রাখিবন্ধন উৎসব পালন করতে পথে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে নেতাকর্মীরা। একই সঙ্গে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় রাখিবন্ধন উৎসব পালন করা হয়৷ ডায়মন্ড হারবার টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাখিবন্ধন উৎসব পালন করা হয়৷ এছাড়া কপাটহাট মোড়,  সরিষা আশ্রমমোড়,  পুরসভা,  মহকুমার সমস্ত ব্লক প্রশাসন ও বিভিন্ন এলাকায় পালিত হয়৷

এদিন ডায়মন্ড হারবার পুরসভার তরফে ১১৭ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া এলাকায় প্রশাসনিকভাবে দিনটি উদ্যাপন করে৷ মগরাহাট ২ ব্লক ভবনে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ছবিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে সংস্কৃতি দিবস পালন করেন বিধায়ক নমিতা সাহা,  বিডিও সেখ আবদুল্লাহ প্রমুখ৷ পারুলিয়া পঞ্চায়েতের প্রধান ও জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সদস্য সাবির হোসেন জামাদার (রাজু) সোনামুখী বাজারে পথ চলতি মানুষ থেকে শুরু করে দোকানদার,  টোটো ও অটো চালকদের হাতে রাখি বেঁধে দেওয়ার পাশাপাশি মিষ্টি বিতরণ করেন। বিভিন্ন থানার পুলিশকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সাংবাদিকদেরও রাখি পরিয়ে দিনটি উদযাপন করেন৷