অপারেশন সিঁদুরে ১০০ জঙ্গির মৃত্যু! ঘোষণা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের

- আপডেট : ৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 170
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর যে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয় তাতে উপস্থিত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার সকালে অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ফের সর্বদল বৈঠক ডাকে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতেও ছিলেন না মোদি। তবে সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও দেশবাসী তথা বিরোধীদের বার্তা পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বৈঠকে উপস্থিত বিরোধী নেতাদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পাঠ করে শোনান। রাজনাথের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী জানান, “কঠিন পরিস্থিতিতে এই সময় দেশের প্রতিটি নাগরিকের একজোট থাকা প্রয়োজন।” সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর সম্পর্কে তথ্য দিতে গিয়ে রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, এই অভিযানে অন্তত ১০০ জন পাক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান যদি ফের হামলা চালায়, তাহলে আবারও প্রত্যাঘাত করবে ভারত।
বৃহস্পতিবারের সকালে ডাকা সর্বদল বৈঠকে বিরোধীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি, কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতা রামগোপাল যাদব, আপের সঞ্জয় সিং, শিব সেনা উদ্ধবের সঞ্জয় রাউত, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলেরা। সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া প্রথম সারির প্রায় সব মন্ত্রীই এদিন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও ছিলেন।
সুত্রের খবর বিরোধীদের অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সব তথ্য পেশ করেন রাজনাথ সিং। তিনি বৈঠকে জানান, পাক জঙ্গিঘাঁটিগুলিকে হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সেনা। অভিযানে কমপক্ষে ১০০ জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, ভারত যুদ্ধ চায় না বলে উপস্থিত বিরোধী নেতাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু এরপরও পাকিস্তান পদক্ষেপ করলে আরও তীব্র প্রত্যাঘাত করা হবে। তার প্রস্তুতিও চূড়ান্ত। উপস্থিত বিরোধী নেতারাও জানিয়েছেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে যা যা পদক্ষেপ কেন্দ্র করতে চায়, সব পদক্ষেপের পাশে আছে বিরোধী শিবির। তবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রী কেন এই সর্বদল বৈঠকে থাকলেন না? রাহুল গান্ধী আবার এই ইস্যুতে সংসদ অধিনেশন ডেকে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার বার্তা দেন। যদিও সেই প্রস্তাব নিয়ে সরকার কিছু বলেনি। তৃণমূলের তরফে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নিয়েও কেন্দ্রকে সতর্ক থাকার বার্তা দেন।
সব বিরোধী দলই সমবেতভাবে কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানিয়েছেন, বিরোধীরা অনেক পরিণতমনস্কতার পরিচয় দিয়েছেন। যা এই মুহূর্তে গোটা দেশকে একজোট করার জন্য প্রয়োজন। কংগ্রেসের খাড়গে জানান, “সরকার কিছু গোপন তথ্য আমাদের দিয়েছে যা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে আমরা সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছি।” তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “আমরা কেন্দ্রের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের দিকে নজর দেওয়ার বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি।”