০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাঁচতারা হোটেলে ২ বছর বিলাসিতা, ৫৮ লক্ষ টাকার বিল না মিটিয়েই গায়েব ব্যক্তি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, বুধবার
  • / 23

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লির এক পাঁচতারা বিলাস বহুল হোটেলের সঙ্গে প্রতারণা! হোটেলের রাজকীয় পরিবেশে থেকে খেয়ে দেয়ে মোটা অঙ্কের বিল না মিটিয়েই চম্পট এক ব্যক্তির। কার্যত ৬০৩ দিন এই হোটেলেই বিলাসিতা উপভোগ করে ৫৮ লক্ষ টাকার বিল না মিটিয়েই গায়েব ওই ব্যক্তি। কিভাবে সম্ভব হল উঠেছে সেই প্রশ্ন! ঘটনায় থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

 

আরও পড়ুন: BREAKING NEWS: সংসদে আচমকা অসুস্থ সোনিয়া গান্ধি

প্রসঙ্গত, ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের খুব কাছেই এই পাঁচতারা হোটেলটির নাম রোসেট হাউস। দুই বছর ধরে দিল্লির সেই পাঁচ তারা হোটেলকে কার্যত নিজের বাড়ি বানিয়ে ফেলেছিলেন ওই ব্যক্তি। অভিযুক্তের নাম অঙ্কুশ দত্ত। হোটেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে ৫৮ লাখ টাকার থাকা খাওয়ার বিল হয়েছে ওই ব্যক্তির। কিন্তু এক পয়সাও দেয়নি অঙ্কুশ দত্ত নামের ওই ব্যক্তি।
পাঁচতারা হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হোটেলের কয়েকজন কর্মীর যোগসাজশেই ওই ব্যক্তির প্রতারণার কাজ সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক (আইজিআই) বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত হোটেল রোসেট হাউস আইজিআই বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ১০ হাজার খুনে জড়িত নাৎসি কর্মচারীর সাজা

এফআইআর অনুসারে, অঙ্কুশ দত্ত নামের ওই ব্যক্তি ৬০৩ দিন হোটেলে ছিলেন, যার বিলের পরিমাণ ৫৮ লাখ টাকা। হোটেল কর্তৃপক্ষ এফআইআর–এ উল্লেখ করেছে, একটানা এতদিন থাকার নিয়ম নেই অতিথিদের। বেশ কয়েকজন হোটেল কর্মীর দুর্নীতির ফলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে। যাঁদের অন্যতম ফ্রন্ট অফিস বিভাগের প্রধান প্রেম প্রকাশ। হোটেলের সফটওয়্যারে গোলমাল পাকিয়ে ভুয়ো এন্ট্রি করে বিষয়টি চালানো হয়েছে। সম্ভবত অঙ্কুশের থেকে টাকা নিয়েই এই কাজ করেছিলেন প্রেম প্রকাশ। হোটেলের অভিযোগ অঙ্কুশ দত্ত বিভিন্ন তারিখে ১০ লক্ষ, , ৭ লক্ষ এবং ২০ লক্ষ টাকার তিনটি চেক প্রদান করে। কিন্তু সেগুলি সব বাউন্স হয়ে গেছে। প্রকাশ সেই সত্যটি হোটেল ম্যানেজমেন্টের নজরে আনেননি।

আরও পড়ুন: রাজস্থানের করৌলিতে বিষাক্ত জল খেয়ে মৃত্যু ১ যুবকের, অসুস্থ আরও ৮৬

২০১৯-এর ৩০ মে হোটেলে চেক ইন করেন অঙ্কুশ দত্ত। এক রাতের একটি রুম বুক করেন তিনি। পরের দিন, ৩১ মে চেক আউট করার কথা ছিল, কিন্তু ২২ জানুয়ারি, ২০২১ পর্যন্ত তিনি হোটেলেই কাটিয়ে দেন।

 

হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী, অতিথির বকেয়া পাওনা ৭২ ঘণ্টার বেশি হলে, বিষয়টি সিইও এবং অর্থ দফতরের নজরে আনতে হবে। তবে, এক্ষেত্রে তা কেন করা হয়নি তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 



                            

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পাঁচতারা হোটেলে ২ বছর বিলাসিতা, ৫৮ লক্ষ টাকার বিল না মিটিয়েই গায়েব ব্যক্তি

আপডেট : ২১ জুন ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দিল্লির এক পাঁচতারা বিলাস বহুল হোটেলের সঙ্গে প্রতারণা! হোটেলের রাজকীয় পরিবেশে থেকে খেয়ে দেয়ে মোটা অঙ্কের বিল না মিটিয়েই চম্পট এক ব্যক্তির। কার্যত ৬০৩ দিন এই হোটেলেই বিলাসিতা উপভোগ করে ৫৮ লক্ষ টাকার বিল না মিটিয়েই গায়েব ওই ব্যক্তি। কিভাবে সম্ভব হল উঠেছে সেই প্রশ্ন! ঘটনায় থানায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

 

আরও পড়ুন: BREAKING NEWS: সংসদে আচমকা অসুস্থ সোনিয়া গান্ধি

প্রসঙ্গত, ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের খুব কাছেই এই পাঁচতারা হোটেলটির নাম রোসেট হাউস। দুই বছর ধরে দিল্লির সেই পাঁচ তারা হোটেলকে কার্যত নিজের বাড়ি বানিয়ে ফেলেছিলেন ওই ব্যক্তি। অভিযুক্তের নাম অঙ্কুশ দত্ত। হোটেলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে ৫৮ লাখ টাকার থাকা খাওয়ার বিল হয়েছে ওই ব্যক্তির। কিন্তু এক পয়সাও দেয়নি অঙ্কুশ দত্ত নামের ওই ব্যক্তি।
পাঁচতারা হোটেল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হোটেলের কয়েকজন কর্মীর যোগসাজশেই ওই ব্যক্তির প্রতারণার কাজ সম্ভব হয়েছে। এ বিষয়ে ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক (আইজিআই) বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত হোটেল রোসেট হাউস আইজিআই বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ১০ হাজার খুনে জড়িত নাৎসি কর্মচারীর সাজা

এফআইআর অনুসারে, অঙ্কুশ দত্ত নামের ওই ব্যক্তি ৬০৩ দিন হোটেলে ছিলেন, যার বিলের পরিমাণ ৫৮ লাখ টাকা। হোটেল কর্তৃপক্ষ এফআইআর–এ উল্লেখ করেছে, একটানা এতদিন থাকার নিয়ম নেই অতিথিদের। বেশ কয়েকজন হোটেল কর্মীর দুর্নীতির ফলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে। যাঁদের অন্যতম ফ্রন্ট অফিস বিভাগের প্রধান প্রেম প্রকাশ। হোটেলের সফটওয়্যারে গোলমাল পাকিয়ে ভুয়ো এন্ট্রি করে বিষয়টি চালানো হয়েছে। সম্ভবত অঙ্কুশের থেকে টাকা নিয়েই এই কাজ করেছিলেন প্রেম প্রকাশ। হোটেলের অভিযোগ অঙ্কুশ দত্ত বিভিন্ন তারিখে ১০ লক্ষ, , ৭ লক্ষ এবং ২০ লক্ষ টাকার তিনটি চেক প্রদান করে। কিন্তু সেগুলি সব বাউন্স হয়ে গেছে। প্রকাশ সেই সত্যটি হোটেল ম্যানেজমেন্টের নজরে আনেননি।

আরও পড়ুন: রাজস্থানের করৌলিতে বিষাক্ত জল খেয়ে মৃত্যু ১ যুবকের, অসুস্থ আরও ৮৬

২০১৯-এর ৩০ মে হোটেলে চেক ইন করেন অঙ্কুশ দত্ত। এক রাতের একটি রুম বুক করেন তিনি। পরের দিন, ৩১ মে চেক আউট করার কথা ছিল, কিন্তু ২২ জানুয়ারি, ২০২১ পর্যন্ত তিনি হোটেলেই কাটিয়ে দেন।

 

হোটেলের নিয়ম অনুযায়ী, অতিথির বকেয়া পাওনা ৭২ ঘণ্টার বেশি হলে, বিষয়টি সিইও এবং অর্থ দফতরের নজরে আনতে হবে। তবে, এক্ষেত্রে তা কেন করা হয়নি তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।