০১ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিনের রকেট আছড়ে পড়ল সুলু সাগরে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২২, রবিবার
  • / 118

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ। তবে ২৫ টনের ওই মহাকাশ আবর্জনা কারও মাথায় বা বাড়ির ওপর ভেঙে পড়েনি, পড়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের সুলু সাগরে। শনিবার রাতে এটি পড়ার আগে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে এসে জ্বলেপুড়ে ধ্বংস যায়।

 

আরও পড়ুন: ভারতীয় রকেটের ধ্বংসাবশেষ মিলল অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে

আমেরিকা ও চিনের বিজ্ঞানীরা এই কথা জানিয়েছেন। তবে অনিয়ন্ত্রিত ওই রকেট নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে চিন। মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন বানাচ্ছে চিন। গত রবিবার তিয়ানগং নামে ওই মহাকাশ স্টেশনে একটি ল্যাব মডিউল নিয়ে যায় রকেট লংমার্চ ৫।

আরও পড়ুন: ৩৯ ক্রু-সহ ভারত মহাসাগরে চিনা নৌকাডুবি  

 

আরও পড়ুন: মহড়া চলাকালীন ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার, নিখোঁজ ২ পাইলট

নভোশ্চরদের আবাসস্থল হিসেবে ওই মডিউলটি কক্ষপথের যথাস্থানে পৌঁছে দিলেও রকেটটি পৃথিবীতে ফিরে আসতে থাকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। তাছাড়া রকেটটির ধ্বংসাবশেষ ঠিক কোথায় পতিত হবে, তাও নির্দিষ্ট করে জানায়নি চিন। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, অনিয়ন্ত্রিত এই রকেট পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারে কোনও জনবসতি।

 

কেননা, ২০২০ সালের মে মাসেই চিনের একটি রকেটের ধ্বংসাবশেষ আইভরি কোস্টের জনবসতিতে পড়েছিল। তখন কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে এবার চিনা কর্তৃপক্ষ দাবি করছিল, রকেটের ধ্বংসাবশেষ কোনও জনবসতিতে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। শেষপর্যন্ত শনিবার মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এক জানান, শনিবার রাতে চিনের লংমার্চ-৫ ভেঙে পড়েছে ফিলিপাইন্সের সুলু সাগরে। প্রশান্ত মহাসাগরের অংশ এই সুলু সাগর।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চিনের রকেট আছড়ে পড়ল সুলু সাগরে

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পৃথিবীতে আছড়ে পড়েছে চিনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ। তবে ২৫ টনের ওই মহাকাশ আবর্জনা কারও মাথায় বা বাড়ির ওপর ভেঙে পড়েনি, পড়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের সুলু সাগরে। শনিবার রাতে এটি পড়ার আগে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে এসে জ্বলেপুড়ে ধ্বংস যায়।

 

আরও পড়ুন: ভারতীয় রকেটের ধ্বংসাবশেষ মিলল অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে

আমেরিকা ও চিনের বিজ্ঞানীরা এই কথা জানিয়েছেন। তবে অনিয়ন্ত্রিত ওই রকেট নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে চিন। মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন বানাচ্ছে চিন। গত রবিবার তিয়ানগং নামে ওই মহাকাশ স্টেশনে একটি ল্যাব মডিউল নিয়ে যায় রকেট লংমার্চ ৫।

আরও পড়ুন: ৩৯ ক্রু-সহ ভারত মহাসাগরে চিনা নৌকাডুবি  

 

আরও পড়ুন: মহড়া চলাকালীন ভেঙে পড়ল ভারতীয় সেনার চিতা হেলিকপ্টার, নিখোঁজ ২ পাইলট

নভোশ্চরদের আবাসস্থল হিসেবে ওই মডিউলটি কক্ষপথের যথাস্থানে পৌঁছে দিলেও রকেটটি পৃথিবীতে ফিরে আসতে থাকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। তাছাড়া রকেটটির ধ্বংসাবশেষ ঠিক কোথায় পতিত হবে, তাও নির্দিষ্ট করে জানায়নি চিন। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, অনিয়ন্ত্রিত এই রকেট পৃথিবীতে আছড়ে পড়লে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হতে পারে কোনও জনবসতি।

 

কেননা, ২০২০ সালের মে মাসেই চিনের একটি রকেটের ধ্বংসাবশেষ আইভরি কোস্টের জনবসতিতে পড়েছিল। তখন কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে এবার চিনা কর্তৃপক্ষ দাবি করছিল, রকেটের ধ্বংসাবশেষ কোনও জনবসতিতে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। শেষপর্যন্ত শনিবার মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এক জানান, শনিবার রাতে চিনের লংমার্চ-৫ ভেঙে পড়েছে ফিলিপাইন্সের সুলু সাগরে। প্রশান্ত মহাসাগরের অংশ এই সুলু সাগর।