০৭ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হিজাব পরে ক্লাসে ঢুকতে বাধা, বাইরেই বসে পড়লেন ছাত্রীরা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৯ জানুয়ারী ২০২২, বুধবার
  • / 73

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কর্নাটকের উডুপিতে একটি সরকারি কলেজে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কলেজের দোরগোড়ায় বসে পড়ল একদল ছাত্রী। হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের সেই ভিজ্যুয়াল ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে এবং এ নিয়ে আরও একপ্রস্থ বিতর্ক শুরু হয়েছে। গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সংখ্যালঘুরা পছন্দমতো পোশাক পরতে পারবে– এমন অধিকার দিয়েছে সংবিধান। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে মেয়েদের অভিযোগ। খোদ কলেজের অধ্যক্ষ তাদেরকে হিজাব পরে ক্লাসে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাই শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমের বাইরে বসতে বাধ্য হয়।

সমাজকর্মীরা কলেজের সিদ্ধান্তকে ‘ইসলামফোবিক’ বলে অভিহিত করেছে এবং দাবি করেছে যে নীতিটি প্রত্যাহার করতে হবে। ছাত্রীদের হিজাব পরা এবং স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম অনুশীলন করার অনুমতি দেওয়া হোক বলে তাঁরা দাবি জানিয়েছেন। কলেজের ইসলামফোবিক নীতির বিরুদ্ধে ছাত্রীদের এই পদক্ষেপ প্রশংসা কুড়িয়েছে অনেকের কাছেই। ফ্র্যাটারনিটি মুভমেন্টের সঙ্গে যুক্ত আফরিন ফাতিমা প্রতিদিন হয়রানি ও অপমান সহ্য করেও শিক্ষার্থীদের এই অসাধারণ সাহসের কাজের প্রশংসা করেন। তিনি ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন– এই সাহসী মেয়েদের প্রতি সম্পূর্ণ সংহতি– ভালোবাসা এবং দোয়া। আল্লাহ্ তাদের সমস্ত ক্ষতি থেকে দূরে রাখুন এবং তাদের স্বাচ্ছন্দ্য দান করুন। সমাজকর্মীরা এই বিষয়ে নাগরিক সমাজ এবং নারীবাদী গোষ্ঠীগুলির নীরবতারও নিন্দা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা তকমা দিয়ে কারমাইকেল হস্টেলের আবাসিকদের উপর আক্রমণের অভিযোগ

জোয়া রসুল বলেন– যদি তারা তাদের হিজাব খুলে ফেলতে চেষ্টা করত তাহলে এই মেয়েগুলোর পাশে আরও বেশি মানুষ দাঁড়াত। তারা তাদের পছন্দের স্বাধীনতাকে কঠোরভাবে সমর্থন করে। মূলধারার মিডিয়া ইসলামের উপর প্রাইম টাইম শো করবে। শুধুমাত্র তারা হিজাব পরতে চায় বলেই আমরা তাদের কাছ থেকে এই নীরবতা দেখতে পাচ্ছি।

আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে পাঠ দিতে হবে পড়ুয়াদের, নির্দেশ কেন্দ্রের

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য– কলেজ প্রশাসন মেয়েদের হিজাব পরে ক্লাসে প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকার করায় বিষয়টি নিয়ে এই বিতর্ক তিন সপ্তাহ ধরে চলছে। একদল ছাত্রী হিজাব পরে ক্লাসে যেতে শুরু করলে এই বিতর্ক শুরু হয়। এর প্রতিবাদে আরেকদল শিক্ষার্থী গেরুয়া স্কার্ফ ও শাল পরে কলেজে আসতে শুরু করে। এরপর কলেজ পরিচালন সমিতি দুই ধরনের পোশাকই নিষিদ্ধ করে। তবে তা মেনে নিতে অস্বীকার করেছে মুসলিম মেয়েরা। মুসলিম ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং গার্লস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অচলাবস্থা নিরসনের জন্য কলেজ এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে একটি বৈঠক করেছে।

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের সমস্যা সমাধানের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতে চাই:   আলিয়ার নয়া উপাচার্য এম ওহাব

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হিজাব পরে ক্লাসে ঢুকতে বাধা, বাইরেই বসে পড়লেন ছাত্রীরা

আপডেট : ১৯ জানুয়ারী ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ কর্নাটকের উডুপিতে একটি সরকারি কলেজে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কলেজের দোরগোড়ায় বসে পড়ল একদল ছাত্রী। হিজাব পরিহিত ছাত্রীদের সেই ভিজ্যুয়াল ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে এবং এ নিয়ে আরও একপ্রস্থ বিতর্ক শুরু হয়েছে। গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশে সংখ্যালঘুরা পছন্দমতো পোশাক পরতে পারবে– এমন অধিকার দিয়েছে সংবিধান। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলে মেয়েদের অভিযোগ। খোদ কলেজের অধ্যক্ষ তাদেরকে হিজাব পরে ক্লাসে প্রবেশ করতে দেয়নি। তাই শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমের বাইরে বসতে বাধ্য হয়।

সমাজকর্মীরা কলেজের সিদ্ধান্তকে ‘ইসলামফোবিক’ বলে অভিহিত করেছে এবং দাবি করেছে যে নীতিটি প্রত্যাহার করতে হবে। ছাত্রীদের হিজাব পরা এবং স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম অনুশীলন করার অনুমতি দেওয়া হোক বলে তাঁরা দাবি জানিয়েছেন। কলেজের ইসলামফোবিক নীতির বিরুদ্ধে ছাত্রীদের এই পদক্ষেপ প্রশংসা কুড়িয়েছে অনেকের কাছেই। ফ্র্যাটারনিটি মুভমেন্টের সঙ্গে যুক্ত আফরিন ফাতিমা প্রতিদিন হয়রানি ও অপমান সহ্য করেও শিক্ষার্থীদের এই অসাধারণ সাহসের কাজের প্রশংসা করেন। তিনি ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে লিখেছেন– এই সাহসী মেয়েদের প্রতি সম্পূর্ণ সংহতি– ভালোবাসা এবং দোয়া। আল্লাহ্ তাদের সমস্ত ক্ষতি থেকে দূরে রাখুন এবং তাদের স্বাচ্ছন্দ্য দান করুন। সমাজকর্মীরা এই বিষয়ে নাগরিক সমাজ এবং নারীবাদী গোষ্ঠীগুলির নীরবতারও নিন্দা জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা তকমা দিয়ে কারমাইকেল হস্টেলের আবাসিকদের উপর আক্রমণের অভিযোগ

জোয়া রসুল বলেন– যদি তারা তাদের হিজাব খুলে ফেলতে চেষ্টা করত তাহলে এই মেয়েগুলোর পাশে আরও বেশি মানুষ দাঁড়াত। তারা তাদের পছন্দের স্বাধীনতাকে কঠোরভাবে সমর্থন করে। মূলধারার মিডিয়া ইসলামের উপর প্রাইম টাইম শো করবে। শুধুমাত্র তারা হিজাব পরতে চায় বলেই আমরা তাদের কাছ থেকে এই নীরবতা দেখতে পাচ্ছি।

আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরের সাফল্য নিয়ে পাঠ দিতে হবে পড়ুয়াদের, নির্দেশ কেন্দ্রের

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য– কলেজ প্রশাসন মেয়েদের হিজাব পরে ক্লাসে প্রবেশের অনুমতি দিতে অস্বীকার করায় বিষয়টি নিয়ে এই বিতর্ক তিন সপ্তাহ ধরে চলছে। একদল ছাত্রী হিজাব পরে ক্লাসে যেতে শুরু করলে এই বিতর্ক শুরু হয়। এর প্রতিবাদে আরেকদল শিক্ষার্থী গেরুয়া স্কার্ফ ও শাল পরে কলেজে আসতে শুরু করে। এরপর কলেজ পরিচালন সমিতি দুই ধরনের পোশাকই নিষিদ্ধ করে। তবে তা মেনে নিতে অস্বীকার করেছে মুসলিম মেয়েরা। মুসলিম ছাত্র সংগঠন ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং গার্লস ইসলামিক অর্গানাইজেশন অচলাবস্থা নিরসনের জন্য কলেজ এবং জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এ নিয়ে একটি বৈঠক করেছে।

আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের সমস্যা সমাধানের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করতে চাই:   আলিয়ার নয়া উপাচার্য এম ওহাব