১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

রবীন্দ্রনাথকে অমর্যাদা নয়, কাছারি বাড়িতে হামলা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার
  • / 54

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কাছারি বাড়িতে হামলার ঘটনায় কোনও নিদর্শন নষ্ট হয়নি। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণেই দর্শনার্থীদের মারধর, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, হামলায় ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের বাইরে কোনও সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।

বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বলছে, কাছারি বাড়ি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি। প্রতি বছর কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত স্থানটি দর্শন করতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। ৮ জুন কাছারি বাড়ির দায়িত্বরত কর্মচারী ও এক দর্শনার্থীর মধ্যে পার্কিং টিকিট নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ও কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টভিয়ান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে শাহনেওয়াজ নামের এক দর্শনার্থীকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের হৃদয়ে ইসলামদর্শন

বিবৃতিতে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলার মধ্যেই ১০ জুন শাহনেওয়াজের পক্ষে স্থানীয় কয়েকজন মানব বন্ধন করেন। মানব বন্ধনে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের কাস্টভিয়ান হাবিবুর রহমান ও অন্য দায়ী কর্মচারীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। মানব বন্ধন থেকে উত্তেজিত জনতা কাছারি বাড়ির কর্মচারীদের মারধর করার উদ্দেশ্যে সেখানে ঢোকেন। সে-সময় কাছারি বাড়িতে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী আহত হন।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির প্রতিষ্ঠাদিবস উদযাপন

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় আরও বলছে, কাছারি বাড়িতে কবিগুরুর সম্মান বা মর্যাদাহানিকর কিছু ঘটেনি। কাছারি বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে গত ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও আড়ম্বরপূর্ণভাবে কুষ্টয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও নওগাঁর পতিসরে উদ্যাপিত হয়েছে বলেও বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২২ শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস, কবিগুরুর হাফ ডজন প্রিয় পদ

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

রবীন্দ্রনাথকে অমর্যাদা নয়, কাছারি বাড়িতে হামলা ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব থেকে

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কাছারি বাড়িতে হামলার ঘটনায় কোনও নিদর্শন নষ্ট হয়নি। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণেই দর্শনার্থীদের মারধর, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বিবৃতি দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, হামলায় ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের বাইরে কোনও সাম্প্রদায়িক বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।

বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বলছে, কাছারি বাড়ি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক একটি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি। প্রতি বছর কবিগুরুর স্মৃতি বিজড়িত স্থানটি দর্শন করতে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। ৮ জুন কাছারি বাড়ির দায়িত্বরত কর্মচারী ও এক দর্শনার্থীর মধ্যে পার্কিং টিকিট নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ও কথা কাটাকাটির জেরে হাতাহাতি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাস্টভিয়ান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে শাহনেওয়াজ নামের এক দর্শনার্থীকে মারধর করে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথের হৃদয়ে ইসলামদর্শন

বিবৃতিতে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলার মধ্যেই ১০ জুন শাহনেওয়াজের পক্ষে স্থানীয় কয়েকজন মানব বন্ধন করেন। মানব বন্ধনে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের কাস্টভিয়ান হাবিবুর রহমান ও অন্য দায়ী কর্মচারীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। মানব বন্ধন থেকে উত্তেজিত জনতা কাছারি বাড়ির কর্মচারীদের মারধর করার উদ্দেশ্যে সেখানে ঢোকেন। সে-সময় কাছারি বাড়িতে কর্মরত কয়েকজন কর্মচারী আহত হন।

আরও পড়ুন: রবীন্দ্রভারতী সোসাইটির প্রতিষ্ঠাদিবস উদযাপন

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় আরও বলছে, কাছারি বাড়িতে কবিগুরুর সম্মান বা মর্যাদাহানিকর কিছু ঘটেনি। কাছারি বাড়ির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে গত ২৫ বৈশাখ কবিগুরুর ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও আড়ম্বরপূর্ণভাবে কুষ্টয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও নওগাঁর পতিসরে উদ্যাপিত হয়েছে বলেও বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২২ শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ দিবস, কবিগুরুর হাফ ডজন প্রিয় পদ