৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এসআইআর নথি নিয়ে চিন্তা, আতঙ্কে ভিনরাজ্যে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বাংলার শ্রমিকের

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু রাজ্যের এক বাসিন্দার। এসআইআর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে মৃত্যু হল ভিন রাজ্যে কর্মরত বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিমল সাঁতরা (৫৮)। পরিবারের দাবি, এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বলে দাবি। একই দাবি শাসকদল তৃণমূলেরও। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূল হাস্যকর কথা বলছে।

সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই তামিলনাড়ুতে কাজে গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার নবগ্রাম ওড়িশা পাড়ার বাসিন্দা বিমল সাঁতরা। সম্প্রতি হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। ভর্তি হন তামিলনাড়ুরই একটি হাসপাতালে। কিন্তু রক্ষা হয় না প্রাণ, ভিন রাজ্য়েই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সেখানে ধানকাটার কাজ করতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যেই বাংলায় এসআইআর ঘোষণা হয়েছে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত বিমলবাবু নিয়েছিলেন বলে দাবি। ছেলে বাপি সাঁতরা এদিন বলেন, “এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই বাবা আতঙ্কে ভুগছিলেন সব নথিপত্র রয়েছে কি না তা নিয়ে। সেই আতঙ্ক থেকেই বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেখানকার তাঞ্জাভুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়।” শনিবার স্থানীয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও  প্রশাসনের উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার নবগ্রাম ওড়িশা পাড়ার বাড়িতে বিমল সাঁতরার দেহ আনা হয়।

আরও পড়ুন: তেলেঙ্গানায় পোলিও ড্রপ খাওয়ানোর পর তিন মাসের শিশুর মৃত্যু!

এসআইআর আতঙ্কে শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি বলেন, ‘এসআইআর তো সত্যিই সমস্যার। যারা এই ব্যাপারে সচেতন নয়, তাঁরা প্রত্যেকেই খুব চিন্তিত। বিমান বাবু ধান রোয়ার কাজ করতেন। তামিলনাড়ুতেও সেই কাজেই গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখানে গিয়ে এসআইআর-এর কথা জানতে পেরে চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে চিন্তার কারণেই শরীর অসুস্থ হয়, মৃত্যু ঘটে।’

আরও পড়ুন: RIP Shankar: দিল্লি চিড়িয়াখানার আফ্রিকান হাতি ‘শঙ্কর’-র মৃত্যু

আরও পড়ুন: কাঁথিতে প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ বহু গ্রামবাসী!
প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.
সর্বধিক পাঠিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এসআইআর নথি নিয়ে চিন্তা, আতঙ্কে ভিনরাজ্যে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বাংলার শ্রমিকের

আপডেট : ১ নভেম্বর ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের এসআইআর আতঙ্কে মৃত্যু রাজ্যের এক বাসিন্দার। এসআইআর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে মৃত্যু হল ভিন রাজ্যে কর্মরত বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিমল সাঁতরা (৫৮)। পরিবারের দাবি, এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বলে দাবি। একই দাবি শাসকদল তৃণমূলেরও। যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূল হাস্যকর কথা বলছে।

সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই তামিলনাড়ুতে কাজে গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার নবগ্রাম ওড়িশা পাড়ার বাসিন্দা বিমল সাঁতরা। সম্প্রতি হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। ভর্তি হন তামিলনাড়ুরই একটি হাসপাতালে। কিন্তু রক্ষা হয় না প্রাণ, ভিন রাজ্য়েই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার সূত্রে জানা যায়, সেখানে ধানকাটার কাজ করতে গিয়েছিলেন। এর মধ্যেই বাংলায় এসআইআর ঘোষণা হয়েছে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত বিমলবাবু নিয়েছিলেন বলে দাবি। ছেলে বাপি সাঁতরা এদিন বলেন, “এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই বাবা আতঙ্কে ভুগছিলেন সব নথিপত্র রয়েছে কি না তা নিয়ে। সেই আতঙ্ক থেকেই বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেখানকার তাঞ্জাভুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়।” শনিবার স্থানীয় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও  প্রশাসনের উদ্যোগে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার নবগ্রাম ওড়িশা পাড়ার বাড়িতে বিমল সাঁতরার দেহ আনা হয়।

আরও পড়ুন: তেলেঙ্গানায় পোলিও ড্রপ খাওয়ানোর পর তিন মাসের শিশুর মৃত্যু!

এসআইআর আতঙ্কে শ্রমিকের মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি বলেন, ‘এসআইআর তো সত্যিই সমস্যার। যারা এই ব্যাপারে সচেতন নয়, তাঁরা প্রত্যেকেই খুব চিন্তিত। বিমান বাবু ধান রোয়ার কাজ করতেন। তামিলনাড়ুতেও সেই কাজেই গিয়েছিলেন। কিন্তু ওখানে গিয়ে এসআইআর-এর কথা জানতে পেরে চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরে চিন্তার কারণেই শরীর অসুস্থ হয়, মৃত্যু ঘটে।’

আরও পড়ুন: RIP Shankar: দিল্লি চিড়িয়াখানার আফ্রিকান হাতি ‘শঙ্কর’-র মৃত্যু

আরও পড়ুন: কাঁথিতে প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ বহু গ্রামবাসী!