০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তারাবিহ-র নামাযের সময় ইমামের ঘাড়ে বিড়াল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 12

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নামায পড়ার সময় কোনও মুসল্লির ঘাড়ে আচমকা একটি বিড়াল ঝঁপিয়ে পড়লে কী কী ধরণের প্রতিক্রিয়া হতে পারে তা মোটামুটি অনুমেয়। কিন্তু এই অনুমানকে বেমালুম মিথ্যা প্রমাণ করে গোটা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মন কাড়লেন একজন ইমাম। আলজেরিয়ার বোরদজ বাউ অ্যারেরিদজ শহরের আবু বকর মসজিদে তারাবিহ-র নামায চলাকালীন ইমাম শায়খ ওয়ালিদ মাহসাস এর ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি বিড়াল। নামায পড়াকালীনও বিড়ালের প্রতি তাঁর বিনয়ী আচরণ দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। নামাযের মাঝে কুরআন পাঠ করার সময় বিড়ালটি তাঁর গায়ে ওঠে। কোনও ধরণের বিরক্তি প্রকাশ না করে, উল্টে নামাযের মাঝে বিড়ালটির ঘাড়ে হাত দিয়ে তাকে আশ্বস্ত করেন ইমাম। ঘাড়ে ওঠার পর ইমামের মুখে মুখ লাগিয়ে বিড়ালটি আদর করতে থাকে। কিন্তু তখনও ইমামের মুখে বিন্দুমাত্র বিরক্তির ছাপ দেখা যায়নি।  অবশ্য রুকুতে যাওয়ার আগে বিড়ালটি তাঁর কাঁধ থেকে নেমে যায়।

এই ভিডিয়োটি ট্যুইটারে শেয়ার হওয়ার পর ভাইরাল হতে থাকে। ইমামের দরদী আচরণে মুগ্ধ নেটিজেনরা। অনেকে বলছেন, শায়খ ওয়ালিদ মাহসাস নিজের আচরণে ইসলামি শিক্ষার সৌন্দর্য ফুটিয়ে  তুলেছেন।

উল্লেখ্য, সবচেয়ে বেশি হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে সাখর নিজের জামার আস্তিনে বিড়াল নিয়ে ঘুরতেন। সেই জন্যেই রসূল সা. তাঁকে বিড়ালের পিতা বা আবু হুরায়রা নামে ডাকেন। পরে বিশ্ববাসীর কাছে তিনি আবু হুরায়রা নামে পরিচিত হন। ইসলামে বিড়াল পালন করা বৈধ। তবে তাকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। ইমাম শায়খ ওয়ালিদ মাহসাসের আচরণেও এই ইসলামি শিক্ষার প্রভাব ফুটে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: লেপার্ড ক্যাট ঘিরে চিতার আতঙ্ক! হুলস্থুল কাণ্ড ধূপগুড়িতে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তারাবিহ-র নামাযের সময় ইমামের ঘাড়ে বিড়াল

আপডেট : ৬ এপ্রিল ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নামায পড়ার সময় কোনও মুসল্লির ঘাড়ে আচমকা একটি বিড়াল ঝঁপিয়ে পড়লে কী কী ধরণের প্রতিক্রিয়া হতে পারে তা মোটামুটি অনুমেয়। কিন্তু এই অনুমানকে বেমালুম মিথ্যা প্রমাণ করে গোটা বিশ্বের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মন কাড়লেন একজন ইমাম। আলজেরিয়ার বোরদজ বাউ অ্যারেরিদজ শহরের আবু বকর মসজিদে তারাবিহ-র নামায চলাকালীন ইমাম শায়খ ওয়ালিদ মাহসাস এর ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি বিড়াল। নামায পড়াকালীনও বিড়ালের প্রতি তাঁর বিনয়ী আচরণ দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা। নামাযের মাঝে কুরআন পাঠ করার সময় বিড়ালটি তাঁর গায়ে ওঠে। কোনও ধরণের বিরক্তি প্রকাশ না করে, উল্টে নামাযের মাঝে বিড়ালটির ঘাড়ে হাত দিয়ে তাকে আশ্বস্ত করেন ইমাম। ঘাড়ে ওঠার পর ইমামের মুখে মুখ লাগিয়ে বিড়ালটি আদর করতে থাকে। কিন্তু তখনও ইমামের মুখে বিন্দুমাত্র বিরক্তির ছাপ দেখা যায়নি।  অবশ্য রুকুতে যাওয়ার আগে বিড়ালটি তাঁর কাঁধ থেকে নেমে যায়।

এই ভিডিয়োটি ট্যুইটারে শেয়ার হওয়ার পর ভাইরাল হতে থাকে। ইমামের দরদী আচরণে মুগ্ধ নেটিজেনরা। অনেকে বলছেন, শায়খ ওয়ালিদ মাহসাস নিজের আচরণে ইসলামি শিক্ষার সৌন্দর্য ফুটিয়ে  তুলেছেন।

উল্লেখ্য, সবচেয়ে বেশি হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি আবদুর রহমান ইবনে সাখর নিজের জামার আস্তিনে বিড়াল নিয়ে ঘুরতেন। সেই জন্যেই রসূল সা. তাঁকে বিড়ালের পিতা বা আবু হুরায়রা নামে ডাকেন। পরে বিশ্ববাসীর কাছে তিনি আবু হুরায়রা নামে পরিচিত হন। ইসলামে বিড়াল পালন করা বৈধ। তবে তাকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। ইমাম শায়খ ওয়ালিদ মাহসাসের আচরণেও এই ইসলামি শিক্ষার প্রভাব ফুটে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: লেপার্ড ক্যাট ঘিরে চিতার আতঙ্ক! হুলস্থুল কাণ্ড ধূপগুড়িতে