০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হামবুর্গ চার্চে হামলাকারী একজন খ্রিস্টান ‘সন্ত্রাসী’

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, রবিবার
  • / 87

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি হামবুর্গের এক চার্চে হামলা চালিয়ে ৭ জনকে হত্যা করা ব্যক্তিকে শনাক্ত  করেছে জার্মানির পুলিশ। হামলাকারীর নাম ফিলিপ এফ (৩৫)। বৃহস্পতিবার রাতে জিহোভা খ্রিস্টানদের একটি চার্চে বন্দুক নিয়ে প্রবেশ করে খ্রিস্টান ‘সন্ত্রাসী’ ফিলিপ। পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ মাস আগে জিহোভা খ্রিস্টানদের মতাদর্শের সঙ্গে বিরোধের জেরে সেই ধর্মীয় দল ত্যাগ করে বেরিয়ে আসে ফিলিপ। এরপরই হয়তো সে চার্চে হামলার পরিকল্পনা করে। হামবুর্গের নিরাপত্তা প্রধান থমাস রাদজুয়েত জানান, জিহোভা খ্রিস্টানদের দল ত্যাগের আগে বেশকয়েকজনের সঙ্গে মতের অমিল হয়েছিল ফিলিপের। জার্মানিরে মিডিয়া ফিলিপ এফ-কে একজন ব্যবসায়িক পরামর্শদাতা হিসাবে শনাক্ত করেছে। অনলাইনে ‘ফিলিপ ফাস’ নামে একটি ওয়েবসাইটের খোঁজ মিলেছে। সেই ওয়েবসাইটে ‘ঈশ্বর, যিশু ও শয়তানের সত্য’ শিরোনামে ফিলিপ ফাসের একটি বইয়ের খোঁজ মিলেছে। জানুয়ারিতে জার্মান অফিসাররা জানতে পারেন ফিলিপ বহুদিন ধরেই অজ্ঞাত মানসিক সমস্যায় ভুগছে এবং এ থেকে সে জিহোভা খ্রিস্টান কমিউনিটির প্রতি আক্রোশ পুষে রেখেছে।  বৃহস্পতিবার রাতে জিহোভা উইটনেস কিংডম হলে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন হামলা চালায় ফাস। প্রথমে সে এক নারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে চার্চের ভেতরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৭জনকে হত্যা করে বন্দুকবাজ।

আরও পড়ুন: মোদির শাসনে সবচেয়ে বেশি সংবিধানের ওপরই আঘাত: খাড়গে

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হামবুর্গ চার্চে হামলাকারী একজন খ্রিস্টান ‘সন্ত্রাসী’

আপডেট : ১২ মার্চ ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি হামবুর্গের এক চার্চে হামলা চালিয়ে ৭ জনকে হত্যা করা ব্যক্তিকে শনাক্ত  করেছে জার্মানির পুলিশ। হামলাকারীর নাম ফিলিপ এফ (৩৫)। বৃহস্পতিবার রাতে জিহোভা খ্রিস্টানদের একটি চার্চে বন্দুক নিয়ে প্রবেশ করে খ্রিস্টান ‘সন্ত্রাসী’ ফিলিপ। পুলিশ জানিয়েছে, ১৮ মাস আগে জিহোভা খ্রিস্টানদের মতাদর্শের সঙ্গে বিরোধের জেরে সেই ধর্মীয় দল ত্যাগ করে বেরিয়ে আসে ফিলিপ। এরপরই হয়তো সে চার্চে হামলার পরিকল্পনা করে। হামবুর্গের নিরাপত্তা প্রধান থমাস রাদজুয়েত জানান, জিহোভা খ্রিস্টানদের দল ত্যাগের আগে বেশকয়েকজনের সঙ্গে মতের অমিল হয়েছিল ফিলিপের। জার্মানিরে মিডিয়া ফিলিপ এফ-কে একজন ব্যবসায়িক পরামর্শদাতা হিসাবে শনাক্ত করেছে। অনলাইনে ‘ফিলিপ ফাস’ নামে একটি ওয়েবসাইটের খোঁজ মিলেছে। সেই ওয়েবসাইটে ‘ঈশ্বর, যিশু ও শয়তানের সত্য’ শিরোনামে ফিলিপ ফাসের একটি বইয়ের খোঁজ মিলেছে। জানুয়ারিতে জার্মান অফিসাররা জানতে পারেন ফিলিপ বহুদিন ধরেই অজ্ঞাত মানসিক সমস্যায় ভুগছে এবং এ থেকে সে জিহোভা খ্রিস্টান কমিউনিটির প্রতি আক্রোশ পুষে রেখেছে।  বৃহস্পতিবার রাতে জিহোভা উইটনেস কিংডম হলে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলাকালীন হামলা চালায় ফাস। প্রথমে সে এক নারীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে চার্চের ভেতরে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৭জনকে হত্যা করে বন্দুকবাজ।

আরও পড়ুন: মোদির শাসনে সবচেয়ে বেশি সংবিধানের ওপরই আঘাত: খাড়গে