২৪ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশের বেশে মসজিদে হামলা চালায় এক ব্যক্তি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 132

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:পেশোয়ারের এক মসজিদে পুলিশের বেশে প্রবেশ করে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল হামলাকারী। হামলাকারীর পরনে ছিল পুলিশের পোশাক ও হেলমেট। এমনটাই জানিয়েছেন পেশোয়ারের এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা। এই হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর স্বাভাভিকভাবেই দেশটির সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কঠোর নিরাপত্তা এড়িয়ে হামলাকারী কীভাবে এলাকাটিতে প্রবেশ করল তা ভাবাচ্ছে সরকারকে। খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশ বিভাগের প্রধান মোয়াজ্জাম আনসারি বলেন, ‘যারা সেসময় কর্তব্যরত ছিলেন তারা নিরাপত্তার খাতিরে তল্লাশির প্রয়োজন মনে করেননি। কারণ হামলাকারীও পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল।’ সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর হামলাকারীকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে, পেশোয়ারের মসজিদে হামলার ঘটনায় ২৩ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রদেশটির পুলিশ কর্মকর্তারাও। খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ কারো সহযোগিতা ছাড়া এমন স্পর্শকাতর এলাকায় হামলা চালানো সম্ভব নয়। তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থেই আটক করা হয়েছে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে। এখনও সাঁড়াশি অভিযান চলছে। উল্লেখ্য, সোমবার যোহরের নামাযের সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পেশাওয়ারের একটি পুলিশ লাইন্সের মসজিদ। এতে ১০১ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য। আহত হন ২২৫ জনেরও বেশি।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুলিশের বেশে মসজিদে হামলা চালায় এক ব্যক্তি

আপডেট : ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বৃহস্পতিবার

 পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:পেশোয়ারের এক মসজিদে পুলিশের বেশে প্রবেশ করে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল হামলাকারী। হামলাকারীর পরনে ছিল পুলিশের পোশাক ও হেলমেট। এমনটাই জানিয়েছেন পেশোয়ারের এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা। এই হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর স্বাভাভিকভাবেই দেশটির সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কঠোর নিরাপত্তা এড়িয়ে হামলাকারী কীভাবে এলাকাটিতে প্রবেশ করল তা ভাবাচ্ছে সরকারকে। খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশ বিভাগের প্রধান মোয়াজ্জাম আনসারি বলেন, ‘যারা সেসময় কর্তব্যরত ছিলেন তারা নিরাপত্তার খাতিরে তল্লাশির প্রয়োজন মনে করেননি। কারণ হামলাকারীও পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল।’ সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পর হামলাকারীকে চিহ্নিত করতে পেরেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে, পেশোয়ারের মসজিদে হামলার ঘটনায় ২৩ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রদেশটির পুলিশ কর্মকর্তারাও। খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, অভ্যন্তরীণ কারো সহযোগিতা ছাড়া এমন স্পর্শকাতর এলাকায় হামলা চালানো সম্ভব নয়। তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থেই আটক করা হয়েছে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে। এখনও সাঁড়াশি অভিযান চলছে। উল্লেখ্য, সোমবার যোহরের নামাযের সময় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পেশাওয়ারের একটি পুলিশ লাইন্সের মসজিদ। এতে ১০১ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য। আহত হন ২২৫ জনেরও বেশি।