২৬ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শর্তসাপেক্ষে সন্দেশখালিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কে যাওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বুধবার
  • / 17

মোল্লা জসিমউদ্দিন: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি পেল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কলকাতা হাইকোর্ট এদিন ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য অনুমতি দিল। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশ, ‘আগামী ১ মার্চ সন্দেশখালির নির্দিষ্ট তিনটি জায়গায় যেতে পারবে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’।

 

আরও পড়ুন: ফের শুভেন্দু কে সন্দেশখালিতে শর্তসাপেক্ষে যাওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

আদালত জানিয়েছে, ‘সন্দেশখালির অন্তর্গত মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া ও নস্করপাড়ার রাসমন্দির এলাকায় যেতে পারবে ওই ৬ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’। তবে এর পাশাপাশি বিচারপতি কৌশিক চন্দ এও স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ‘এমন কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না, যার কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এই মর্মে স্থানীয় পুলিশের কাছে মুচলেকাও জমা দিতে হবে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে’।

 

প্রসঙ্গত, এর আগে গত রবিবার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফ্যাইন্ডিং টিম সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েছিল। ৬ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস-সহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরা। গত রবিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে মাঝরাস্তাতেই পুলিশ তাঁদের আটকে দিলে ঝামেলা শুরু হয়। এমনকী ভোজেরহাট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছিল বলে দাবি মামলাকারী আইনজীবীর। সেদিন পুলিশের বাধা পাওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের দাবি, ‘সন্দেশখালির অন্তর্গত মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া ও নস্করপাড়া রাসমন্দিরে যেতে অনুমতি দিক হাইকোর্ট’।

 

মামলকারী সংস্থার আইনজীবীর দাবি, ‘ওই তিনটি অঞ্চলে কোনও ১৪৪ ধারা জারি নেই’। যদিও রাজ্যের তরফে পাল্টা যুক্তি দেখানো হয়, কোনও বিধিবদ্ধ সংস্থাকে কখনও আটকানো হয়নি। কিন্তু এই সংস্থায় কারা আছেন? তারা কেন যাবেন? সেটাই প্রশ্ন রাজ্যের। যদিও বিচারপতি কৌশিক চন্দ ওই প্রতিনিধি দলকে সন্দেশখালির ওই উল্লেখিত জায়গাগুলিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়ে জানিয়ে দেন, ‘১৪৪ ধারা না থাকলে যে কেউ যেতে পারেন’। গত রবিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল দিল্লি থেকে আসা তথ্যসন্ধানী দলকে। বুধবার সেই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে অশান্ত সন্দেশখালিতে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত রবিবার বাধা পাওয়ার পরই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শর্তসাপেক্ষে সন্দেশখালিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কে যাওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, বুধবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি পেল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কলকাতা হাইকোর্ট এদিন ওই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য অনুমতি দিল। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশ, ‘আগামী ১ মার্চ সন্দেশখালির নির্দিষ্ট তিনটি জায়গায় যেতে পারবে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’।

 

আরও পড়ুন: ফের শুভেন্দু কে সন্দেশখালিতে শর্তসাপেক্ষে যাওয়ার অনুমতি দিল হাইকোর্ট

আদালত জানিয়েছে, ‘সন্দেশখালির অন্তর্গত মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া ও নস্করপাড়ার রাসমন্দির এলাকায় যেতে পারবে ওই ৬ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম’। তবে এর পাশাপাশি বিচারপতি কৌশিক চন্দ এও স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ‘এমন কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না, যার কারণে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়। এই মর্মে স্থানীয় পুলিশের কাছে মুচলেকাও জমা দিতে হবে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে’।

 

প্রসঙ্গত, এর আগে গত রবিবার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফ্যাইন্ডিং টিম সন্দেশখালি যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েছিল। ৬ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস-সহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরা। গত রবিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে মাঝরাস্তাতেই পুলিশ তাঁদের আটকে দিলে ঝামেলা শুরু হয়। এমনকী ভোজেরহাট এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছিল বলে দাবি মামলাকারী আইনজীবীর। সেদিন পুলিশের বাধা পাওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তাদের দাবি, ‘সন্দেশখালির অন্তর্গত মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া ও নস্করপাড়া রাসমন্দিরে যেতে অনুমতি দিক হাইকোর্ট’।

 

মামলকারী সংস্থার আইনজীবীর দাবি, ‘ওই তিনটি অঞ্চলে কোনও ১৪৪ ধারা জারি নেই’। যদিও রাজ্যের তরফে পাল্টা যুক্তি দেখানো হয়, কোনও বিধিবদ্ধ সংস্থাকে কখনও আটকানো হয়নি। কিন্তু এই সংস্থায় কারা আছেন? তারা কেন যাবেন? সেটাই প্রশ্ন রাজ্যের। যদিও বিচারপতি কৌশিক চন্দ ওই প্রতিনিধি দলকে সন্দেশখালির ওই উল্লেখিত জায়গাগুলিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়ে জানিয়ে দেন, ‘১৪৪ ধারা না থাকলে যে কেউ যেতে পারেন’। গত রবিবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল দিল্লি থেকে আসা তথ্যসন্ধানী দলকে। বুধবার সেই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটিকে অশান্ত সন্দেশখালিতে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত রবিবার বাধা পাওয়ার পরই রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা।