২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাওয়াদের আশঙ্কা, মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার
  • / 41

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সপ্তাহ শেষে রাজ্যে আঘাত হানতে পারে ঘুর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। এ নিয়ে রাজ্যের কৃষি দফতর বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। এবার সবরকম প্রস্তুতিও শুরু করল নবান্ন ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স বা এনডিআরএফ পাঠানো হল বিভিন্ন এলাকায়। বৃহস্পতিবারই জেলায় জেলায় এনডিআরএফ-এর বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

জানা গিয়েছে,  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন। সেখানেই এনডিআরএফ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়াও অন্যান্য জেলাতেও এনডিআরএফ-এর টিম পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারের তালিকাও দেওয়া হয়েছে। কোন কোন আধিকারিক কোন জেলার দায়িত্বে থাকবেন তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত অফিসারদের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে,  যাতে কেউ বিপদে পড়লে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।

আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে নৌকাডুবি, উদ্ধার ১৭জন তীর্থযাত্রী

 

আরও পড়ুন: সউদি আরবে বহু খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক : নেতানিয়াহু

দেশের আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,  অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের ব্যাপক প্রভাব পড়বে। ডিসেম্বরের ৪ তারিখ প্রবল বৃষ্টিপাতও হতে পারে। জোরে হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের কথা বলছে আবহাওয়া দফতর।

 

এদিকে জাওয়াদ নিয়ে বিশেষ সতর্ক হচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। এদিন নবান্নে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। তিনি উপকূলবর্তী জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে খবর। সুন্দরবন এলাকায় শুরু হয়েছে মাইকিং। আজ শুক্রবার থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা আগেই মাছ ধরতে গিয়েছেন– তাঁদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের উপকূলবর্তী যেসব পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে– সেখানে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। জেলাশাসকদের জাওয়াদ ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মোট ১৬টি এনডিআরএফ-এর টিম পাঠানো হয়েছে। তৈরি করা হচ্ছে ফ্লাড সেন্টার।

জানা গিয়েছে, নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর কথাও ভাবছে রাজ্য প্রশাসন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জাওয়াদের আশঙ্কা, মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য

আপডেট : ২ ডিসেম্বর ২০২১, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ সপ্তাহ শেষে রাজ্যে আঘাত হানতে পারে ঘুর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’। এ নিয়ে রাজ্যের কৃষি দফতর বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে। এবার সবরকম প্রস্তুতিও শুরু করল নবান্ন ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এরই মধ্যে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স বা এনডিআরএফ পাঠানো হল বিভিন্ন এলাকায়। বৃহস্পতিবারই জেলায় জেলায় এনডিআরএফ-এর বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: রাজ্যের নয়া মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল

জানা গিয়েছে,  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার এ নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেন। সেখানেই এনডিআরএফ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা ছাড়াও অন্যান্য জেলাতেও এনডিআরএফ-এর টিম পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারের তালিকাও দেওয়া হয়েছে। কোন কোন আধিকারিক কোন জেলার দায়িত্বে থাকবেন তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। সমস্ত অফিসারদের ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে,  যাতে কেউ বিপদে পড়লে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।

আরও পড়ুন: মহাকুম্ভে নৌকাডুবি, উদ্ধার ১৭জন তীর্থযাত্রী

 

আরও পড়ুন: সউদি আরবে বহু খালি জায়গা, সেখানে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র হোক : নেতানিয়াহু

দেশের আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর,  অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের ব্যাপক প্রভাব পড়বে। ডিসেম্বরের ৪ তারিখ প্রবল বৃষ্টিপাতও হতে পারে। জোরে হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের কথা বলছে আবহাওয়া দফতর।

 

এদিকে জাওয়াদ নিয়ে বিশেষ সতর্ক হচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। এদিন নবান্নে বৈঠক করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। তিনি উপকূলবর্তী জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রস্তুতি ও পদক্ষেপ নিয়ে বৈঠক করেছেন বলে খবর। সুন্দরবন এলাকায় শুরু হয়েছে মাইকিং। আজ শুক্রবার থেকে আগামী সোমবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যাঁরা আগেই মাছ ধরতে গিয়েছেন– তাঁদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের উপকূলবর্তী যেসব পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে– সেখানে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। জেলাশাসকদের জাওয়াদ ও তার পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মোট ১৬টি এনডিআরএফ-এর টিম পাঠানো হয়েছে। তৈরি করা হচ্ছে ফ্লাড সেন্টার।

জানা গিয়েছে, নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর কথাও ভাবছে রাজ্য প্রশাসন।