১৯ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরিয়ান-কাণ্ডে আর প্রকট হচ্ছে রাজনীতির যোগ, কেন ছাড়া হল বিজেপি নেতার আত্মীয়কে? উঠছে প্রশ্ন

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার
  • / 24

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ঝুলি থেকে একে একে বের হচ্ছে বেড়াল। আরিয়ান কাণ্ডে সামনে আসছে রাজনীতির যোগ।  মুম্বইয়ে প্রমোদতরীতে উদ্ধার হওয়া মাদক এবং শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানের গ্রেফতারিতে ‘বড়সড় ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুললেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র নেতা নবাব মালিক। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি) সকলের অগোচরে ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে ছেড়ে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন বিজেপি নেতার আত্মীয়। আর সে কারণেই একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মালিক।

এনসিবি কাদের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে এবং তারা কাদের ছেড়ে দিয়েছে সেই সমস্ত প্রমাণ নিয়ে শুক্রবার হাজির হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, দেশের মাদক বিরোধী সংস্থা গত এক বছর ধরে মুম্বইয়ে নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে শুধুমাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য। কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনা পরিচালিত সরকার, মুম্বই এবং বলিউডের বদনাম করতেই এ ধরনের ভুয়ো অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে দাবি মালিকের। তাঁর দাবি,  “এনসিবি ১০ জনকে আটক করলেও দু’জনকে ছেড়ে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন যিনি রবিবার এনসিবি-কে খবর দেন অভিযান চালানোর জন্য, অন্য জন বিজেপি নেতার আত্মীয়।”

নবাব মালিক বলেছেন,  ‘এনসিবি-র আঞ্চলিক অধিকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে দাবি করেছেন তাঁদের হেফাজতে ১০ জন রয়েছেন। অথচ আদালতে ৮ অভিযুক্তকে পেশ করা হল। যে আধিকারিক এই অভিযান চালিয়েছেন তিনিই তো অস্পষ্ট তথ্য দিচ্ছেন। ৮ জন, নাকি ১০ জনকে আটক করা হয়েছিল ঘটনার দিন সেই বিষয়টিই তো স্পষ্ট করছেন না তদন্তকারী আধিকারিক।”

মালিকের প্রশ্ন এনসিবির অভিযানের সময় ওই বিজেপি কর্মী কেন গিয়েছিলেন? যদিও ওই ব্যক্তি নাকি দাবি করেছেন এনসিবি-র অভিযানের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবেই নাকি তাঁর সেখানে যাওয়া। মালিক বলেন, “সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর এনসিবি-র নতুন অধিকর্তাকে আনা হল। গত ৩৫ বছরে এ রকম প্রচার পাওয়ার মতো কোনও কাজ করেনি এনসিবি। গত বছর থেকেই এই প্রচার পাওয়ার খেলা শুরু হয়েছে।”

মালিকের অভিযোগ, ‘‘মহারাষ্ট্রের বদনাম করাই লক্ষ্য এনসিবি-র। রিয়া চক্রবর্তী, দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে আরিয়ান খান— যেখানেই প্রাচর পাওয়ার মতো বিষয় আছে সেখানেই ঝাঁপাচ্ছে এনসিবি। অনেকগুলি মামলা আবার ভুয়ো। কোনও কোনও ঘটনায় মাদকই উদ্ধার হয়নি। এনসিবি নিজেদের দফতরের মাদক নিয়ে এসে সেগুলির ছবি তুলে দাবি করছে মাদক উদ্ধার হয়েছে! এবং সেই ছবি সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ করার জন্য দেওয়া হচ্ছে।’’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আরিয়ান-কাণ্ডে আর প্রকট হচ্ছে রাজনীতির যোগ, কেন ছাড়া হল বিজেপি নেতার আত্মীয়কে? উঠছে প্রশ্ন

আপডেট : ৮ অক্টোবর ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ঝুলি থেকে একে একে বের হচ্ছে বেড়াল। আরিয়ান কাণ্ডে সামনে আসছে রাজনীতির যোগ।  মুম্বইয়ে প্রমোদতরীতে উদ্ধার হওয়া মাদক এবং শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানের গ্রেফতারিতে ‘বড়সড় ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুললেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি)-র নেতা নবাব মালিক। তাঁর দাবি, এই ঘটনায় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি) সকলের অগোচরে ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে ছেড়ে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন বিজেপি নেতার আত্মীয়। আর সে কারণেই একটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন মালিক।

এনসিবি কাদের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে এবং তারা কাদের ছেড়ে দিয়েছে সেই সমস্ত প্রমাণ নিয়ে শুক্রবার হাজির হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এনসিপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, দেশের মাদক বিরোধী সংস্থা গত এক বছর ধরে মুম্বইয়ে নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে শুধুমাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য। কংগ্রেস, এনসিপি এবং শিবসেনা পরিচালিত সরকার, মুম্বই এবং বলিউডের বদনাম করতেই এ ধরনের ভুয়ো অভিযোগ আনা হচ্ছে বলে দাবি মালিকের। তাঁর দাবি,  “এনসিবি ১০ জনকে আটক করলেও দু’জনকে ছেড়ে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন যিনি রবিবার এনসিবি-কে খবর দেন অভিযান চালানোর জন্য, অন্য জন বিজেপি নেতার আত্মীয়।”

নবাব মালিক বলেছেন,  ‘এনসিবি-র আঞ্চলিক অধিকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে দাবি করেছেন তাঁদের হেফাজতে ১০ জন রয়েছেন। অথচ আদালতে ৮ অভিযুক্তকে পেশ করা হল। যে আধিকারিক এই অভিযান চালিয়েছেন তিনিই তো অস্পষ্ট তথ্য দিচ্ছেন। ৮ জন, নাকি ১০ জনকে আটক করা হয়েছিল ঘটনার দিন সেই বিষয়টিই তো স্পষ্ট করছেন না তদন্তকারী আধিকারিক।”

মালিকের প্রশ্ন এনসিবির অভিযানের সময় ওই বিজেপি কর্মী কেন গিয়েছিলেন? যদিও ওই ব্যক্তি নাকি দাবি করেছেন এনসিবি-র অভিযানের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবেই নাকি তাঁর সেখানে যাওয়া। মালিক বলেন, “সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর এনসিবি-র নতুন অধিকর্তাকে আনা হল। গত ৩৫ বছরে এ রকম প্রচার পাওয়ার মতো কোনও কাজ করেনি এনসিবি। গত বছর থেকেই এই প্রচার পাওয়ার খেলা শুরু হয়েছে।”

মালিকের অভিযোগ, ‘‘মহারাষ্ট্রের বদনাম করাই লক্ষ্য এনসিবি-র। রিয়া চক্রবর্তী, দীপিকা পাড়ুকোন থেকে শুরু করে আরিয়ান খান— যেখানেই প্রাচর পাওয়ার মতো বিষয় আছে সেখানেই ঝাঁপাচ্ছে এনসিবি। অনেকগুলি মামলা আবার ভুয়ো। কোনও কোনও ঘটনায় মাদকই উদ্ধার হয়নি। এনসিবি নিজেদের দফতরের মাদক নিয়ে এসে সেগুলির ছবি তুলে দাবি করছে মাদক উদ্ধার হয়েছে! এবং সেই ছবি সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ করার জন্য দেওয়া হচ্ছে।’’