১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় এসএসসির সেক্রেটারিকে তলব বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২২ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 35

পারিজাত মোল্লা:  বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ল এসএসসি কর্তৃপক্ষ। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছে এসএসসির সেক্রেটারিকে। বুধবারই তলব করা হয়েছিল। তবে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই তলব এড়িয়েছেন বলে জানা গেছে।

উচ্চ প্রাথমিকে ৮ জনের নিয়োগ হলেও জানেই না শিক্ষা সংসদ। কলকাতা হাইকোর্টে ভুল স্বীকার করলেও,  সংসদের কাজে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৮ জন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিতে যোগ দিলেও সে খবর নেই সংসদের কাছে। ভুয়ো নিয়োগের এক মামলায় উঠে এল এমনই নতুন তথ্য। এই ঘটনার জেরে উচ্চ প্রাথমিক সংসদের সচিবকে তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

আরও পড়ুন: ‘আমরা সবাই নিয়োগের পক্ষে’, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বার্তা বিচারপতি বসুর

জানা গিয়েছে, গত ২০১৬  সালের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই তথ্য সামনে এসেছে। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জারি করা প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। ১৮৬ জনের নিয়োগ হয়েছে নতুন করে। এই মর্মে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জনের খোঁজ মিলেছে, যারা চাকরি করছে অথচ বোর্ডের কাছে সে সংক্রান্ত কোনও খবরই নেই। বুধবার অবশ্য উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে তাদের ভুল স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে ।এদিন দুপুর দু’টোয় সংসদের সচিবকে ডেকে পাঠান বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু । তার আগে শুনানিতে কাউন্সিলের আইনজীবীর মুখে ভুলের তত্ত্ব শুনে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিচারপতি । তিনি পর্যবেক্ষণে বলেন, “সংসদ তো ভুলের সাগরে ভাসছে। আর কত ভুল দেখব?  আদালতে আসতে হবে সংসদের সচিবকে। তিনি একজন সরকারি আধিকারিক। তাঁর এত উদাসীনতার কী কারণ আছে, তা সবিস্তারে জানতে চায় আদালত।” কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির হননি সংসদের সচিব। ফের আজ  অর্থাত্‍ বৃহস্পতিবার বেলা দু’টোয় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসুর বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিআইডির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

এদিন কাউন্সিলের সচিবের দাখিল করা হলফনামায় খুশি হয়নি সিঙ্গেল বেঞ্চ। সংসদের সচিবের দেওয়া হলফনামা গ্রহণ করল না, কলকাতা হাইকোর্ট। হলফনামায় এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে চাকরিতে যোগদানকারী ৬৭ জন শিক্ষক নিয়োগপত্র নেননি। যার মধ্যে ৮ জন রয়েছেন। আবার হলফনামার অন্য অংশে উল্লেখ রয়েছে আটজন নিয়োগপত্র নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের বিবাদে ব্যাহত পড়ুয়াদের পড়াশোনা ‘: বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু

আজ  আদালতে হাজির হয়ে এর জবাব দিতে হবে সংসদের সচিবকে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ তালিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ১৮৬ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে সংসদ কী করে সুপারিশ করল? তা হলফনামার মাধ্যমে আদালতকে জানাতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।এখন দেখার এসএসসির সেক্রেটারি কি তথ্য দেন আদালতের কাছে?



                            

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ মামলায় এসএসসির সেক্রেটারিকে তলব বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর

আপডেট : ২২ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা:  বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ল এসএসসি কর্তৃপক্ষ। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তলব করা হয়েছে এসএসসির সেক্রেটারিকে। বুধবারই তলব করা হয়েছিল। তবে তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই তলব এড়িয়েছেন বলে জানা গেছে।

উচ্চ প্রাথমিকে ৮ জনের নিয়োগ হলেও জানেই না শিক্ষা সংসদ। কলকাতা হাইকোর্টে ভুল স্বীকার করলেও,  সংসদের কাজে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৮ জন উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিতে যোগ দিলেও সে খবর নেই সংসদের কাছে। ভুয়ো নিয়োগের এক মামলায় উঠে এল এমনই নতুন তথ্য। এই ঘটনার জেরে উচ্চ প্রাথমিক সংসদের সচিবকে তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।

আরও পড়ুন: ‘আমরা সবাই নিয়োগের পক্ষে’, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বার্তা বিচারপতি বসুর

জানা গিয়েছে, গত ২০১৬  সালের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনই তথ্য সামনে এসেছে। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের জারি করা প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। ১৮৬ জনের নিয়োগ হয়েছে নতুন করে। এই মর্মে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই মামলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮ জনের খোঁজ মিলেছে, যারা চাকরি করছে অথচ বোর্ডের কাছে সে সংক্রান্ত কোনও খবরই নেই। বুধবার অবশ্য উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে তাদের ভুল স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে ।এদিন দুপুর দু’টোয় সংসদের সচিবকে ডেকে পাঠান বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু । তার আগে শুনানিতে কাউন্সিলের আইনজীবীর মুখে ভুলের তত্ত্ব শুনে তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন বিচারপতি । তিনি পর্যবেক্ষণে বলেন, “সংসদ তো ভুলের সাগরে ভাসছে। আর কত ভুল দেখব?  আদালতে আসতে হবে সংসদের সচিবকে। তিনি একজন সরকারি আধিকারিক। তাঁর এত উদাসীনতার কী কারণ আছে, তা সবিস্তারে জানতে চায় আদালত।” কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজির হননি সংসদের সচিব। ফের আজ  অর্থাত্‍ বৃহস্পতিবার বেলা দু’টোয় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয় বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসুর বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিআইডির ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

এদিন কাউন্সিলের সচিবের দাখিল করা হলফনামায় খুশি হয়নি সিঙ্গেল বেঞ্চ। সংসদের সচিবের দেওয়া হলফনামা গ্রহণ করল না, কলকাতা হাইকোর্ট। হলফনামায় এক জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে চাকরিতে যোগদানকারী ৬৭ জন শিক্ষক নিয়োগপত্র নেননি। যার মধ্যে ৮ জন রয়েছেন। আবার হলফনামার অন্য অংশে উল্লেখ রয়েছে আটজন নিয়োগপত্র নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ‘শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের বিবাদে ব্যাহত পড়ুয়াদের পড়াশোনা ‘: বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু

আজ  আদালতে হাজির হয়ে এর জবাব দিতে হবে সংসদের সচিবকে, এমনই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ তালিকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ১৮৬ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে সংসদ কী করে সুপারিশ করল? তা হলফনামার মাধ্যমে আদালতকে জানাতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি । বৃহস্পতিবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি।এখন দেখার এসএসসির সেক্রেটারি কি তথ্য দেন আদালতের কাছে?