২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আমরা সবাই নিয়োগের পক্ষে’, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বার্তা বিচারপতি বসুর

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার
  • / 81

মোল্লা জসিমউদ্দিন: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে ওঠে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগ নিয়ে ফের স্কুল সার্ভিস কমিশনের ব্যাখ্যা চাইল হাইকোর্ট। ‘১৬০০ নিয়োগের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কোনও মামলা যুক্ত নয়’, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কমিশনকে। সেই জবাবে সন্তুষ্ট হলে তারপরই আদালত সিদ্ধান্ত নেবে সুপার নিউমেরারি পদে রাজ্য আদৌ নিয়োগ করতে পারবে কি না? এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু এজলাসে জানান, ‘আমরা সবাই নিয়োগের পক্ষে।’

 

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সব হস্টেল বন্ধ রাখতে হবে: calcutta high court

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে এজি কিশোর দত্ত বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে বিচারধীন আছে অন্য মামলা। সুপার নিউমেরারি পদে রাজ্যের লক্ষ্য একটাই, মেধায় কোনও আপস নয়। যেখানে কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার পোস্ট আছে সেই সব স্কুলেই নেওয়া হবে। ২০১৬ সালের ওয়েটিং লিস্ট থেকেই নেওয়া হবে। অন্তর্বর্তী নির্দেশ চাওয়া হচ্ছে এদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হোক। ১৬০০ পোস্ট করা হয়েছে। ৭৫০ কর্মশিক্ষার জন্য, বাকি শারীরশিক্ষার।’ তবে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বীকার করেছিল বেআইনি নিয়োগ রেখে দিতেই এই সুপার নিউমেরারি পোস্ট করা হয়। ডিভিশন বেঞ্চেও তারা এই একই কথা জানায়। পরে সিঙ্গেল বেঞ্চে এই শব্দ তারা প্রত্যাহার করে।’

আরও পড়ুন: ২০ হাজার আবেদনপত্র বাদ পড়ল এসএসসিতে

 

আরও পড়ুন: অযোগ্য পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন

যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী বলেন, ‘এটা সত্যি নয়। সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে এই পোস্ট তৈরি হয়।’ সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেন, ‘রাজ্য কি এই পোস্ট তৈরি করতে পারে? কারা এই পদ পাওয়ার যোগ্য? স্কুল সার্ভিস কমিশনকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে এই ১৬০০ জনের নিয়োগের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কোনও মামলা জড়িত নেই’। আদালতও নিয়োগের পক্ষে, তা বলেন বিচারপতি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

 

সুপার নিউমারারি পোস্টে কেন নতুন শূন্যপদের প্রয়োজন হল? কাদের জন্য সেই পদ তৈরি করা হয়েছে? স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্যের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাস। এদিন সিঙ্গেল বেঞ্চে সেই রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। এব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ, হলফনামা দেওয়ার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের মামলার সঙ্গে এই নিয়োগে বাধা আছে কি না? তাও রাজ্য ও বোর্ডকে জানাতে হবে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই হলফনামা পাওয়ার পরই নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত ১৯ মে ২০২২ সালে ১৬০০ পদ তৈরি করা হয়েছিল। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘আমরা সবাই নিয়োগের পক্ষে’, স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বার্তা বিচারপতি বসুর

আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, মঙ্গলবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে ওঠে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। সুপার নিউমেরারি পদে নিয়োগ নিয়ে ফের স্কুল সার্ভিস কমিশনের ব্যাখ্যা চাইল হাইকোর্ট। ‘১৬০০ নিয়োগের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কোনও মামলা যুক্ত নয়’, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে কমিশনকে। সেই জবাবে সন্তুষ্ট হলে তারপরই আদালত সিদ্ধান্ত নেবে সুপার নিউমেরারি পদে রাজ্য আদৌ নিয়োগ করতে পারবে কি না? এদিন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি বিশ্বজিত্‍ বসু এজলাসে জানান, ‘আমরা সবাই নিয়োগের পক্ষে।’

 

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সব হস্টেল বন্ধ রাখতে হবে: calcutta high court

মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে এজি কিশোর দত্ত বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে বিচারধীন আছে অন্য মামলা। সুপার নিউমেরারি পদে রাজ্যের লক্ষ্য একটাই, মেধায় কোনও আপস নয়। যেখানে কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার পোস্ট আছে সেই সব স্কুলেই নেওয়া হবে। ২০১৬ সালের ওয়েটিং লিস্ট থেকেই নেওয়া হবে। অন্তর্বর্তী নির্দেশ চাওয়া হচ্ছে এদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হোক। ১৬০০ পোস্ট করা হয়েছে। ৭৫০ কর্মশিক্ষার জন্য, বাকি শারীরশিক্ষার।’ তবে মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, ‘স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বীকার করেছিল বেআইনি নিয়োগ রেখে দিতেই এই সুপার নিউমেরারি পোস্ট করা হয়। ডিভিশন বেঞ্চেও তারা এই একই কথা জানায়। পরে সিঙ্গেল বেঞ্চে এই শব্দ তারা প্রত্যাহার করে।’

আরও পড়ুন: ২০ হাজার আবেদনপত্র বাদ পড়ল এসএসসিতে

 

আরও পড়ুন: অযোগ্য পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন

যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী বলেন, ‘এটা সত্যি নয়। সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে এই পোস্ট তৈরি হয়।’ সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বসু প্রশ্ন করেন, ‘রাজ্য কি এই পোস্ট তৈরি করতে পারে? কারা এই পদ পাওয়ার যোগ্য? স্কুল সার্ভিস কমিশনকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে এই ১৬০০ জনের নিয়োগের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের কোনও মামলা জড়িত নেই’। আদালতও নিয়োগের পক্ষে, তা বলেন বিচারপতি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে।

 

সুপার নিউমারারি পোস্টে কেন নতুন শূন্যপদের প্রয়োজন হল? কাদের জন্য সেই পদ তৈরি করা হয়েছে? স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং রাজ্যের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাস। এদিন সিঙ্গেল বেঞ্চে সেই রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। এব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ, হলফনামা দেওয়ার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের মামলার সঙ্গে এই নিয়োগে বাধা আছে কি না? তাও রাজ্য ও বোর্ডকে জানাতে হবে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই হলফনামা পাওয়ার পরই নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত ১৯ মে ২০২২ সালে ১৬০০ পদ তৈরি করা হয়েছিল। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারিতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।