১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক নজরে দেশের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলি

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার
  • / 63

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দেশের ইতিহাসে সব থেকে ভয়াবহ উড়ান দুর্ঘটনা ঘটেছিল হরিয়ানায়। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর হরিয়ানার চরখি দাদরি এলাকায় সউদি ফ্লাইট ৭৬৩ উড়ানটি ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়। পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর উড়ান দুর্ঘটনা ছিল এটি।

এ ছাড়াও একাধিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে ভারতে। ২০২০ সালে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট ১৩৪৪ দুবাই থেকে কোঝিকোড়ের উদ্দেশে আসছিল। ফ্লাইটটি কোভিডের সময়ে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনছিল। প্রতিকূল আবহাওয়া এবং রানওয়ে ক্লিয়ারেন্স না থাকায় উড়ানটি দু’বার অবতরণ বাতিল করে।

আরও পড়ুন: DNA পরীক্ষায় শনাক্ত ৯ মৃতদেহ, এক যাত্রীর দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে

তৃতীয়বার অবতরণের সময়ে রানওয়ে ছোঁয়ার মুহূর্তেই পিছলে ৩০-৩৫ ফুট ঢালে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ১৯ জন যাত্রী এবং ফ্লিটের উভয় পাইলট মারা যান। ২০১০ সালে কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোরে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট ৮১২-এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের

দুবাই থেকে ম্যাঙ্গালোরগামী ফ্লাইটটি রানওয়েতে নামার সময়েই আগুন লেগে যায়। এই দুর্ঘটনায় ১৫৮ জন যাত্রী নিহত হন। ২০০০-এর ১৭ জুলাই অ্যালায়েন্স এয়ারের ফ্লাইট ৭৪১২ কলকাতা থেকে দিল্লিগামী ফ্লাইটটি বিহারের পাটনার একটি জনবহুল এলাকায় ভেঙে পড়ে। ডিজিসিএ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, পাইলটের ভুলের কারণেই উড়ানটি ভেঙে পড়ে।

আরও পড়ুন: আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার জের, ড্রিমলাইনারের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার চিন্তা কেন্দ্রের

এই দুর্ঘটনায় ৬০ জন নিহত হন। এর মধ্যে নীচে থাকা ৫ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৯৩ সালে ২৬ এপ্রিল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৪৯ আওরঙ্গাবাদ থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। ওড়ার কয়েক মুহূর্ত আগে রানওয়ের শেষপ্রান্তে একটি ট্রাকের সঙ্গে বিমানের একটি অংশের ধাক্কা লাগে।

এই দুর্ঘটনায় ৫৫ জনের মৃত্যু হয়। ১৯৯১-এর ১৬ আগস্ট ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ২৫৭ ইম্ফলের কাছে ভেঙে পড়ে। বিমানের ৬৯ আরোহীর সকলেরই মৃত্যু হয়। ১৯৮৮-র ১৯ অক্টোবর ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ১১৩ ফ্লাইটটি মুম্বই থেকে আহমদাবাদ যাচ্ছিল। উড়ানটি নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট দেরিতে মুম্বই এয়ারপোর্ট থেকে রওনা দেয়।

তবে আহমদাবাদ এয়ারপোর্টে নামার আগে কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল রানওয়ে। দৃশ্যমানতার অভাবের কারণেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ১৩৫ জনের মধ্যে ১৩৩ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। ১৯৭৮-এর ১ জানুয়ারি মুম্বই থেকে দুবাইগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ৮৫৫ উড়ানের ২ মিনিটের মধ্যেই আরব সাগরে ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় ২১৩ জন যাত্রীর। জানা যায়, উড়ানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই পাইলট নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। স্বাধীন দেশের প্রথম ভয়ংকরতম উড়ান দুর্ঘটনাটি ছিল এটি।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এক নজরে দেশের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলি

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: দেশের ইতিহাসে সব থেকে ভয়াবহ উড়ান দুর্ঘটনা ঘটেছিল হরিয়ানায়। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর হরিয়ানার চরখি দাদরি এলাকায় সউদি ফ্লাইট ৭৬৩ উড়ানটি ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ৩৪৯ জনের মৃত্যু হয়। পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর উড়ান দুর্ঘটনা ছিল এটি।

এ ছাড়াও একাধিক বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে ভারতে। ২০২০ সালে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট ১৩৪৪ দুবাই থেকে কোঝিকোড়ের উদ্দেশে আসছিল। ফ্লাইটটি কোভিডের সময়ে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনছিল। প্রতিকূল আবহাওয়া এবং রানওয়ে ক্লিয়ারেন্স না থাকায় উড়ানটি দু’বার অবতরণ বাতিল করে।

আরও পড়ুন: DNA পরীক্ষায় শনাক্ত ৯ মৃতদেহ, এক যাত্রীর দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারের হাতে

তৃতীয়বার অবতরণের সময়ে রানওয়ে ছোঁয়ার মুহূর্তেই পিছলে ৩০-৩৫ ফুট ঢালে পড়ে যায়। দুর্ঘটনায় ১৯ জন যাত্রী এবং ফ্লিটের উভয় পাইলট মারা যান। ২০১০ সালে কর্নাটকের ম্যাঙ্গালোরে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট ৮১২-এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটারদের

দুবাই থেকে ম্যাঙ্গালোরগামী ফ্লাইটটি রানওয়েতে নামার সময়েই আগুন লেগে যায়। এই দুর্ঘটনায় ১৫৮ জন যাত্রী নিহত হন। ২০০০-এর ১৭ জুলাই অ্যালায়েন্স এয়ারের ফ্লাইট ৭৪১২ কলকাতা থেকে দিল্লিগামী ফ্লাইটটি বিহারের পাটনার একটি জনবহুল এলাকায় ভেঙে পড়ে। ডিজিসিএ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, পাইলটের ভুলের কারণেই উড়ানটি ভেঙে পড়ে।

আরও পড়ুন: আমদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার জের, ড্রিমলাইনারের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার চিন্তা কেন্দ্রের

এই দুর্ঘটনায় ৬০ জন নিহত হন। এর মধ্যে নীচে থাকা ৫ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। ১৯৯৩ সালে ২৬ এপ্রিল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৪৯ আওরঙ্গাবাদ থেকে মুম্বইয়ের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা ছিল। ওড়ার কয়েক মুহূর্ত আগে রানওয়ের শেষপ্রান্তে একটি ট্রাকের সঙ্গে বিমানের একটি অংশের ধাক্কা লাগে।

এই দুর্ঘটনায় ৫৫ জনের মৃত্যু হয়। ১৯৯১-এর ১৬ আগস্ট ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ২৫৭ ইম্ফলের কাছে ভেঙে পড়ে। বিমানের ৬৯ আরোহীর সকলেরই মৃত্যু হয়। ১৯৮৮-র ১৯ অক্টোবর ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ১১৩ ফ্লাইটটি মুম্বই থেকে আহমদাবাদ যাচ্ছিল। উড়ানটি নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট দেরিতে মুম্বই এয়ারপোর্ট থেকে রওনা দেয়।

তবে আহমদাবাদ এয়ারপোর্টে নামার আগে কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল রানওয়ে। দৃশ্যমানতার অভাবের কারণেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। ১৩৫ জনের মধ্যে ১৩৩ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। ১৯৭৮-এর ১ জানুয়ারি মুম্বই থেকে দুবাইগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ৮৫৫ উড়ানের ২ মিনিটের মধ্যেই আরব সাগরে ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় ২১৩ জন যাত্রীর। জানা যায়, উড়ানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই পাইলট নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি। স্বাধীন দেশের প্রথম ভয়ংকরতম উড়ান দুর্ঘটনাটি ছিল এটি।