০২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পিছিয়ে পড়া এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে বড় ভূমিকা পালন করেছে মাদ্রাসা:  ইমরান

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩, বুধবার
  • / 23

মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলনে আহমদ হাসান, রুকুউদ্দিন লস্কর, মাওলানা মুহাম্মদ জরিফুল ইসলাম, মাহাবুব আলম, মোফাক্কেরুল ইসলাম। (ছবি-খালিদুর রহিম)

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে,  ১ হাজার মাদ্রাসাকে অনুমোদন দেওয়া হবে।

তারপর অবশ্য ২৩৫টি মাদ্রাসাকে অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। বাকি ৫০০-র বেশি অনুমোদনহীন মাদ্রাসার পরিকাঠামো ঠিক রয়েছে,  সেগুলিকেও অনুমোদন প্রদান করা হোক।

আরও পড়ুন: মুসলিমদের আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি চাই মূল্যবোধের শিক্ষাও: ইমরান

মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই দাবি জানাল ‘পশ্চিমবঙ্গ অনুমোদনহীন মাদ্রাসা টিচার্স ওয়ালফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’।

আরও পড়ুন: আমাদের প্রতি সমর্থন আরও বাড়ছে: ইমরান

এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, দৈনিক পুবের কলম-এর সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ জরিফুল ইসলাম, আইনজীবী মোফাক্কেরুল ইসলাম, রুকুউদ্দিন লস্কর, সহিদুল ইসলাম, মুহাম্মদ সামিউল ইসলাম, এমএসকে-মাদ্রাসা,  শিক্ষক সংগঠনের নেতা মেহেবুব আলম প্রমুখ।

আরও পড়ুন: ধ্বংসের পথে দেশ: ইমরান

এ দিন আহমদ হাসান ইমরান তাঁর বক্তব্যে শিক্ষা বিস্তারে মাদ্রাসার ভূমিকা উল্লেখ করেন এবং রাজ্যের সংখ্যালঘুদের সামাজিক অবস্থান নিয়ে আলোকপাত করেন।

তিনি বলেন, সংখ্যালঘুরা পিছিয়ে পড়েছে। কয়েকটি জেলা বিশেষ করে জলপাইগুড়ি, দিনাজপুর, পুরুলিয়া প্রভৃতি জেলায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে সংখ্যালঘুরা। পরিসংখ্যান বলছে, শিক্ষা, চাকরি সব জায়গাতেই তারা পিছিয়ে রয়েছে। সেই জায়গায় যেখানে স্কুল নেই সেই পিছিয়ে পড়া এলাকায় মাদ্রাসাগুলি শিক্ষা বিস্তারে বিরাট ভূমিকা পালন করছে।

এ দিন কর্নাটকে পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের জন্য চাকুরিতে ৪ শতাংশ সংরক্ষণ বিধি তুলে দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রের শাসকদলের সমালোচনাও করেন ইমরান।

তিনি বলেন, ‘সবকা সাথ-সবকা বিকাশ’ বলা হলেও কেন্দ্রের শাসকরা সংবিধান মানছে না, গণতন্ত্র মানছে না। খ্রিস্টানদের উপর অত্যাচার নিয়ে বলতে গিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং চার্চের  প্রসঙ্গও তোলেন ইমরান। তারপরই তিনি অ্যাডেড অনুমোদনহীন মাদ্রাসার অনুমোদনের জন্য সওয়াল করেন।

তাঁর কথায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কাজ করছেন, তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অন্তত  ৫০০ মাদ্রাদা অনুমোদন পেতে পারে।

তিনি রাজ্য সরকারের কাজের প্রশংসা করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  চাইছেন সংখ্যালঘুরা উঠে আসুক। তাই সেই  দফতরের দায়িত্ব নিজে নিয়েছেন, সঙ্গে রাষ্ট্রমন্ত্রী রেখেছেন তাজমুল হোসেনকে।

মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবিকে নায্য বলে উল্লেখ করে শিক্ষা বিস্তারে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য মাদ্রাসা গুলিকে অনুমোদন দেওয়ার কথা বলেন ইমরান। সমাজ উন্নয়ন ও সম্প্রীতির জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার কথাও বলেন, তিনি।

অন্যদিকে মাওলানা মুহাম্মদ জরিফুল ইসলাম, মোফাক্কেরুল ইসলাম, রুকুউদ্দিন লস্কর, সহিদুল ইসলামরা সবাই আনঅ্যাডেড  মাদ্রাসাগুলির বর্তমান অবস্থার নানান দিক তুলে ধরেন এবং অনুমোদনের পক্ষে সওয়াল করেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পিছিয়ে পড়া এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে বড় ভূমিকা পালন করেছে মাদ্রাসা:  ইমরান

আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে,  ১ হাজার মাদ্রাসাকে অনুমোদন দেওয়া হবে।

তারপর অবশ্য ২৩৫টি মাদ্রাসাকে অনুমোদন দিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। বাকি ৫০০-র বেশি অনুমোদনহীন মাদ্রাসার পরিকাঠামো ঠিক রয়েছে,  সেগুলিকেও অনুমোদন প্রদান করা হোক।

আরও পড়ুন: মুসলিমদের আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি চাই মূল্যবোধের শিক্ষাও: ইমরান

মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই দাবি জানাল ‘পশ্চিমবঙ্গ অনুমোদনহীন মাদ্রাসা টিচার্স ওয়ালফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’।

আরও পড়ুন: আমাদের প্রতি সমর্থন আরও বাড়ছে: ইমরান

এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, দৈনিক পুবের কলম-এর সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ জরিফুল ইসলাম, আইনজীবী মোফাক্কেরুল ইসলাম, রুকুউদ্দিন লস্কর, সহিদুল ইসলাম, মুহাম্মদ সামিউল ইসলাম, এমএসকে-মাদ্রাসা,  শিক্ষক সংগঠনের নেতা মেহেবুব আলম প্রমুখ।

আরও পড়ুন: ধ্বংসের পথে দেশ: ইমরান

এ দিন আহমদ হাসান ইমরান তাঁর বক্তব্যে শিক্ষা বিস্তারে মাদ্রাসার ভূমিকা উল্লেখ করেন এবং রাজ্যের সংখ্যালঘুদের সামাজিক অবস্থান নিয়ে আলোকপাত করেন।

তিনি বলেন, সংখ্যালঘুরা পিছিয়ে পড়েছে। কয়েকটি জেলা বিশেষ করে জলপাইগুড়ি, দিনাজপুর, পুরুলিয়া প্রভৃতি জেলায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে সংখ্যালঘুরা। পরিসংখ্যান বলছে, শিক্ষা, চাকরি সব জায়গাতেই তারা পিছিয়ে রয়েছে। সেই জায়গায় যেখানে স্কুল নেই সেই পিছিয়ে পড়া এলাকায় মাদ্রাসাগুলি শিক্ষা বিস্তারে বিরাট ভূমিকা পালন করছে।

এ দিন কর্নাটকে পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের জন্য চাকুরিতে ৪ শতাংশ সংরক্ষণ বিধি তুলে দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রের শাসকদলের সমালোচনাও করেন ইমরান।

তিনি বলেন, ‘সবকা সাথ-সবকা বিকাশ’ বলা হলেও কেন্দ্রের শাসকরা সংবিধান মানছে না, গণতন্ত্র মানছে না। খ্রিস্টানদের উপর অত্যাচার নিয়ে বলতে গিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং চার্চের  প্রসঙ্গও তোলেন ইমরান। তারপরই তিনি অ্যাডেড অনুমোদনহীন মাদ্রাসার অনুমোদনের জন্য সওয়াল করেন।

তাঁর কথায়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কাজ করছেন, তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অন্তত  ৫০০ মাদ্রাদা অনুমোদন পেতে পারে।

তিনি রাজ্য সরকারের কাজের প্রশংসা করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  চাইছেন সংখ্যালঘুরা উঠে আসুক। তাই সেই  দফতরের দায়িত্ব নিজে নিয়েছেন, সঙ্গে রাষ্ট্রমন্ত্রী রেখেছেন তাজমুল হোসেনকে।

মাদ্রাসা শিক্ষকদের দাবিকে নায্য বলে উল্লেখ করে শিক্ষা বিস্তারে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য মাদ্রাসা গুলিকে অনুমোদন দেওয়ার কথা বলেন ইমরান। সমাজ উন্নয়ন ও সম্প্রীতির জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার কথাও বলেন, তিনি।

অন্যদিকে মাওলানা মুহাম্মদ জরিফুল ইসলাম, মোফাক্কেরুল ইসলাম, রুকুউদ্দিন লস্কর, সহিদুল ইসলামরা সবাই আনঅ্যাডেড  মাদ্রাসাগুলির বর্তমান অবস্থার নানান দিক তুলে ধরেন এবং অনুমোদনের পক্ষে সওয়াল করেন।