১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরও ভয়ংকর রূপ নিয়েছে মোকা, ৩ জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ মে ২০২৩, শনিবার
  • / 31

পুবের কলম প্রতিবেদক: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিল মোকা। তা প্রবল গতিতে আছড়ে পড়তে পারে মায়ানমারে। বাংলায় এর ঠিক কী প্রভাব পড়তে চলেছে? এবার সেই যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে মোকার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার। বর্তমানে তা পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এবং কক্স বাজার থেকে এর দূরত্ব ৬৮০ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই তা অতি ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এবং তা উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ল্যান্ডফলের সময় মোকার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৯০ থেকে ২০০ কিলোমিটার। মায়ানমার এবং বাংলাদেশের উপরেই মূলত মোকার প্রভাব পড়ার কথা। মোকার সরাসরি কোনও প্রভাব বাংলার উপরে পড়বে না। কিন্তু, যেহেতু এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল হতে পারে সাগর। আর সেই কারণে ১৪ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মোকার প্রভাবে শনিবার মেঘলা আকাশ ছিল পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। শুধু তাই নয়, এই জেলাগুলির পাশাপাশি সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদিও রবিবার সেভাবে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা এই জেলাগুলিতে নেই। কিন্তু, সোমবার থেকে ফের হাওয়া বদলের সম্ভাবনা।

আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় প্রবল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

রাজ্যের একাধিক জেলায় সোম এবং মঙ্গলবার তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই জেলাগুলি হল- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম। আগামী সপ্তাহে এই জেলাগুলির তাপমাত্রা বেড়ে ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। তবে কলকাতা এবং লাগোয়া জেলাগুলিতে এখনই হিট ওয়েবের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। ১৭ তারিখ থেকে ২২ তারিখ বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও হতে পারে বৃষ্টিপাত। দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। মোকার বিষয়ে পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের থেকে তৎপরতা নেওয়া শুরু হয়েছে। কন্ট্রোলরুম খুলেছিল লালবাজার।

আরও পড়ুন: আগামী অতিমারি আরও ভয়ঙ্কর হবে,  সতর্কবার্তা হু প্রধানের

দিঘার সমুদ্র সৈতকেও চলছে কড়া নজরদারি। আজ পর্যন্ত পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আয়লা সেন্টারগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতের পাশাপাশি মোকা মোকাবিলায় তৎপর বাংলাদেশ প্রশাসনও। সেখানে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য একাধিক নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাঁচা বাড়িতে থাকা মানুষজনদের।

আরও পড়ুন: বিকেলেই রাতের আঁধার, কালো মেঘে ঢাকল আকাশ, বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার সহ বৃষ্টি কলকাতা সহ জেলাগুলিতে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আরও ভয়ংকর রূপ নিয়েছে মোকা, ৩ জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা

আপডেট : ১৩ মে ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিল মোকা। তা প্রবল গতিতে আছড়ে পড়তে পারে মায়ানমারে। বাংলায় এর ঠিক কী প্রভাব পড়তে চলেছে? এবার সেই যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে মোকার গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার। বর্তমানে তা পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এবং কক্স বাজার থেকে এর দূরত্ব ৬৮০ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই তা অতি ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এবং তা উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

ল্যান্ডফলের সময় মোকার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৯০ থেকে ২০০ কিলোমিটার। মায়ানমার এবং বাংলাদেশের উপরেই মূলত মোকার প্রভাব পড়ার কথা। মোকার সরাসরি কোনও প্রভাব বাংলার উপরে পড়বে না। কিন্তু, যেহেতু এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উত্তাল হতে পারে সাগর। আর সেই কারণে ১৪ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মোকার প্রভাবে শনিবার মেঘলা আকাশ ছিল পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। শুধু তাই নয়, এই জেলাগুলির পাশাপাশি সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদিও রবিবার সেভাবে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা এই জেলাগুলিতে নেই। কিন্তু, সোমবার থেকে ফের হাওয়া বদলের সম্ভাবনা।

আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় প্রবল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস

রাজ্যের একাধিক জেলায় সোম এবং মঙ্গলবার তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই জেলাগুলি হল- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম। আগামী সপ্তাহে এই জেলাগুলির তাপমাত্রা বেড়ে ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। তবে কলকাতা এবং লাগোয়া জেলাগুলিতে এখনই হিট ওয়েবের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানানো হয়েছে। ১৭ তারিখ থেকে ২২ তারিখ বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকছে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও হতে পারে বৃষ্টিপাত। দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। মোকার বিষয়ে পূর্বাভাস পাওয়ার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের থেকে তৎপরতা নেওয়া শুরু হয়েছে। কন্ট্রোলরুম খুলেছিল লালবাজার।

আরও পড়ুন: আগামী অতিমারি আরও ভয়ঙ্কর হবে,  সতর্কবার্তা হু প্রধানের

দিঘার সমুদ্র সৈতকেও চলছে কড়া নজরদারি। আজ পর্যন্ত পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আয়লা সেন্টারগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। ভারতের পাশাপাশি মোকা মোকাবিলায় তৎপর বাংলাদেশ প্রশাসনও। সেখানে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য একাধিক নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কাঁচা বাড়িতে থাকা মানুষজনদের।

আরও পড়ুন: বিকেলেই রাতের আঁধার, কালো মেঘে ঢাকল আকাশ, বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার সহ বৃষ্টি কলকাতা সহ জেলাগুলিতে