ধর্ষণের শিকার সত্তরের বেশি নাবালিকা, ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে বেআব্রু নারী নিরাপত্তা

- আপডেট : ৫ মে ২০২৫, সোমবার
- / 59
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: নারী নির্যাতনের শীর্ষে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। নারী নিরাপত্তারও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে যোগী রাজ্যে। ডবল ইঞ্জিন সরকারের আরেক রাজ্য উত্তরাখণ্ডে প্রকাশ্যে এলো নক্কারজনক ঘটনা। রাজ্যটিতে সত্তরের বেশি নাবালিকা মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে এমন ৭২টি ঘটনা চিহ্নিত করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। সবথেকে উদ্বেগের বিষয়, এই সমস্ত নাবালিকা সন্তান প্রসবও করেছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর ডবল ইঞ্জিন সরকারের রাজ্যে নারী নিরাপত্তা বেআব্রু হয়েছে।
যে সমস্ত নাবালিকা সন্তানের জন্ম দিয়েছে, তারা কীভাবে সন্তানদের মানুষ করবে! এনিয়ে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার মা ও শিশু উভয়ের লালন-পালন এবং দক্ষতা বিকাশের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ও সহায়তা করবে। নাবালিকাদের ২৩ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তারা বিশেষ সহায়তা পাবে বলে ঘোষণা করেছে পুষ্কর সিং ধামির সরকার। রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের অধিকর্তা প্রশান্ত আর্য বলেন, “রাজ্যে বর্তমানে ৭২ জন কিশোরী রয়েছে, যারা ধর্ষণের শিকার হয়ে মা হয়েছে।”
১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের অধীনে নাবালিকাদের সহায়তা করা হবে বলে জানিয়েছে নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের অধিকর্তা। তিনি বলেন, “এর উদ্দেশ্য হল নাবালিকা মায়েদের সহায়তা এবং বিশেষ মনস্তাত্ত্বিক মনোযোগ প্রদান করা হবে।” আধিকারিকের কথায়, এই কর্মসূচির আওতায় চিকিৎসা সেবা, আইনি সহায়তা, আবাসন, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে। প্রশাসনিক সহায়তার মধ্যে রয়েছে মা ও শিশু উভয়ের জন্য আধার কার্ড নিবন্ধন এবং জন্ম শংসাপত্র নিশ্চিত করা। এজন্য প্রতিটি জেলার জন্য ১০ লাখ টাকা বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। নাবালিকাদের স্বাবলম্বী করে তোলায় হবে মূল লক্ষ্য।
ডেপুটি চিফ প্রবেশন অফিসার (ডিসিপিও) অঞ্জনা গুপ্তা বলেন, “১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত নির্যাতিতাদের সহায়তা করা হবে। যদি সে শিশুটিকে না রাখতে চায় তবে শিশুটিকে হোমে রাখার বিকল্প রয়েছে।” তিনি আরও জানান, “মাসিক চার হাজার টাকা আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এককালীন ছয় হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে।”