১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাকরি পেতে হিন্দু সাজেন সমীর! ‘নিকাহ’র ছবি প্রকাশ্যে এনে দাবি নবাব মালিকের

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, বুধবার
  • / 26

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সমীর ওয়াংখেড়ের নিকাহ-র ছবি সামনে আনলেন মহারাষ্ট্রের উন্নয়নমন্ত্রী নবাব মালিক।আরিয়ান খানের গ্রেফতারির পর থেকে জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনসিবি-র এই কর্তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেই চলেছেন নবাব। তবে এ বার তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য সমীরের ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের চাকরি এবং সেই চাকরি পাওয়ার জন্য তথ্যগত ‘দুর্নীতি’র আশ্রয় নেওয়া।

বুধবার সকাল ৭টা ৪১ মিনিটে সমীরের বিয়ের ছবিটি টুইটারে প্রকাশ করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা নবাব। বর্ণনায় কিছুটা রসিকতার সুরেই লেখেন, এক মিষ্টি দম্পতির ছবি। সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে এবং চিকিৎসক শাবানা কুরেশি। এখনকার দুঁদে এনসিবি কর্তা সমীর ২০০৬ সালের ওই ছবিতে একজন অল্পবয়সি যুবক। বিয়ের দিন প্রথম স্ত্রী শাবানাকে নিয়ে ছবিটি তুলিয়েছিলেন তিনি। ওই ছবি এবং তার পরে সমীরের মুসলিম মতে বিয়ের শংসাপত্র বা নিকাহনামা প্রকাশ করেচেন নবাব।

আরও পড়ুন: শাহরুখ পুত্রের কাছ থেকে ঘুষ চাওয়া সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ইডির মামলা

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব জানিয়েছেন, সমীরের ধর্ম নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তিনি শুধু চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চান সমীর একজন অসৎ ব্যক্তি। যিনি চাকরির প্রয়োজনে খাতায় কলমে নিজের ধর্ম কিংবা জাতি বদলে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করেননি।

আরও পড়ুন: প্রভাবশালী তত্ত্ব খাটিয়ে ‘মিথ্যা ও অবমাননাকর’ মন্তব্য করছেন নবাব মালিক, ফের অভিযোগ দায়ের সমীর ওয়াংখেড়ের বাবার

মঙ্গলবার সমীরের বিরুদ্ধে ২৬টি অনিয়মের বিবরণ দেওয়া একটি চিঠি টুইটারে প্রকাশ করেছিলেন নবাব মালিক। সোমবার তিনি বলেছিলেন, মুসলিম হয়েও স্রেফ চাকরি পাওয়ার জন্য জাত-পাতের ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করেছিলেন সমীর। সেখানে নিজেকে প্রান্তিক হিন্দু বলে দাবি করেছিলেন।

আরও পড়ুন: নবাব মালিকের বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের মানহানির মামলা করলেন সমীর ওয়াংখেড়ের বাবা

 নবাব বলেছিলেন, এনসিবির রেকর্ডে সমীরের বাবার নাম দ্যাঁনদেব ওয়াংখেড়ে লেখা থাকলেও আসলে তাঁর নাম দাউদ। নবাবের দাবি অবশ্য তখন অস্বীকার করেছিলেন সমীরের বাবা। 

২০০৬ সালের ডিসেম্বরে সমীরের হাতে লেখা যে নিকাহনামা সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে শাবানা জহির কুরেশির সাথে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। নিকাহনামাতে তাঁর নাম রয়েছে সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে।

সাংবাদিক সম্মেলনে নবাব মালিক বলেন,“সংবিধান অনুযায়ী তফসিলি জাতি থেকে কেউ যদি ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম বা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন তবে তিনি তিনি আর সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার দাবিদার নন। ওয়াংখেড়ের ক্ষেত্রে, মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তিনি সংরক্ষণের সুবিধা পেতে তার শংসাপত্র জাল করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, “

সমীরের বাবা ধ্যানেশ্বরও বলেন, ‘আমার ছেলের নিকাহ হয়েছিল ইসলামি নিয়ম মেনে। সেখানে দু’জন অমুসলিমের মধ্যে বিয়ে সম্ভব নয়।আমার স্ত্রীও মুসলিম। ভালোবেসে তাকে বিয়ে করার জন্য আমি নিকাহ নামায় ‘দাউদ’ নাম ব্যবহার করি। কিন্তুঅন্য কোনও নথিতে আমি এই নাম ব্যবহার করিনি। সরকারি নথিতে আমার নাম ধ্যানেশ্বর ওয়াংখেড়ে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চাকরি পেতে হিন্দু সাজেন সমীর! ‘নিকাহ’র ছবি প্রকাশ্যে এনে দাবি নবাব মালিকের

আপডেট : ২৭ অক্টোবর ২০২১, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সমীর ওয়াংখেড়ের নিকাহ-র ছবি সামনে আনলেন মহারাষ্ট্রের উন্নয়নমন্ত্রী নবাব মালিক।আরিয়ান খানের গ্রেফতারির পর থেকে জাতীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনসিবি-র এই কর্তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেই চলেছেন নবাব। তবে এ বার তাঁর আক্রমণের লক্ষ্য সমীরের ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের চাকরি এবং সেই চাকরি পাওয়ার জন্য তথ্যগত ‘দুর্নীতি’র আশ্রয় নেওয়া।

বুধবার সকাল ৭টা ৪১ মিনিটে সমীরের বিয়ের ছবিটি টুইটারে প্রকাশ করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা নবাব। বর্ণনায় কিছুটা রসিকতার সুরেই লেখেন, এক মিষ্টি দম্পতির ছবি। সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে এবং চিকিৎসক শাবানা কুরেশি। এখনকার দুঁদে এনসিবি কর্তা সমীর ২০০৬ সালের ওই ছবিতে একজন অল্পবয়সি যুবক। বিয়ের দিন প্রথম স্ত্রী শাবানাকে নিয়ে ছবিটি তুলিয়েছিলেন তিনি। ওই ছবি এবং তার পরে সমীরের মুসলিম মতে বিয়ের শংসাপত্র বা নিকাহনামা প্রকাশ করেচেন নবাব।

আরও পড়ুন: শাহরুখ পুত্রের কাছ থেকে ঘুষ চাওয়া সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ইডির মামলা

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব জানিয়েছেন, সমীরের ধর্ম নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তিনি শুধু চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে চান সমীর একজন অসৎ ব্যক্তি। যিনি চাকরির প্রয়োজনে খাতায় কলমে নিজের ধর্ম কিংবা জাতি বদলে ফেলতেও দ্বিধাবোধ করেননি।

আরও পড়ুন: প্রভাবশালী তত্ত্ব খাটিয়ে ‘মিথ্যা ও অবমাননাকর’ মন্তব্য করছেন নবাব মালিক, ফের অভিযোগ দায়ের সমীর ওয়াংখেড়ের বাবার

মঙ্গলবার সমীরের বিরুদ্ধে ২৬টি অনিয়মের বিবরণ দেওয়া একটি চিঠি টুইটারে প্রকাশ করেছিলেন নবাব মালিক। সোমবার তিনি বলেছিলেন, মুসলিম হয়েও স্রেফ চাকরি পাওয়ার জন্য জাত-পাতের ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করেছিলেন সমীর। সেখানে নিজেকে প্রান্তিক হিন্দু বলে দাবি করেছিলেন।

আরও পড়ুন: নবাব মালিকের বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের মানহানির মামলা করলেন সমীর ওয়াংখেড়ের বাবা

 নবাব বলেছিলেন, এনসিবির রেকর্ডে সমীরের বাবার নাম দ্যাঁনদেব ওয়াংখেড়ে লেখা থাকলেও আসলে তাঁর নাম দাউদ। নবাবের দাবি অবশ্য তখন অস্বীকার করেছিলেন সমীরের বাবা। 

২০০৬ সালের ডিসেম্বরে সমীরের হাতে লেখা যে নিকাহনামা সামনে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে শাবানা জহির কুরেশির সাথে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। নিকাহনামাতে তাঁর নাম রয়েছে সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে।

সাংবাদিক সম্মেলনে নবাব মালিক বলেন,“সংবিধান অনুযায়ী তফসিলি জাতি থেকে কেউ যদি ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম বা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন তবে তিনি তিনি আর সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার দাবিদার নন। ওয়াংখেড়ের ক্ষেত্রে, মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও তিনি সংরক্ষণের সুবিধা পেতে তার শংসাপত্র জাল করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, “

সমীরের বাবা ধ্যানেশ্বরও বলেন, ‘আমার ছেলের নিকাহ হয়েছিল ইসলামি নিয়ম মেনে। সেখানে দু’জন অমুসলিমের মধ্যে বিয়ে সম্ভব নয়।আমার স্ত্রীও মুসলিম। ভালোবেসে তাকে বিয়ে করার জন্য আমি নিকাহ নামায় ‘দাউদ’ নাম ব্যবহার করি। কিন্তুঅন্য কোনও নথিতে আমি এই নাম ব্যবহার করিনি। সরকারি নথিতে আমার নাম ধ্যানেশ্বর ওয়াংখেড়ে।