বিশ্ব হালাল পর্যটনের উজ্জ্বল নাম ফিলিপিন্স
- আপডেট : ১৫ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 27
পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ সাদা বালির সৈকত, নীল জলরাশি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ ফিলিপিন্স এখন নতুন এক পরিচয়ে বিশ্বদরবারে উঠে এসেছে। মুসলিম পর্যটকদের জন্য উপযোগী গন্তব্য হিসেবে এই দেশ পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব হালাল পর্যটন সম্মেলনে ফিলিপিন্সকে মুসলিম-বন্ধু দেশ হিসেবে উদীয়মান গন্তব্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। দেশের পর্যটন বিভাগের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মাইরা পাজ আবুবকর পেয়েছেন বছরের সেরা হালাল পর্যটন ব্যক্তিত্বের সম্মান। পাশাপাশি দেশের অন্যতম বড় হোটেল সংস্থা মেগাওয়ার্ল্ড হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টসকে ঘোষণা করা হয়েছে বছরের সেরা মুসলিম-বন্ধু হোটেল চেইন।
মাস্টারকার্ড-ক্রিসেন্টরেটিং প্রকাশিত সাম্প্রতিক গ্লোবাল মুসলিম ট্রাভেল ইনডেক্স-এ ‘ওআইসি-র সদস্য নয় এমন দেশগুলোর মধ্যে মুসলিম-বন্ধু উদীয়মান গন্তব্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ফিলিপিন্স। এই মর্যাদাপূর্ণ তালিকায় ফিলিপিন্সের সঙ্গে রয়েছে আরও তিনটি দেশ;থাইল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্পেন। চারটি দেশই মুসলিম পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিকভাবে হালাল পর্যটনের পরিকাঠামো গড়ে তুলছে এবং তাদের সংস্কৃতিতে অন্তর্ভুক্তির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মুসলিম পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে সামনে রেখে এই তালিকাটি প্রতি বছর তৈরি করা হয়।
বিশ্বজুড়ে মুসলিম পর্যটনের বাজার ক্রমাগত বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৮ সালের মধ্যে এই বাজারের আর্থিক মূল্য ২২৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে। বিশ্ব মুসলিম পর্যটন সূচক অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে ১৭৬ মিলিয়ন মুসলিম পর্যটক বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। অনুমান, এই সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে ২৪৫ মিলিয়নে পৌঁছবে। ফিলিপিন্স সেই প্রবাহের অংশ হতে চায়, চায় নিজেদের পর্যটন খাতে এক নতুন মাত্রা যোগ করতে।
মুসলিম পর্যটকদের কথা ভেবে বিগত কয়েক বছরে ফিলিপিন্স সরকার পর্যটন খাতে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে। বিমানবন্দরে মুসলিম পর্যটকদের সুবিধার জন্য আলাদা নামাযের জায়গা, হালাল খাদ্য সরবরাহ, মুসলিম নারী পর্যটকদের জন্য বিচে নির্দিষ্ট জায়গা, এসবই এই নতুন ভাবনার ফসল। বিশেষত মুসলিম মহিলাদের জন্য আলাদা সৈকত তৈরি হওয়াটা গোটা বিশ্বেই নজর কেড়েছে।
ফিলিপিন্সে মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ মুসলিম। কিন্তু এতদিন দেশটি মূলত ক্যাথলিক সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের পরিচয়ে বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রে ছিল। এখন সময় এসেছে নতুন এক পরিচয়ে নিজেকে তুলে ধরার। মাইরা পাজ আবুবকর বলছেন, আমরা অনেকদূর এসেছি, কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি। মুসলিম পর্যটনের বাজার বিশাল, আমাদের সেই বাজারকে গুরুত্ব দিতেই হবে।