১৪ জুন ২০২৫, শনিবার, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘কেউ যেন অন্য কারওর অস্তিত্বকে হুমকি না দেয়’, ইসরাইল-ইরান যুদ্ধের মাঝে শান্তির ডাক পোপ লিওর

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৪ জুন ২০২৫, শনিবার
  • / 27

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পোপ লিও বিশ্ববাসী ও রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে এক আবেগপূর্ণ আহ্বান জানিয়েছেন; ‘শান্তির পথে হাঁটো, যুদ্ধ থামাও।’ ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে যখন ব্যাপক যুদ্ধ চলছে, তখন পোপ লিও সবাইকে যুক্তি, দায়িত্ব ও মানবতার পথে চলার আহ্বান জানান।

শনিবার সেন্ট পিটার্স গির্জায় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তটা খুবই সংবেদনশীল। তাই আমি আবারও সবাইকে দায়িত্বশীল ও যুক্তিবাদী আচরণের জন্য অনুরোধ করছি।’

তিনি বলেন, ‘একটা নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে আমাদের পরমাণু অস্ত্রের ভয় থেকে মুক্ত হতে হবে। আর সেটা সম্ভব সম্মানজনক আলোচনা, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আন্তরিক সংলাপের মাধ্যমে। শান্তি টিকে থাকবে তখনই, যখন সেটা ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব ও সকলের কল্যাণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে।’

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে পোপ লিও জোর দিয়ে বলেন, ‘কেউ কখনও অন্য কারওর অস্তিত্বকে হুমকি দিতে পারে না। এটা কোনও সভ্য সমাজের আদর্শ হতে পারে না। প্রতিটি দেশের কর্তব্য হল শান্তির পক্ষে দাঁড়ানো, ঝগড়া-মিটমাটের পথ খোলা রাখা এবং এমন সমাধানের চেষ্টা করা যা সবার নিরাপত্তা ও সম্মানের নিশ্চয়তা দেয়।’

শুক্রবার খুব ভোরে ইসরাইল ইরানে বড়সড় হামলা চালায়। তারা ইরানের বিভিন্ন শহর, সেনাঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা ফেলেছে। ইসরাইলের মতে, এই হামলা ছিল প্রতিরোধমূলক, যেন ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি না করতে পারে।

ইরান বলেছে, ইসরাইলের এই হামলায় অন্তত ৭৮ জন মানুষ মারা গেছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। আহত হয়েছে ৩২০ জনের বেশি। এর জবাবে ইরানও ইসরাইলের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এতে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন এবং অনেকেই আহত হয়েছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই বলেছেন, ‘ইসরাইল যে অপরাধ করেছে, তার জন্য তাদের কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’

৮ মে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন লিও। তিনিই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক যিনি ক্যাথলিক গির্জার প্রধান হলেন। পোপ ফ্রান্সিসের মতো তাৎক্ষণিক মন্তব্য না করে, লিও সবসময়ই লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান, যাতে শধের গুরুত্ব ঠিকঠাক থাকে। এইবারও তিনি ইতালীয় ভাষায় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান এবং যুদ্ধের বদলে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেন।

 

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘কেউ যেন অন্য কারওর অস্তিত্বকে হুমকি না দেয়’, ইসরাইল-ইরান যুদ্ধের মাঝে শান্তির ডাক পোপ লিওর

আপডেট : ১৪ জুন ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পোপ লিও বিশ্ববাসী ও রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশে এক আবেগপূর্ণ আহ্বান জানিয়েছেন; ‘শান্তির পথে হাঁটো, যুদ্ধ থামাও।’ ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে যখন ব্যাপক যুদ্ধ চলছে, তখন পোপ লিও সবাইকে যুক্তি, দায়িত্ব ও মানবতার পথে চলার আহ্বান জানান।

শনিবার সেন্ট পিটার্স গির্জায় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তটা খুবই সংবেদনশীল। তাই আমি আবারও সবাইকে দায়িত্বশীল ও যুক্তিবাদী আচরণের জন্য অনুরোধ করছি।’

তিনি বলেন, ‘একটা নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে আমাদের পরমাণু অস্ত্রের ভয় থেকে মুক্ত হতে হবে। আর সেটা সম্ভব সম্মানজনক আলোচনা, পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আন্তরিক সংলাপের মাধ্যমে। শান্তি টিকে থাকবে তখনই, যখন সেটা ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব ও সকলের কল্যাণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হবে।’

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে পোপ লিও জোর দিয়ে বলেন, ‘কেউ কখনও অন্য কারওর অস্তিত্বকে হুমকি দিতে পারে না। এটা কোনও সভ্য সমাজের আদর্শ হতে পারে না। প্রতিটি দেশের কর্তব্য হল শান্তির পক্ষে দাঁড়ানো, ঝগড়া-মিটমাটের পথ খোলা রাখা এবং এমন সমাধানের চেষ্টা করা যা সবার নিরাপত্তা ও সম্মানের নিশ্চয়তা দেয়।’

শুক্রবার খুব ভোরে ইসরাইল ইরানে বড়সড় হামলা চালায়। তারা ইরানের বিভিন্ন শহর, সেনাঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা ফেলেছে। ইসরাইলের মতে, এই হামলা ছিল প্রতিরোধমূলক, যেন ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি না করতে পারে।

ইরান বলেছে, ইসরাইলের এই হামলায় অন্তত ৭৮ জন মানুষ মারা গেছে, যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও ছিল। আহত হয়েছে ৩২০ জনের বেশি। এর জবাবে ইরানও ইসরাইলের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এতে কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন এবং অনেকেই আহত হয়েছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনেই বলেছেন, ‘ইসরাইল যে অপরাধ করেছে, তার জন্য তাদের কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।’

৮ মে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর নতুন পোপ নির্বাচিত হয়েছেন লিও। তিনিই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক যিনি ক্যাথলিক গির্জার প্রধান হলেন। পোপ ফ্রান্সিসের মতো তাৎক্ষণিক মন্তব্য না করে, লিও সবসময়ই লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান, যাতে শধের গুরুত্ব ঠিকঠাক থাকে। এইবারও তিনি ইতালীয় ভাষায় লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান এবং যুদ্ধের বদলে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেন।