২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বলেছিল, আমি সুস্থ হয়ে গেছি, গোয়ায় যাব, প্রোগ্রাম দে, শুয়ে থাকতে ভালো লাগছে নাঃ মমতা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৫ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার
  • / 16

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বঙ্গ রাজনীতিতে এইভাবে ছন্দপতন ঘটবে, সেই আশা হয়তো কেউ করতে পারেননি। সকলেই যখন আলোর রোশনাইয়ের আনন্দে ব্যস্ত ঠিক তখন SSKM-  এব বিছানায় শুয়ে একজন অন্তিম প্রহর গুনছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে জীবনের দ্বীপ নিভে গেল। এক না ফেরার দেশে যাত্রা করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়(Subrata Mukherjee) ।

দীর্ঘ ৫০ বছর রাজনীতির ক্যারিয়ারের ইতি। ছাত্র জীবন থেকে যে রাজনৈতিক সংগ্রাম শুরু হয়েছিল তা স্তব্ধ হল বৃহস্পতিবার রাতে।

আরও পড়ুন: জননেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা নবীন পরিচালকের

গভীর শোকহাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা জানান, গোয়া থেকে সুব্রত’ দার শরীর খারাপের খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যাই। আমাকে দেখেই বলেন, আমি সুস্থ হয়ে গেছি। প্রোগ্রাম দে, গোয়ায় যাব। আর শুয়ে থাকতে ভালো লাগছে না।

আরও পড়ুন: বিধানসভায় আজ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণা, শোকবার্তা পাঠ করবেন স্পিকার

১৯৪৬ সালের ১৪ জুন জন্ম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। বঙ্গবাসী কলেজ থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬০ এর দশকে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের, ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। এই সময় তিনি প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গে পরিচিত হন। মাত্র ২৬ বছর বয়সে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মন্ত্রী সভার তথ্যসংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী হন৷ বঙ্গবাসী কলেজ থেকে অ্যানথ্রোপলজি নিয়ে স্নাতক হয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পরে এমএসসিও করেন৷

আরও পড়ুন: ‌’কাছের মানুষকে হারালাম’

১৯৭২ সাল থেকে পাঁচ বছর রাজ্যে কংগ্রেসী সরকারের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুব্রত মুখোপাধায়য়। তাঁর হাত ধরে রাজনৈতিক জগতে প্রবেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

১৯৯৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। কলকাতার ৩৬ তম মেয়র তিনি।

এরপর ২০০৫ সালেই তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে তৃণমূল ছেড়ে আবার কংগ্রেসে ফিরে যান। এরপর ২০১০ পর্যন্ত কংগ্রেসের হয়ে একাধিক নির্বাচন এবং একবার বাঁকুড়া থেকেও সাংসদ নির্বাচন লড়ে পরাজিত হন। এরপর ২০১১তে আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন।

তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে মমতা অধীনে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। এবং পরে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বলেছিল, আমি সুস্থ হয়ে গেছি, গোয়ায় যাব, প্রোগ্রাম দে, শুয়ে থাকতে ভালো লাগছে নাঃ মমতা

আপডেট : ৫ নভেম্বর ২০২১, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বঙ্গ রাজনীতিতে এইভাবে ছন্দপতন ঘটবে, সেই আশা হয়তো কেউ করতে পারেননি। সকলেই যখন আলোর রোশনাইয়ের আনন্দে ব্যস্ত ঠিক তখন SSKM-  এব বিছানায় শুয়ে একজন অন্তিম প্রহর গুনছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে জীবনের দ্বীপ নিভে গেল। এক না ফেরার দেশে যাত্রা করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়(Subrata Mukherjee) ।

দীর্ঘ ৫০ বছর রাজনীতির ক্যারিয়ারের ইতি। ছাত্র জীবন থেকে যে রাজনৈতিক সংগ্রাম শুরু হয়েছিল তা স্তব্ধ হল বৃহস্পতিবার রাতে।

আরও পড়ুন: জননেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা নবীন পরিচালকের

গভীর শোকহাত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা জানান, গোয়া থেকে সুব্রত’ দার শরীর খারাপের খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে যাই। আমাকে দেখেই বলেন, আমি সুস্থ হয়ে গেছি। প্রোগ্রাম দে, গোয়ায় যাব। আর শুয়ে থাকতে ভালো লাগছে না।

আরও পড়ুন: বিধানসভায় আজ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারণা, শোকবার্তা পাঠ করবেন স্পিকার

১৯৪৬ সালের ১৪ জুন জন্ম সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। বঙ্গবাসী কলেজ থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৬০ এর দশকে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের, ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদে যোগ দিয়েছিলেন। এই সময় তিনি প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির সঙ্গে পরিচিত হন। মাত্র ২৬ বছর বয়সে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মন্ত্রী সভার তথ্যসংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী হন৷ বঙ্গবাসী কলেজ থেকে অ্যানথ্রোপলজি নিয়ে স্নাতক হয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়। পরে এমএসসিও করেন৷

আরও পড়ুন: ‌’কাছের মানুষকে হারালাম’

১৯৭২ সাল থেকে পাঁচ বছর রাজ্যে কংগ্রেসী সরকারের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন সুব্রত মুখোপাধায়য়। তাঁর হাত ধরে রাজনৈতিক জগতে প্রবেশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

১৯৯৯ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কলকাতার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। কলকাতার ৩৬ তম মেয়র তিনি।

এরপর ২০০৫ সালেই তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে তৃণমূল ছেড়ে আবার কংগ্রেসে ফিরে যান। এরপর ২০১০ পর্যন্ত কংগ্রেসের হয়ে একাধিক নির্বাচন এবং একবার বাঁকুড়া থেকেও সাংসদ নির্বাচন লড়ে পরাজিত হন। এরপর ২০১১তে আবার তৃণমূলে ফিরে আসেন।

তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে মমতা অধীনে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী হন তিনি। এবং পরে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হন।