২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শত্রুকে অনুতপ্ত হয়ে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে, বলছে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 39

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  শত্রুপক্ষের আগ্রাসনের জবাবে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইরান। শেষ পর্যন্ত শত্রুকে অনুতপ্ত হয়ে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। মঙ্গলবার পরিষদ এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই দাবি করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জায়নিস্ট শত্রুর আগ্রাসনের পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী ও আত্মোৎসর্গকারী যোদ্ধারা ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ অনুযায়ী অতুলনীয় সাহসিকতা দেখিয়েছেন। প্রতিটি ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন তারা। সর্বশেষ কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর দখলকৃত অঞ্চলজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত সেই সাহসিকতারই উদাহরণ।”

পরিষদের দাবি, “জাতির সময়োপযোগী সচেতনতা, ঐক্য এবং নজিরবিহীন সংহতি শত্রুর মূল কৌশল ভেঙে দিয়েছে। ইসলামি যোদ্ধাদের অবিচল প্রতিরোধের সুযোগ তৈরি করেছে এই ঐক্য। দীর্ঘ বছরের সংগ্রাম, উদ্ভাবন ও সাধনায় গড়ে ওঠা প্রতিরোধ শক্তি ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে দূরদর্শী প্রতিরোধে। যেখানে প্রতিটি আঘাতের জবাব দেওয়া হয়েছে যথাসময়ে ও সুনির্দিষ্টভাবে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়,”এই গভীর সচেতনতা, যোদ্ধাদের প্রজ্ঞা ও জাতির শৃঙ্খলিত আচরণের ফলে যে পরিণতি এসেছে তা হল বিজয়। শত্রুপক্ষ অনুতপ্ত হয়েছে, পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে এবং একতরফাভাবে আগ্রাসন থামিয়েছে।”

পরিশেষে ইরানের জনগণের উদ্দেশে পরিষদ বার্তা দেয়,”ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনী শত্রুর কথাবার্তায় একবিন্দুও আস্থা না রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। আগ্রাসনের যেকোনো পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক, চূড়ান্ত এবং অনুশোচনামূলক জবাব দিতে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শত্রুকে অনুতপ্ত হয়ে পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে, বলছে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ

আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  শত্রুপক্ষের আগ্রাসনের জবাবে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইরান। শেষ পর্যন্ত শত্রুকে অনুতপ্ত হয়ে পরাজয় স্বীকার করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। মঙ্গলবার পরিষদ এক বিবৃতি প্রকাশ করে এই দাবি করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “জায়নিস্ট শত্রুর আগ্রাসনের পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সাহসী ও আত্মোৎসর্গকারী যোদ্ধারা ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ অনুযায়ী অতুলনীয় সাহসিকতা দেখিয়েছেন। প্রতিটি ষড়যন্ত্রের উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন তারা। সর্বশেষ কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর দখলকৃত অঞ্চলজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত সেই সাহসিকতারই উদাহরণ।”

পরিষদের দাবি, “জাতির সময়োপযোগী সচেতনতা, ঐক্য এবং নজিরবিহীন সংহতি শত্রুর মূল কৌশল ভেঙে দিয়েছে। ইসলামি যোদ্ধাদের অবিচল প্রতিরোধের সুযোগ তৈরি করেছে এই ঐক্য। দীর্ঘ বছরের সংগ্রাম, উদ্ভাবন ও সাধনায় গড়ে ওঠা প্রতিরোধ শক্তি ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে দূরদর্শী প্রতিরোধে। যেখানে প্রতিটি আঘাতের জবাব দেওয়া হয়েছে যথাসময়ে ও সুনির্দিষ্টভাবে।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়,”এই গভীর সচেতনতা, যোদ্ধাদের প্রজ্ঞা ও জাতির শৃঙ্খলিত আচরণের ফলে যে পরিণতি এসেছে তা হল বিজয়। শত্রুপক্ষ অনুতপ্ত হয়েছে, পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে এবং একতরফাভাবে আগ্রাসন থামিয়েছে।”

পরিশেষে ইরানের জনগণের উদ্দেশে পরিষদ বার্তা দেয়,”ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সশস্ত্র বাহিনী শত্রুর কথাবার্তায় একবিন্দুও আস্থা না রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। আগ্রাসনের যেকোনো পুনরাবৃত্তির ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক, চূড়ান্ত এবং অনুশোচনামূলক জবাব দিতে তারা পুরোপুরি প্রস্তুত।”