২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শববাহী গাড়ি না পাওয়ায় ৪ বছরের মেয়ের লাশ নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটলেন পিতা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১১ জুন ২০২২, শনিবার
  • / 27

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  কোনও শববাহী গাড়ি পাওয়া যায়নি। যার ফলে হাসপাতাল থেকে নিজের ৪ বছরের মেয়ের মরদেহ কাঁধে তুলে নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা শুরু করেন বাবা। এমনই পরিস্থিতি যে মেয়ে হারানোর শোক প্রকাশের সময়টুকু পর্যন্ত নেই। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর জেলায়। যেখানে অ্যাম্বুলেন্স খুঁজে না পাওয়ায় এক ব্যক্তি তার মেয়ের লাশ বহন করতে বাধ্য হয়েছেন। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

লক্ষ্মণ আহিরওয়ার নামে ওই ব্যক্তি বলেন যে, অসুস্থ থাকায় সোমবার তার মেয়ে রাধাকে বক্সওয়াহা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু   মঙ্গলবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দামোহ জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, যেখানে তার মৃত্যু হয়। মেয়েটির দাদু মনসুখ আহিরওয়ার বলেন যে, পরিবার দামোহ হাসপাতালে একটি শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করেন কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা ব্যবস্থা করে দেয়নি। তারপরে মেয়েটির বাবা মৃতদেহটি একটি কম্বলে মুড়িয়ে বক্সওয়াহার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাসে চেপে। কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ছিলনা গাড়ি ভাড়া করার। এরপর বক্সওয়াহা পৌঁছানোর পরে পরিবারটি নগর পঞ্চায়েতে একটি ভ্যানের ব্যবস্থা করারও চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে তা দিতে অস্বীকার করে। তাই শেষমেশ মেয়েটির লাশ নিয়ে হাঁটাপথেই তারা পাউদি গ্রামে যান। যদিও দামোহ জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন মমতা তিমোরি অবশ্য পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন “কেউ আমার কাছে আসেনি।”

আরও পড়ুন: সাঁইথিয়ায় বয়স্ক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য

ছত্তরপুরের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল সিলাদিয়া বলেন যে “পরিবার ট্যাক্সি চালককে তাদের বাড়িতে নামিয়ে দিতে বলেছিল, কিন্তু ট্যাক্সি চালক রাজি হয়নি যেতে। শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য পরিবার দ্বারা দামোহে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেখানে সে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। পরিবার তারপর তাকে বক্সওয়াহাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিল। সেখানে পৌঁছানোর পরে, তারা কিছু ট্যাক্সি ড্রাইভারকে তাদের সাহায্য করতে বলেছিল, কিন্তু তারা অস্বীকার করেছিল। এর পরে পরিবার হেঁটেই গ্রামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।”

আরও পড়ুন: চকোলেট কেনার বায়না, ৮ বছরের মেয়েকে মাথা থেঁতলে খুন বাবার

আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, আক্রোশে তরুণীকে গুলি করে খুন

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শববাহী গাড়ি না পাওয়ায় ৪ বছরের মেয়ের লাশ নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটলেন পিতা

আপডেট : ১১ জুন ২০২২, শনিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক:  কোনও শববাহী গাড়ি পাওয়া যায়নি। যার ফলে হাসপাতাল থেকে নিজের ৪ বছরের মেয়ের মরদেহ কাঁধে তুলে নিয়ে বাড়ির পথে হাঁটা শুরু করেন বাবা। এমনই পরিস্থিতি যে মেয়ে হারানোর শোক প্রকাশের সময়টুকু পর্যন্ত নেই। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুর জেলায়। যেখানে অ্যাম্বুলেন্স খুঁজে না পাওয়ায় এক ব্যক্তি তার মেয়ের লাশ বহন করতে বাধ্য হয়েছেন। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

লক্ষ্মণ আহিরওয়ার নামে ওই ব্যক্তি বলেন যে, অসুস্থ থাকায় সোমবার তার মেয়ে রাধাকে বক্সওয়াহা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু   মঙ্গলবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে দামোহ জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল, যেখানে তার মৃত্যু হয়। মেয়েটির দাদু মনসুখ আহিরওয়ার বলেন যে, পরিবার দামোহ হাসপাতালে একটি শববাহী গাড়ির ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ করেন কিন্তু কর্তৃপক্ষ তা ব্যবস্থা করে দেয়নি। তারপরে মেয়েটির বাবা মৃতদেহটি একটি কম্বলে মুড়িয়ে বক্সওয়াহার উদ্দেশ্যে রওনা দেন বাসে চেপে। কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ ছিলনা গাড়ি ভাড়া করার। এরপর বক্সওয়াহা পৌঁছানোর পরে পরিবারটি নগর পঞ্চায়েতে একটি ভ্যানের ব্যবস্থা করারও চেষ্টা করেছিল, কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে তা দিতে অস্বীকার করে। তাই শেষমেশ মেয়েটির লাশ নিয়ে হাঁটাপথেই তারা পাউদি গ্রামে যান। যদিও দামোহ জেলা হাসপাতালের সিভিল সার্জন মমতা তিমোরি অবশ্য পরিবারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।তিনি বলেন “কেউ আমার কাছে আসেনি।”

আরও পড়ুন: সাঁইথিয়ায় বয়স্ক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য

ছত্তরপুরের সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট রাহুল সিলাদিয়া বলেন যে “পরিবার ট্যাক্সি চালককে তাদের বাড়িতে নামিয়ে দিতে বলেছিল, কিন্তু ট্যাক্সি চালক রাজি হয়নি যেতে। শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য পরিবার দ্বারা দামোহে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেখানে সে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। পরিবার তারপর তাকে বক্সওয়াহাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসে উঠেছিল। সেখানে পৌঁছানোর পরে, তারা কিছু ট্যাক্সি ড্রাইভারকে তাদের সাহায্য করতে বলেছিল, কিন্তু তারা অস্বীকার করেছিল। এর পরে পরিবার হেঁটেই গ্রামে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।”

আরও পড়ুন: চকোলেট কেনার বায়না, ৮ বছরের মেয়েকে মাথা থেঁতলে খুন বাবার

আরও পড়ুন: বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, আক্রোশে তরুণীকে গুলি করে খুন