২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শরণার্থীদের নাগরিকত্বের সুযোগ দিতে সিটিজেনশিপ পোর্টালে পরিবর্তন আনছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 45

Representative image

 

 

আরও পড়ুন: আমিরশাহীতে ‘বন্দি’ ২,৪০০ আফগান শরণার্থী

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  ৩টি দেশের ৬টি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য  সহজ করা হবে নাগরিকত্বের পথ। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু যারা রয়েছেন এই দেশে অথচ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ তাঁরা সেই নথি দেখিয়েই আবেদন করতে পারবেন  নাগরিকত্বের ।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে পুনর্গঠন হতে করা হবে সিটিজেনশিপ পোর্টাল ।হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং জৈন – ছয়টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের নাগরিকত্বের আবেদনপত্রের  সঙ্গে সহায়ক নথি হিসাবে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট ও ভিসাকেই মান্যতা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: শরণার্থীদের ২২ লক্ষ ইউরো লুট করেছে গ্রিসের সেনা!

 

আরও পড়ুন: ভারত শরনার্থীদের দেশ, দ্রাবিড় ও আর্যরাও শরনার্থী ছিলেন : প্রাক্তন বিচারপতি কাটজু

 

এখন  সিটিজেনশিপ পোর্টালে শুধুমাত্র  ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা ভারতে প্রবেশ প্রবেশ করেছেন  সেই হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং জৈন  সম্প্রদায়ের  মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট ও ভিসাকেই প্রামাণ্য নথি হিসেবে গ্রহণ করা হতো। ভারতে পাকিস্তানি সংখ্যালঘুদের অধিকারের জন্য কাজ করছে সীমান্ত লোক সংগঠন। এই সংগঠনের সভাপতি হিন্দু সিং সোধা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন “একজন পাকিস্তানি হিন্দু যিনি ২০১০  সালে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন কিন্তু  অনলাইন সিস্টেম মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট গ্রহণ করে না, যার ফলে আবেদন বাতিল হয়ে যায়। । এরপর ভুক্তভোগী ওই  ব্যক্তি বা তার পরিবারকে দিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনে ছুটে যেতে হয়।

 

যারা পাসপোর্ট নবীকরণ  করার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা নেয়। পাশাপাশি কখনও কখনও তুচ্ছ কারণে তা প্রত্যাখ্যানও  করে। যদিও ব্যক্তিটি ১৯৫৫ সালের  আইনের অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য।  কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা তাঁর পরিবার ইতিমধ্যেই ১২ বছর  ভারতে কাটিয়ে  ফেলেছেন।  সোধা আরও বলছেন ২০১৫ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক  নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন আনে। যাতে বলা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে উল্লিখিত ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যারা ভারতে এসেছেন তাঁরা পাসপোর্ট এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও এই দেশে থাকতে পারবেন। এতদিনে সিটিজেন পোর্টালে সংশোধন হওয়ায় খুশি নাগরিকত্ব প্রত্যাশীরাও

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

শরণার্থীদের নাগরিকত্বের সুযোগ দিতে সিটিজেনশিপ পোর্টালে পরিবর্তন আনছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

 

 

আরও পড়ুন: আমিরশাহীতে ‘বন্দি’ ২,৪০০ আফগান শরণার্থী

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:  ৩টি দেশের ৬টি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য  সহজ করা হবে নাগরিকত্বের পথ। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘু যারা রয়েছেন এই দেশে অথচ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ তাঁরা সেই নথি দেখিয়েই আবেদন করতে পারবেন  নাগরিকত্বের ।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে পুনর্গঠন হতে করা হবে সিটিজেনশিপ পোর্টাল ।হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং জৈন – ছয়টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের নাগরিকত্বের আবেদনপত্রের  সঙ্গে সহায়ক নথি হিসাবে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট ও ভিসাকেই মান্যতা দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: শরণার্থীদের ২২ লক্ষ ইউরো লুট করেছে গ্রিসের সেনা!

 

আরও পড়ুন: ভারত শরনার্থীদের দেশ, দ্রাবিড় ও আর্যরাও শরনার্থী ছিলেন : প্রাক্তন বিচারপতি কাটজু

 

এখন  সিটিজেনশিপ পোর্টালে শুধুমাত্র  ২০০৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা ভারতে প্রবেশ প্রবেশ করেছেন  সেই হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং জৈন  সম্প্রদায়ের  মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট ও ভিসাকেই প্রামাণ্য নথি হিসেবে গ্রহণ করা হতো। ভারতে পাকিস্তানি সংখ্যালঘুদের অধিকারের জন্য কাজ করছে সীমান্ত লোক সংগঠন। এই সংগঠনের সভাপতি হিন্দু সিং সোধা এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন “একজন পাকিস্তানি হিন্দু যিনি ২০১০  সালে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন কিন্তু  অনলাইন সিস্টেম মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট গ্রহণ করে না, যার ফলে আবেদন বাতিল হয়ে যায়। । এরপর ভুক্তভোগী ওই  ব্যক্তি বা তার পরিবারকে দিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনে ছুটে যেতে হয়।

 

যারা পাসপোর্ট নবীকরণ  করার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা নেয়। পাশাপাশি কখনও কখনও তুচ্ছ কারণে তা প্রত্যাখ্যানও  করে। যদিও ব্যক্তিটি ১৯৫৫ সালের  আইনের অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য।  কারণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা তাঁর পরিবার ইতিমধ্যেই ১২ বছর  ভারতে কাটিয়ে  ফেলেছেন।  সোধা আরও বলছেন ২০১৫ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক  নাগরিকত্ব আইনে সংশোধন আনে। যাতে বলা হয়েছে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে উল্লিখিত ৬টি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যারা ভারতে এসেছেন তাঁরা পাসপোর্ট এবং ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও এই দেশে থাকতে পারবেন। এতদিনে সিটিজেন পোর্টালে সংশোধন হওয়ায় খুশি নাগরিকত্ব প্রত্যাশীরাও