০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই প্রথম ভোটার কার্ড পেল ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত গ্রামের আদিবাসীরা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১২ জুন ২০২৩, সোমবার
  • / 22

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: স্বাধীনতার পর কেটে গিয়েছে এক যুগ। ভারত স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছরের পূর্তি উপলক্ষে আজাদি কি অমৃত মহোৎসব পালন করছে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত নাগরিকত্ব প্রমাণের অন্যতম নথি ভোটার কার্ড ছিল না ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত এই প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলির মানুষের কাছে। এই বছরের শেষের দিকে ছত্তিশগড় বিধানসভার নির্বাচন। সেই কথা মাথায় রেখেই এই প্রথম ভোটার কার্ড পেলেন ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত গ্রামের আদিবাসীরা। রাজ্যের প্রত্যন্ত গামপুর গ্রামের ২৩৩ জন আদিবাসী সচিত্র পরিচয়পত্র হাতে পেল। রায়পুর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রত্যন্ত মাওবাদী প্রভাবিত বিজাপুর জেলায় বসবাসকারী আদিবাসীদের হাতে ক্যাম্প করে ভোটার কার্ড তুলে দেওয়া হয়।

প্রশাসনের কথায়, মাওবাদী অধ্যুষিত এই গ্রামগুলিতে ভোটার কার্ড দেওয়া সহজ কাজ ছিল না। কারণ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে জেলার ৪০ শতাংশেরও বেশি অঞ্চলে মাওবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলস্বরূপ, যে কোনও কর্মসূচি বা পরিকল্পনার জন্য মাওবাদীদের অন্তর্নিহিত সম্মতির প্রয়োজন আছে। বিজাপুরের গামপুরের মানুষ কেবল নিরক্ষরই নয়, তাদের কাছে মোবাইল ফোন, আধার কার্ড কিছুই নেই। ফলে খুব কঠিন ছিল আদিবাসীদের কাছে পৌঁছনো।

আরও পড়ুন: বিজাপুরে খতম ৩ নকশাল, মাও বিরোধী অভিযানে ফের সাফল্য

বিজাপুরের কালেকটর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত হওয়ার পর, গামপুর গ্রামের মানুষ এখন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। স্থানীয় সাপ্তাহিক হাট বাজারের মতো সুবিধাজনক কয়েকটি জায়গায় শিবির সংগঠিত করে মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটিতে গিয়ে আদিবাসীদের কাছে পৌঁছনোর কাছে চেষ্টা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ছত্তীশগড়ে তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জন মাওবাদীর আত্মসমর্পণ

এই বছরের শেষের দিকে ছত্তিশগড়ের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলির আদিবাসীরা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য তড়িঘড়ি নির্বাচন কমিশন ভোটার কার্ড প্রস্তুত করেছে। ভোটার আইডি কার্ড ছাড়াও গ্রামবাসীদের আধার, রেশন, আয়ুষ্মান এবং শ্রম কার্ডও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ফের মাওবাদী নিধন, নিহত দুই মহিলা মাওবাদী

বিজাপুর জেলা প্রশাসনের মতে, এখনও এমন আদিবাসী গ্রাম রয়েছে যেখানে মানুষের ভোটার আইডি কার্ড নেই। অনেকের কাছে পরিচয়ের সঠিক তথ্য নেই। তাদের কাছেও পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মাওবাদীদের ভোট বয়কটের আহ্বান সত্ত্বেও তাদের তালিকাভুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে সরকারের তরফে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এই প্রথম ভোটার কার্ড পেল ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত গ্রামের আদিবাসীরা

আপডেট : ১২ জুন ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: স্বাধীনতার পর কেটে গিয়েছে এক যুগ। ভারত স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ বছরের পূর্তি উপলক্ষে আজাদি কি অমৃত মহোৎসব পালন করছে। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত নাগরিকত্ব প্রমাণের অন্যতম নথি ভোটার কার্ড ছিল না ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত এই প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলির মানুষের কাছে। এই বছরের শেষের দিকে ছত্তিশগড় বিধানসভার নির্বাচন। সেই কথা মাথায় রেখেই এই প্রথম ভোটার কার্ড পেলেন ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত গ্রামের আদিবাসীরা। রাজ্যের প্রত্যন্ত গামপুর গ্রামের ২৩৩ জন আদিবাসী সচিত্র পরিচয়পত্র হাতে পেল। রায়পুর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে প্রত্যন্ত মাওবাদী প্রভাবিত বিজাপুর জেলায় বসবাসকারী আদিবাসীদের হাতে ক্যাম্প করে ভোটার কার্ড তুলে দেওয়া হয়।

প্রশাসনের কথায়, মাওবাদী অধ্যুষিত এই গ্রামগুলিতে ভোটার কার্ড দেওয়া সহজ কাজ ছিল না। কারণ প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে জেলার ৪০ শতাংশেরও বেশি অঞ্চলে মাওবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলস্বরূপ, যে কোনও কর্মসূচি বা পরিকল্পনার জন্য মাওবাদীদের অন্তর্নিহিত সম্মতির প্রয়োজন আছে। বিজাপুরের গামপুরের মানুষ কেবল নিরক্ষরই নয়, তাদের কাছে মোবাইল ফোন, আধার কার্ড কিছুই নেই। ফলে খুব কঠিন ছিল আদিবাসীদের কাছে পৌঁছনো।

আরও পড়ুন: বিজাপুরে খতম ৩ নকশাল, মাও বিরোধী অভিযানে ফের সাফল্য

বিজাপুরের কালেকটর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত হওয়ার পর, গামপুর গ্রামের মানুষ এখন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। স্থানীয় সাপ্তাহিক হাট বাজারের মতো সুবিধাজনক কয়েকটি জায়গায় শিবির সংগঠিত করে মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটিতে গিয়ে আদিবাসীদের কাছে পৌঁছনোর কাছে চেষ্টা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ছত্তীশগড়ে তিন কমান্ডার-সহ ২৬ জন মাওবাদীর আত্মসমর্পণ

এই বছরের শেষের দিকে ছত্তিশগড়ের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলির আদিবাসীরা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তার জন্য তড়িঘড়ি নির্বাচন কমিশন ভোটার কার্ড প্রস্তুত করেছে। ভোটার আইডি কার্ড ছাড়াও গ্রামবাসীদের আধার, রেশন, আয়ুষ্মান এবং শ্রম কার্ডও দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে ফের মাওবাদী নিধন, নিহত দুই মহিলা মাওবাদী

বিজাপুর জেলা প্রশাসনের মতে, এখনও এমন আদিবাসী গ্রাম রয়েছে যেখানে মানুষের ভোটার আইডি কার্ড নেই। অনেকের কাছে পরিচয়ের সঠিক তথ্য নেই। তাদের কাছেও পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মাওবাদীদের ভোট বয়কটের আহ্বান সত্ত্বেও তাদের তালিকাভুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে সরকারের তরফে।