১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউসিসি বিভেদ সৃষ্টিকারী, আম্বেদকরের ভাবনা বিরোধী : ডিএমকে

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 28

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইউসিসি বিভাজন সৃষ্টিকারী আইন, মানুষের মাঝে সম্প্রীতি নষ্ট করবে, বলে মনে করছে স্ট্যালিনের দল ডিএমকে। ইউসিসি-র তীব্র বিরোধীতা করে ল কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে ডিএমকে।

ল কমিশনকে ডিএমকে জানিয়েছে, তামিলনাডুতে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বাস করেন। কিন্তু ইউসিসি কার্যকর হলে রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত হবে। বিভিন্ন জাতির মানুষের সহাবস্থান বিঘ্নিত হবে।

আরও পড়ুন: মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ আইন বাতিল, ইউসিসির পথে বিজেপি শাসিত অসম

বলে হয়েছে, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য ভারতের সৌন্দর্য। রাজনৈতিক ফায়দার জন্য জোর করে ইউসিসি চাপালে গোটা দেশে মণিপুরের মত পরিস্থিতি হবে। বিভিন্ন জাতি ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত তৈরি হবে। হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হলে তা সামাল দেওয়া মুশকিল হবে।

আরও পড়ুন: অকার্যকরী ‘মুসলিম পার্সোনাল ল’ উত্তরাখণ্ডে জারি হল UCC

ড. বি আর আম্বেদকরের বক্তব্য তুলে ধরে ডিএমকে জানিয়েছে, জোর করে ইউসিসি চাপানোর কথা আম্বেদকর কখনই বলেলননি। তিনি বলেছিলেন, দেশের মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে ইউসিসি গ্রহণ করতে চাইলে তখন এমন আইন চালু করা যেতে পারে। ফলে জোর করে ইউসিসি চাপালে সেটা হবে আম্বেদকরের ভাবনা বিরোধী।

আরও পড়ুন: ইউসিসি চালু করতে দিওয়ালির পরই উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা অধিবেশন

ডিএমকে জানিয়েছে, শতাধীর পর শতাধী ধরে বিভিন্ন ধর্মের নিজস্ব সংস্কৃতি, রীতি-নীতি তৈরি হয়েছে। হঠাৎ করে তাদেরকে সেসব থেকে বঞ্চিত করে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চাপিয়ে দেওয়ার অর্থ তাদের উপর জুলুম করা। এটা কখনই কাম্য নয়। তাদের মতে, ইউসিসি ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের বিরোধীতা করে।

শুধু সংখ্যালঘু নয়, সংখ্যাগুরুদেরও সমস্যায় ফেলবে ইউসিসি। কারণ হিন্দু ধর্মের মধ্যে যারা তফশিলি উপজাতির মানুষ, তাদেররও কিছু নিজস্ব নিয়ামাবলী রয়েছে। ফলে তারাও সমস্যায় পড়বেন।

ইউসিসির বদলে ল কমিশনকে সব ধর্মের মানুষের জন্য একটি ইউনিফর্ম কাস্ট কোড চালু করার পরাপমর্শ দিয়েছে ডিএমকে। যাতে জাতিভেদের নামে নৃশংসায় রাশ টানা যায়। সেখানে স্ট্যালিনের তামিলনাডু সরকারের একটি পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সস্প্রতি সট্যালিন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জাতিভেদ রুখতে সে রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরে বিভিন্ন জাতির পুরোহিত নিয়োগ করা হবে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইউসিসি বিভেদ সৃষ্টিকারী, আম্বেদকরের ভাবনা বিরোধী : ডিএমকে

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইউসিসি বিভাজন সৃষ্টিকারী আইন, মানুষের মাঝে সম্প্রীতি নষ্ট করবে, বলে মনে করছে স্ট্যালিনের দল ডিএমকে। ইউসিসি-র তীব্র বিরোধীতা করে ল কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে ডিএমকে।

ল কমিশনকে ডিএমকে জানিয়েছে, তামিলনাডুতে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বাস করেন। কিন্তু ইউসিসি কার্যকর হলে রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত হবে। বিভিন্ন জাতির মানুষের সহাবস্থান বিঘ্নিত হবে।

আরও পড়ুন: মুসলিম বিবাহ ও বিচ্ছেদ আইন বাতিল, ইউসিসির পথে বিজেপি শাসিত অসম

বলে হয়েছে, বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য ভারতের সৌন্দর্য। রাজনৈতিক ফায়দার জন্য জোর করে ইউসিসি চাপালে গোটা দেশে মণিপুরের মত পরিস্থিতি হবে। বিভিন্ন জাতি ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত তৈরি হবে। হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হলে তা সামাল দেওয়া মুশকিল হবে।

আরও পড়ুন: অকার্যকরী ‘মুসলিম পার্সোনাল ল’ উত্তরাখণ্ডে জারি হল UCC

ড. বি আর আম্বেদকরের বক্তব্য তুলে ধরে ডিএমকে জানিয়েছে, জোর করে ইউসিসি চাপানোর কথা আম্বেদকর কখনই বলেলননি। তিনি বলেছিলেন, দেশের মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে ইউসিসি গ্রহণ করতে চাইলে তখন এমন আইন চালু করা যেতে পারে। ফলে জোর করে ইউসিসি চাপালে সেটা হবে আম্বেদকরের ভাবনা বিরোধী।

আরও পড়ুন: ইউসিসি চালু করতে দিওয়ালির পরই উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা অধিবেশন

ডিএমকে জানিয়েছে, শতাধীর পর শতাধী ধরে বিভিন্ন ধর্মের নিজস্ব সংস্কৃতি, রীতি-নীতি তৈরি হয়েছে। হঠাৎ করে তাদেরকে সেসব থেকে বঞ্চিত করে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চাপিয়ে দেওয়ার অর্থ তাদের উপর জুলুম করা। এটা কখনই কাম্য নয়। তাদের মতে, ইউসিসি ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের বিরোধীতা করে।

শুধু সংখ্যালঘু নয়, সংখ্যাগুরুদেরও সমস্যায় ফেলবে ইউসিসি। কারণ হিন্দু ধর্মের মধ্যে যারা তফশিলি উপজাতির মানুষ, তাদেররও কিছু নিজস্ব নিয়ামাবলী রয়েছে। ফলে তারাও সমস্যায় পড়বেন।

ইউসিসির বদলে ল কমিশনকে সব ধর্মের মানুষের জন্য একটি ইউনিফর্ম কাস্ট কোড চালু করার পরাপমর্শ দিয়েছে ডিএমকে। যাতে জাতিভেদের নামে নৃশংসায় রাশ টানা যায়। সেখানে স্ট্যালিনের তামিলনাডু সরকারের একটি পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। সস্প্রতি সট্যালিন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জাতিভেদ রুখতে সে রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরে বিভিন্ন জাতির পুরোহিত নিয়োগ করা হবে।