নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের হত্যার অভিযোগে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি ট্রাম্পের
- আপডেট : ২ নভেম্বর ২০২৫, রবিবার
- / 114
নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে দেশটিতে সামরিক অভিযান চালানোর হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, নাইজেরিয়া সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য বন্ধের পাশাপাশি সেখানে “দ্রুত ও নির্মম” সামরিক অভিযান চালানো হবে।
ট্রাম্পের দাবি, পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে উগ্র ইসলামপন্থিদের হাতে খ্রিস্টানদের হত্যা “একটি নীরব গণহত্যা”-র রূপ নিচ্ছে। তাঁর ভাষায়, “নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের অস্তিত্ব বিপন্ন। হাজার হাজার মানুষ নৃশংসভাবে খুন হচ্ছে, অথচ সরকার কিছুই করছে না।”
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “নাইজেরিয়া যদি ব্যবস্থা না নেয়, আমরা তাদের প্রতি সহায়তা অবিলম্বে বন্ধ করে দেব। আমি আমাদের প্রতিরক্ষা বিভাগকে সম্ভাব্য পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছি। আমরা যদি যাই, তবে তা হবে দ্রুত, নির্মম এবং কার্যকর—যেমনভাবে ওই সন্ত্রাসীরা আমাদের প্রিয় খ্রিস্টান ভাই-বোনদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।”
ট্রাম্প ঠিক কোন গোষ্ঠী বা ঘটনার কথা বলছেন তা স্পষ্ট করেননি। তবে মার্কিন প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রক্ষণশীল রাজনীতিক ও ধর্মীয় সংগঠন নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলের সহিংস ঘটনাগুলিকে “খ্রিস্টান গণহত্যা” হিসেবে চিহ্নিত করছে।
এর আগের দিন ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল ও তেলসমৃদ্ধ দেশ নাইজেরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, “ওখানে যা ঘটছে তা মানবতার লজ্জা।”
তবে মানবাধিকার সংগঠন ও বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন। তাঁদের মতে, নাইজেরিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে চলা সহিংসতা কেবল ধর্মীয় কারণে নয়—এর পেছনে আছে জটিল রাজনৈতিক অস্থিরতা, দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও নিরাপত্তাহীনতা।
তাঁরা আশঙ্কা করছেন, ট্রাম্পের এমন হুমকি স্থানীয় উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এ বিষয়ে নাইজেরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে দেশটির কিছু শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, “নাইজেরিয়া তার সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না।”
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই বক্তব্য তাঁর নির্বাচনী রাজনীতির অংশও হতে পারে—বিশেষ করে মার্কিন খ্রিস্টান ভোটারদের আকৃষ্ট করার কৌশল হিসেবে। তবে একথা অস্বীকার করা যায় না যে, ট্রাম্পের এমন ভাষণ আফ্রিকা মহাদেশে নতুন কূটনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করেছে।






















