০৪ জুন ২০২৫, বুধবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশ্চিমা বিশ্ব নারীদের  অভিভাবক নয়: ইরান  কথা বলার অধিকার নেই আমেরিকার’

অর্পিতা লাহিড়ী
  • আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২২, শনিবার
  • / 26

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরানজুড়ে চলমান বিক্ষোভের মুখে এবার পশ্চিমাদের একহাত নিলেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি জাহরা ইরশাদি। নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে অংশ নিয়ে তাঁর দাবি, ইরানের নারীদের অভিভাবক পশ্চিমারা নয়, ইরানি নারীদের নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার আমেরিকারও নেই। পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাহশা আমিনি মৃত্যুর পর এক মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তাল ইরান। দেশটির বিভিন্ন শহরে প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছেন হাজারো মানুষ। এই অস্থিরতা উসকে দেওয়ার জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্টসহ অনেকেই। তাদের অভিযোগ, ইরানকে অস্থিতিশীল করতেই আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নিয়ে একই কথা বলেছেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি জাহরা ইরশাদি। তিনি বলেন, ইরানের নারীরা জানে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে হয়। ইস্যুটি নিয়ে পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে, মাহশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় সরকারও ব্যথিত বলে উল্লেখ করেন জাহরা। জাহরা ইরশাদি বলেন, ‘মাহশা আমিনির মৃত্যু হৃদয়বিদারক। এটা আমাদের সরকারসহ নাগরিকদের ব্যথিত করেছে। আমরা এর জন্য অনুতপ্ত। সরকার তদন্ত করছে। পশ্চিমাদের প্রতি আমাদের পরামর্শ, আপনারা ইরানের নারীদের অভিভাবক হওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাদের পক্ষে কথা বলার অধিকার আপনাদের নেই। আমাদের নারীরা অনেক স্মার্ট, তারা জানে কীভাবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে হয়।’ এদিকে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্রকারীদের এক হাত নিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট পালনের যারা ডাক দিয়েছেন তাদের পশ্চিমাদের মতোই শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি। একই সঙ্গে, যে নারীরা দেশ থেকে বিদেশে গিয়ে পশ্চিমাদের সাহায্য করছে তাদেরকেও শত্রু বলেছেন খামেনি। খামেনি বলেন, ‘এমন ঘটনা নতুন নয়। কিছু হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। অনেক শিক্ষার্থী দেশেই বড় হয়, কিন্তু শেষে তারা বিদেশে যায়। এতে উপকৃত হয় শত্রুরা।’

আরও পড়ুন: পশ্চিমা বিশ্বেই সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতন হয়: তালিবান

 

আরও পড়ুন: আমরা পশ্চিমা বিশ্বের দাস নই: ইমরান খান

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পশ্চিমা বিশ্ব নারীদের  অভিভাবক নয়: ইরান  কথা বলার অধিকার নেই আমেরিকার’

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২২, শনিবার

 

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ইরানজুড়ে চলমান বিক্ষোভের মুখে এবার পশ্চিমাদের একহাত নিলেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি জাহরা ইরশাদি। নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকে অংশ নিয়ে তাঁর দাবি, ইরানের নারীদের অভিভাবক পশ্চিমারা নয়, ইরানি নারীদের নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার আমেরিকারও নেই। পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাহশা আমিনি মৃত্যুর পর এক মাসেরও বেশি সময় ধরে উত্তাল ইরান। দেশটির বিভিন্ন শহরে প্রতিদিনই বিক্ষোভ করছেন হাজারো মানুষ। এই অস্থিরতা উসকে দেওয়ার জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্টসহ অনেকেই। তাদের অভিযোগ, ইরানকে অস্থিতিশীল করতেই আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে অংশ নিয়ে একই কথা বলেছেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি জাহরা ইরশাদি। তিনি বলেন, ইরানের নারীরা জানে কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে হয়। ইস্যুটি নিয়ে পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে, মাহশা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় সরকারও ব্যথিত বলে উল্লেখ করেন জাহরা। জাহরা ইরশাদি বলেন, ‘মাহশা আমিনির মৃত্যু হৃদয়বিদারক। এটা আমাদের সরকারসহ নাগরিকদের ব্যথিত করেছে। আমরা এর জন্য অনুতপ্ত। সরকার তদন্ত করছে। পশ্চিমাদের প্রতি আমাদের পরামর্শ, আপনারা ইরানের নারীদের অভিভাবক হওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাদের পক্ষে কথা বলার অধিকার আপনাদের নেই। আমাদের নারীরা অনেক স্মার্ট, তারা জানে কীভাবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করতে হয়।’ এদিকে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্রকারীদের এক হাত নিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট পালনের যারা ডাক দিয়েছেন তাদের পশ্চিমাদের মতোই শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন তিনি। একই সঙ্গে, যে নারীরা দেশ থেকে বিদেশে গিয়ে পশ্চিমাদের সাহায্য করছে তাদেরকেও শত্রু বলেছেন খামেনি। খামেনি বলেন, ‘এমন ঘটনা নতুন নয়। কিছু হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। অনেক শিক্ষার্থী দেশেই বড় হয়, কিন্তু শেষে তারা বিদেশে যায়। এতে উপকৃত হয় শত্রুরা।’

আরও পড়ুন: পশ্চিমা বিশ্বেই সবচেয়ে বেশি নারী নির্যাতন হয়: তালিবান

 

আরও পড়ুন: আমরা পশ্চিমা বিশ্বের দাস নই: ইমরান খান