১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা মল্লকুস্তি!

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 73

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি অঞ্চলে এক সময় মল্লকুস্তি দেখা যেত। কালের গর্ভে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে মল্লকুস্তি।  সোমবার আয়োজিত হল মল্লকুস্তি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত ধোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শ্যামনগর গ্রামে।

ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন গ্রাম বাংলার এই খেলা বাঁচিয়ে রেখেছে তিলপির উত্তর শ্যামনগর গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মল্লকুস্তি বা মাল  খেলাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন মল্লকুস্তিরা। এখানে মল্লকুস্তি শুধু খেলা নয়।বরং এটি এক আবেগ।

আরও পড়ুন: মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে খুন সোনমের, অন্যদিকে ১৬ বছর ধরে স্বামীর ছবি বুকে আগলে অপেক্ষায় সন্ধ্যাদেবী

যা আজও গ্রাম বাংলার মানুষ মনে রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে খেলার পরিচালনা কমিটির সদস্য আজিজ মণ্ডল বলেন, গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ও বিলুপ্তপ্রায় খেলাগুলো তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই আমাদের এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় দাম না পাওয়ায় বাগানে নস্ট হচ্ছে টমেটো

তার পাশাপাশি বলেন বর্তমান সময়ে শিশু- কিশোররা প্রত্যেকেই মোবাইল ফোনে আসক্ত। ফোনে গেম, সিনেমা ও নাটক দেখতেই জীবনের মূল্যবান সময় পার করে দিচ্ছে তারা। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে গ্রাম বাংলার প্রাচীন এই খেলা  প্রতিযোগিতা আয়োজন অনেকটাই প্রশংসনীয়।

আরও পড়ুন: শিশু সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা শিবির সুন্দরবনে

নিয়মিত এসব খেলার আয়োজন করা হলে বর্তমান তরুণ সমাজ মাদক থেকে দূরে থাকবে। স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি কমবে। তাই এসব আয়োজনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। তিলপির বাসিন্দা যুবক মোস্তাক মণ্ডল জানিয়েছেন, আমরা এই প্রজন্মের ছেলে। ঐতিহাসিক প্রাচীন খেলা দেখতে এসেছি।

দেখার পর খুবই আনন্দ উপভোগ করেছি। ভালোই লেগেছে। আগামী দিন এই খেলা প্রতিটি গ্রামগঞ্জে আয়োজন করা হোক। তাতে আমাদের মতন এই প্রজন্মের ছেলেরা  মোবাইল ফোনের হাত থেকে অন্তত বাঁচবে। নইলে আগামী দিনে এই খেলা হারিয়ে যাবে। তবে এই খেলা দেখতে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা মল্লকুস্তি!

আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি অঞ্চলে এক সময় মল্লকুস্তি দেখা যেত। কালের গর্ভে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে মল্লকুস্তি।  সোমবার আয়োজিত হল মল্লকুস্তি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার অন্তর্গত ধোসা চন্দনেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর শ্যামনগর গ্রামে।

ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন গ্রাম বাংলার এই খেলা বাঁচিয়ে রেখেছে তিলপির উত্তর শ্যামনগর গ্রামবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মল্লকুস্তি বা মাল  খেলাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে অংশগ্রহণ করেছিলেন মল্লকুস্তিরা। এখানে মল্লকুস্তি শুধু খেলা নয়।বরং এটি এক আবেগ।

আরও পড়ুন: মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে স্বামীকে খুন সোনমের, অন্যদিকে ১৬ বছর ধরে স্বামীর ছবি বুকে আগলে অপেক্ষায় সন্ধ্যাদেবী

যা আজও গ্রাম বাংলার মানুষ মনে রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে খেলার পরিচালনা কমিটির সদস্য আজিজ মণ্ডল বলেন, গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ও বিলুপ্তপ্রায় খেলাগুলো তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই আমাদের এই প্রতিযোগিতার আয়োজন।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় দাম না পাওয়ায় বাগানে নস্ট হচ্ছে টমেটো

তার পাশাপাশি বলেন বর্তমান সময়ে শিশু- কিশোররা প্রত্যেকেই মোবাইল ফোনে আসক্ত। ফোনে গেম, সিনেমা ও নাটক দেখতেই জীবনের মূল্যবান সময় পার করে দিচ্ছে তারা। সেই সময়ে দাঁড়িয়ে গ্রাম বাংলার প্রাচীন এই খেলা  প্রতিযোগিতা আয়োজন অনেকটাই প্রশংসনীয়।

আরও পড়ুন: শিশু সুরক্ষা নিয়ে সচেতনতা শিবির সুন্দরবনে

নিয়মিত এসব খেলার আয়োজন করা হলে বর্তমান তরুণ সমাজ মাদক থেকে দূরে থাকবে। স্মার্টফোনের প্রতি আসক্তি কমবে। তাই এসব আয়োজনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। তিলপির বাসিন্দা যুবক মোস্তাক মণ্ডল জানিয়েছেন, আমরা এই প্রজন্মের ছেলে। ঐতিহাসিক প্রাচীন খেলা দেখতে এসেছি।

দেখার পর খুবই আনন্দ উপভোগ করেছি। ভালোই লেগেছে। আগামী দিন এই খেলা প্রতিটি গ্রামগঞ্জে আয়োজন করা হোক। তাতে আমাদের মতন এই প্রজন্মের ছেলেরা  মোবাইল ফোনের হাত থেকে অন্তত বাঁচবে। নইলে আগামী দিনে এই খেলা হারিয়ে যাবে। তবে এই খেলা দেখতে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন।