পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সোমবার, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে ভারত-দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় সংসদীয় দলের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে ছিলেন  তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতেই হবে। তাকে কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের ঐক্য ভাঙতে সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথা নত করার প্রশ্নই নেই। শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্বই আজ জঙ্গিদমনে হাতে হাত ধরে কাজ করুক, সেই আবেদনও জানালেন অভিষেক।

বিশ্বমঞ্চে পাকিস্তানের ‘সন্ত্রাসী’  মদত নিয়ে সরব সংসদীয় প্রতিনিধি দল। এর নেতৃত্বে রয়েছেন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা। জাপান ঘুরে রবিবার দক্ষিণ কোরিয়া পৌঁছেছেন তাঁরা। সঙ্গে রয়েছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সিওলে সেখানকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভারত-দক্ষিণ কোরিয়ার সুসম্পর্ক তুলে ধরতে রবীন্দ্রনাথের কবিতার কথা উল্লেখ করেছিলেন অভিষেক। আর সোমবার সিওলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে পাকিস্তানকে কার্যত তুলোধোনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন  ”আমরা বিশ্বকে বলতে চাই, পাকিস্তানকে সমর্থন করার অর্থই হল সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া। ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলা শুধুমাত্র ভারতের জাতীয় সুরক্ষায় আঘাত নয়। এটা এখন গোটা বিশ্বের কাছে উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে। আমরা আগেও বারবার বলেছি, পাকিস্তান নিজেদের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের লালনপালন করে। যদি ইদানিংকালে ভারত ও পাকিস্তানের আর্থিক উন্নতির দিকে নজর রাখা যায়, তাহলে দেখা যাবে দু’দেশের মধ্যে আকাশপাতাল ফারাক। ভারতের উন্নতি থমকে দিতেই হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।” দক্ষিণ কোরিয়ার পর ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরও যাওয়ার কথা এই প্রতিনিধিদের।