পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বুধবার আফগানিস্তান নিয়ে বৈঠকে বসলেন ভারত, ইরান এবং রাশিয়া সহ আটটি দেশের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।সন্ত্রাসবাদের মতো হুমকির মোকাবিলা এবং সেদেশের মানবিক সংকট মোকাবিলায় ঘনিষ্ঠ সমন্বয় এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা গড়ে তুলতেই এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকে আগত দেশগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ভারত আমন্ত্রণ জানানো সত্ত্বেও আফগানিস্তান পরিস্থিতি পর্যালোচনার এই বৈঠকে অংশ নেয়নি চিন এবং পাকিস্তান। কিন্তু রাশিয়া, ইরান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান, কিরঘিজস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার থেকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সভাপতিত্বে আয়োজিত বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।

আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা গড়ে তুলতে সহমত হল ভারত-সহ সাত দেশ। বুধবার নয়াদিল্লিতে আফগান পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য আঞ্চলিক দেশগুলির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) স্তরের বৈঠকে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে।

গত অক্টোবরে মস্কোয় তালিবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব জে পি সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদল। ওই বৈঠকে মোট ন’টি দেশ অংশ নিয়েছিল। বৈঠকের পরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্তরে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিল নয়াদিল্লি। তারই ভিত্তিতে এই বৈঠক।

বৈঠকে দোভাল বলেন, ‘আমরা সবাই গভীরভাবে (আফগানিস্তানের) ঘটনাগুলি পর্যবেক্ষণ করছি। এগুলো শুধুমাত্র আফগানিস্তানের জনগণের জন্যই নয়, তার প্রতিবেশী দেশ ও সমগ্র অঞ্চলের উপরও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে। এটি আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ পরামর্শ আদান প্রদান, আঞ্চলিক দেশগুলির মধ্যে বৃহত্তর সহযোগিতা এবং সমন্বয়ের সময়।’

ইরান, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানের এনএসএ এবং নিরাপত্তা পরিষদের সচিবরা তাদের সংক্ষিপ্ত উদ্বোধনী বিবৃতিতে আফগানিস্তান থেকে জন্ম নেওয়া সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারের মতো হুমকি মোকাবিলা করতে এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর জোর দেন। শীত শুরু হওয়ার আগে আফগান জনগণের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই বিষয়েও বক্তব্য রাখেন তাঁরা।

উল্লেখ্য আফগানিস্থান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হলেন প্রতিবেশী দেশগুলির নিরাপত্তা উপদেষ্টাগণ। কিন্তু তালিবান সরকারের কোনও প্রতিনিধি এই বৈঠকে আমন্ত্রিত হননি।

ইতিপূর্বে আফগানিস্থান নিয়ে প্রতিবেশী এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলির বিশেষ বৈঠকে আয়োজন করে রাশিয়া , চিন ইরান , তুর্কিমিনিস্তান ও উজবেকিস্তান। সেখানে অবশ্য উপস্থিত ছিলেন তালিবান সরকারের প্রতিনিধিরা।

ভারতে যখন প্রতিবেশী দেশগুলির প্রতিনিধিরা গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হলেন ঠিক সেই সময় তালিবান সরকারের বিদেশ মন্ত্রী আমির খান মুত্তাকী রয়েছেন ইসলামাবাদে।