২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাতপাতের বিভেদ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে?   মামলা হাইকোর্টে

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 29

পারিজাত মোল্লা:  বাংলাতেও জাতপাতের বিচার? এবার মামলা গড়ালো কলকাতা হাইকোর্টে। জাতপাত তুলে লাগাতার মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জয়ন্তকিশোর নন্দীর বিরুদ্ধে।

রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমল কুমার ভুঁইয়া।স্থানীয় থানা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সকলের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

এমনকী বিষয়টিকে ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমল কুমার ভুঁইয়ার অভিযোগ, -‘ গত দু’বছরের বেশি সময় ধরে জাতপাত তুলে মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন রেজিস্ট্রার। আমি তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। সেটা জেনেই রেজিস্ট্রার জাতিবিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে আমার সঙ্গে বিরূপ আচরণ করছেন। বারংবার বলার পরও উনি এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করেননি। বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে রেজিস্টার জয়ন্তকিশোর নন্দী বলেন, – ‘আদালতের বিচারাধীন বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে চাঞ্চল্য পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অধ্যাপক এবং পড়ুয়া মহলে।

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্দরে জাতপাত তুলে গালাগালি বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছেন না কেউই।

অন্যদিকে আর একটি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কর্মচারীদের দায়িত্ব বন্টন ইস্যুতে নিজের নোটশিটে দুই মহিলাকর্মীর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠছিল ডেপুটি রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে। যদিও অমলবাবুর দাবি, ‘তাঁর নোটশিট বিকৃত করে কেউ বা কারা তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক স্তরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, রেজিস্ট্রার বনাম ডেপুটি রেজিস্ট্রারের এই গোলমালের প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কাজকর্মেও’।

সম্প্রতি দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে সংশ্লিষ্ট দুই আধিকারিক গোলমালে জড়িয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ। এখন দেখার হাইকোর্ট এই মামলার পরিপেক্ষিতে কি নির্দেশ দেয়?

 

C

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জাতপাতের বিভেদ বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে?   মামলা হাইকোর্টে

আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা:  বাংলাতেও জাতপাতের বিচার? এবার মামলা গড়ালো কলকাতা হাইকোর্টে। জাতপাত তুলে লাগাতার মানসিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জয়ন্তকিশোর নন্দীর বিরুদ্ধে।

রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমল কুমার ভুঁইয়া।স্থানীয় থানা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সকলের কাছে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

এমনকী বিষয়টিকে ঘিরে কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার অমল কুমার ভুঁইয়ার অভিযোগ, -‘ গত দু’বছরের বেশি সময় ধরে জাতপাত তুলে মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছেন রেজিস্ট্রার। আমি তফসিলি জাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। সেটা জেনেই রেজিস্ট্রার জাতিবিদ্বেষী মনোভাব নিয়ে আমার সঙ্গে বিরূপ আচরণ করছেন। বারংবার বলার পরও উনি এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করেননি। বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ উড়িয়ে রেজিস্টার জয়ন্তকিশোর নন্দী বলেন, – ‘আদালতের বিচারাধীন বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে চাঞ্চল্য পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অধ্যাপক এবং পড়ুয়া মহলে।

আরও পড়ুন: মানিকের স্ত্রী- পুত্র মামলায় হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে ইডি

বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্দরে জাতপাত তুলে গালাগালি বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছেন না কেউই।

অন্যদিকে আর একটি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি কর্মচারীদের দায়িত্ব বন্টন ইস্যুতে নিজের নোটশিটে দুই মহিলাকর্মীর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠছিল ডেপুটি রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে। যদিও অমলবাবুর দাবি, ‘তাঁর নোটশিট বিকৃত করে কেউ বা কারা তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক স্তরে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।’

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, রেজিস্ট্রার বনাম ডেপুটি রেজিস্ট্রারের এই গোলমালের প্রভাব পড়ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কাজকর্মেও’।

সম্প্রতি দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে সংশ্লিষ্ট দুই আধিকারিক গোলমালে জড়িয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ। এখন দেখার হাইকোর্ট এই মামলার পরিপেক্ষিতে কি নির্দেশ দেয়?

 

C