ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ ২ বছরের মধ্যে শেষ হবে, বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

- আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 1
পুবের কলম প্রতিবেদক: কেন্দ্র অসমকে টাকা দিলেও বাংলাকে বঞ্চিত রেখেছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় এমনই অভিযোগ তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন্যার পরিস্থিতি ঠেকাতে বঞ্চনার অভিযোগ, কেন্দ্রকে দোষারোপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তোপ, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বুলডোজ করেছে কেন্দ্র। ডিভিসি যে না জানিয়ে জল ছেড়েছে, সেই অভিযোগ আরও একবার করেছেন তিনি। গত বছর বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেও ডিভিসিকে তোপ দেগেছিলেন তিনি। তুলে ধরেছিলেন ‘ম্যান মেড বন্যা’ তত্ত্ব। মমতার অভিযোগ, ‘কেন্দ্র বাংলাকে এক পয়সাও দেয়নি, অসমকে দিয়েছে।’ ঘাটালের জন্য বরাদ্দ দেড় হাজার কোটি টাকাও কেন্দ্র দেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী আবারও দাবি করেন, বহুবার অনুরোধ করা হয়েছে, কিন্তু কোনওভাবেই ডিভিসি শোনে না। ডিভিসি এবার না জানিয়েই জল ছেড়েছে। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছামতো ঝাড়খণ্ড-বিহার থেকে জল ছেড়ে দেওয়া হয়। আর সেই কারণেই বাংলায় বারংবার বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য কোষাগার থেকেই কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। মুখ্যমন্ত্রীর আরও বক্তব্য, ডিভিসি যদি ঠিকঠাক মতো ড্রেজিং করত, তাহলে আরও ৪ লক্ষ কিউসেক জল সেখানে ধারণ করার সুযোগ থাকত। কিন্তু সেটা ঠিকমতো করছে না বলেই বাংলার ওপর চাপ বাড়ছে বলে অভিযোগ মমতার। পাশাপাশি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বছর দুয়েকের মধ্যে গোটা কাজ সম্পূর্ণ হবে। চন্দ্রকোণা, কেশপুর, ওই সংলগ্ন এলাকা বন্যা পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ হবে। তবে এটাও স্পষ্ট ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের রুট এমনভাবে করতে হবে, যাতে কোনওভাবেই জনবসতি প্রভাবিত না হয়। পাশাপাশি বিধানসভায় এদিন মুখ্যমন্ত্রী এই প্রশ্নও তোলেন, ইন্ডিয়া ভুটান রিভার কমিশনে কেন বাংলার কোনও প্রতিনিধি নেই। প্রায় প্রতি বছরই বর্ষায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশ। কারণ বন্যা পরিস্থিতি। আর সেই সূত্রেই আরও একবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। ২০১৪, ২০১৯ এবং ২০২৪; গত তিনটি লোকসভা ভোটেই ঘাটালে রাজ্যের শাসকদলের তুরুপের তাস ছিল ‘মাস্টার প্ল্যান।’ ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের মুখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ঘোষণা করেন, ওই প্রকল্প রাজ্য সরকার একাই কার্যকর করবেন। সেই পথেই এগোচ্ছে রাজ্য।