১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিধ্বংসী টাইফুন হান্নামনর শক্তি বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে, আতঙ্কের প্রহর গুণছে জাপান

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩১ অগাস্ট ২০২২, বুধবার
  • / 25

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিধ্বংসী টাইফুনের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে জাপানে। ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ১৯৫৮ সালের পর ফের বিধ্বংসী টাইফুনের আতঙ্ক জাপানজুড়ে। যার গতিবেগ বর্তমানে রয়েছে ঘন্টায় ৩৭০ কিলোমিটার। সর্বশেষ উপগ্রহ চিত্র পর্যালোচনা করে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করছে টাইফুন।

সুপার টাইফুন হান্নামনরের প্রভাবে জাপানের দক্ষিণের দ্বীপগুলির ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে জাপানের স্থানীয় প্রশাসন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে ৪১-৪৫ ফুট উঁচু ঢেউ ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার শহরগুলোকে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: কৃত্রিম রক্ত তৈরি করলেন জাপানি বিজ্ঞানীরা

হংকংয়ের অবজার্ভেটরি রিপোর্ট অনুযায়ী জাপান থেকে ২৩০ কিলোমিটার পূর্বে ওকিনাওয়ার কাছে অবস্থান করছে সুপার টাইফুন। প্রতি ঘণ্টায় পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম অভিমুখে ২২ কিলোমিটার করে এগিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: জাপানে প্রথমবার ৭ লক্ষের নিচে জন্মহার, উদ্বেগে সরকার

জাপানের আবহাওয়া দফতর এবং টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, সুপার টাইফুন হিন্নামনর ল্যান্ড ফল করবে খুব বিধ্বংসী রূপে। দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঝড়ের উপর প্রতি মুহূর্তে নজরে রাখতে গভীর সমুদ্রে জাপান সরকার তিনটি রণতরী মজুত রেখেছে। এছাড়াও হান্নামনরের গতিপথের দিকে খেয়াল রাখছে নাসার ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া)-র পাঠানো সুয়োমি এনপিপি স্যাটেলাইট।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সংকল্প দৃঢ়: সিওলেতে পৌঁছে লিখলেন অভিষেক

ইতিমধ্যেই জাপানের মিত্র দেশ গুলির রাষ্ট্র প্রধানরা জাপান সরকারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

১৯৫৮ সালে ১২০০০ জাপানি মৃত্যু হয়েছিল বিধ্বংসী টাইফুন ঝড় “জেবী” এর কবলে পড়ে। তার পর ফের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীণ জাপান। অসহায় জাপানবাসীর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার জন্য বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বিধ্বংসী টাইফুন হান্নামনর শক্তি বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে, আতঙ্কের প্রহর গুণছে জাপান

আপডেট : ৩১ অগাস্ট ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ বিধ্বংসী টাইফুনের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে জাপানে। ইতিমধ্যেই সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ১৯৫৮ সালের পর ফের বিধ্বংসী টাইফুনের আতঙ্ক জাপানজুড়ে। যার গতিবেগ বর্তমানে রয়েছে ঘন্টায় ৩৭০ কিলোমিটার। সর্বশেষ উপগ্রহ চিত্র পর্যালোচনা করে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করছে টাইফুন।

সুপার টাইফুন হান্নামনরের প্রভাবে জাপানের দক্ষিণের দ্বীপগুলির ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে জাপানের স্থানীয় প্রশাসন। সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে ৪১-৪৫ ফুট উঁচু ঢেউ ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার শহরগুলোকে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।

আরও পড়ুন: কৃত্রিম রক্ত তৈরি করলেন জাপানি বিজ্ঞানীরা

হংকংয়ের অবজার্ভেটরি রিপোর্ট অনুযায়ী জাপান থেকে ২৩০ কিলোমিটার পূর্বে ওকিনাওয়ার কাছে অবস্থান করছে সুপার টাইফুন। প্রতি ঘণ্টায় পশ্চিম-দক্ষিণ পশ্চিম অভিমুখে ২২ কিলোমিটার করে এগিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন: জাপানে প্রথমবার ৭ লক্ষের নিচে জন্মহার, উদ্বেগে সরকার

জাপানের আবহাওয়া দফতর এবং টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, সুপার টাইফুন হিন্নামনর ল্যান্ড ফল করবে খুব বিধ্বংসী রূপে। দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ঝড়ের উপর প্রতি মুহূর্তে নজরে রাখতে গভীর সমুদ্রে জাপান সরকার তিনটি রণতরী মজুত রেখেছে। এছাড়াও হান্নামনরের গতিপথের দিকে খেয়াল রাখছে নাসার ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নোয়া)-র পাঠানো সুয়োমি এনপিপি স্যাটেলাইট।

আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সংকল্প দৃঢ়: সিওলেতে পৌঁছে লিখলেন অভিষেক

ইতিমধ্যেই জাপানের মিত্র দেশ গুলির রাষ্ট্র প্রধানরা জাপান সরকারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

১৯৫৮ সালে ১২০০০ জাপানি মৃত্যু হয়েছিল বিধ্বংসী টাইফুন ঝড় “জেবী” এর কবলে পড়ে। তার পর ফের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীণ জাপান। অসহায় জাপানবাসীর জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার জন্য বিশ্ববাসীর কাছে আহ্বান জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।