০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেহরির জন্য ডাকতে ঢোল বাজানো হয় ইস্তানবুলে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩, বুধবার
  • / 18

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পবিত্র রমযান মাস মুসলমানদের কাছে পবিত্র এক মাস। রোযার সময় অধিকাংশ মুসল্লি সাহরি খাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন। কারণ বছরের এই তাকে ভোর রাতে উঠে সেহরি খেতে হয়। এজন্য অনেকে সময় মতো সেহরি খেতে পারেন না। ফলে বিভিন্ন দেশে ভোর রাতে মুসল্লিদের ডেকে তোলার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। কেউ সাইরেন বাজিয়ে মুসল্লিদের ডেকে তোলেন, আবার কেউ পাড়ায়-মহল্লায় মাইক দিয়ে মুসল্লিদের ডাকেন। তবে এক্ষেত্রে ভোর রাতে মেহরি খাওয়ার জন্য ঐতিহাসিক এক রীতি অনুসরণ করা হয় তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে। প্রতি বছর রমযান মাসের পত্যেক দিন ভোর রাতে ৩ হাজার ৪০০ ঢোল বাজিয়ে মুসল্লিদের সাহরি খাওয়ার জন্য ডাকা হয়। এ কাজে বিভিন্ন বয়সের মানুষজন অংশ নিয়ে থাকেন।

ঢোল বাজানোর জন্য ঐতিহাসিক পোশাক পরিধান করা হয়। অটোমান (ওসমানীয়) সাম্রাজ্যের বাদশারা যে ধরনের পোশাক পরিধান করতেন সেই ধরনের পোশাক পরিধান করে ঢোল বাজানো হয়। ঢোল বাজানোর সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের কবিতা আবৃত্তি করা হয়। আর এ কাজে অংশ নেন ৯৬৩ জন প্রতিবেশী। রোযা শুরুর আগে ঢোল ফেডারেশনের ইনচার্জ সেলামি আয়কুত বলেন, পবিত্র রমযান মাসে যারা ড্রাম বা ঢোল বাজান, তারা সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে এ কাজ করেন। ঐতিহাসিক এই সংস্কৃতিতে অটোমান সাম্রাজ্যের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। এ কাজে আমাদের ৯৬৩ জন বাদক  প্রস্তুত রয়েছে। মূলত তুরস্কের ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজন করা। সেলামি আয়কুত বলেন, শিশু এবং যুবকদের কাছে রমযানের সংস্কৃতি তুলে ধরতে আমরা এ আয়োজন করি।

আরও পড়ুন: স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাবধান, চোখ রাঙাচ্ছে নতুন অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার  ‘ডাম’  

আরও পড়ুন: প্রচারে এরদোগান, জনসমুদ্র ইস্তান্বুল

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সেহরির জন্য ডাকতে ঢোল বাজানো হয় ইস্তানবুলে

আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পবিত্র রমযান মাস মুসলমানদের কাছে পবিত্র এক মাস। রোযার সময় অধিকাংশ মুসল্লি সাহরি খাওয়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন। কারণ বছরের এই তাকে ভোর রাতে উঠে সেহরি খেতে হয়। এজন্য অনেকে সময় মতো সেহরি খেতে পারেন না। ফলে বিভিন্ন দেশে ভোর রাতে মুসল্লিদের ডেকে তোলার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। কেউ সাইরেন বাজিয়ে মুসল্লিদের ডেকে তোলেন, আবার কেউ পাড়ায়-মহল্লায় মাইক দিয়ে মুসল্লিদের ডাকেন। তবে এক্ষেত্রে ভোর রাতে মেহরি খাওয়ার জন্য ঐতিহাসিক এক রীতি অনুসরণ করা হয় তুরস্কের ইস্তানবুল শহরে। প্রতি বছর রমযান মাসের পত্যেক দিন ভোর রাতে ৩ হাজার ৪০০ ঢোল বাজিয়ে মুসল্লিদের সাহরি খাওয়ার জন্য ডাকা হয়। এ কাজে বিভিন্ন বয়সের মানুষজন অংশ নিয়ে থাকেন।

ঢোল বাজানোর জন্য ঐতিহাসিক পোশাক পরিধান করা হয়। অটোমান (ওসমানীয়) সাম্রাজ্যের বাদশারা যে ধরনের পোশাক পরিধান করতেন সেই ধরনের পোশাক পরিধান করে ঢোল বাজানো হয়। ঢোল বাজানোর সাথে সাথে বিভিন্ন ধরনের কবিতা আবৃত্তি করা হয়। আর এ কাজে অংশ নেন ৯৬৩ জন প্রতিবেশী। রোযা শুরুর আগে ঢোল ফেডারেশনের ইনচার্জ সেলামি আয়কুত বলেন, পবিত্র রমযান মাসে যারা ড্রাম বা ঢোল বাজান, তারা সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করে এ কাজ করেন। ঐতিহাসিক এই সংস্কৃতিতে অটোমান সাম্রাজ্যের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। এ কাজে আমাদের ৯৬৩ জন বাদক  প্রস্তুত রয়েছে। মূলত তুরস্কের ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ ধরনের আয়োজন করা। সেলামি আয়কুত বলেন, শিশু এবং যুবকদের কাছে রমযানের সংস্কৃতি তুলে ধরতে আমরা এ আয়োজন করি।

আরও পড়ুন: স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা সাবধান, চোখ রাঙাচ্ছে নতুন অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার  ‘ডাম’  

আরও পড়ুন: প্রচারে এরদোগান, জনসমুদ্র ইস্তান্বুল