২১ নভেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাত, বড় বিপদের আশঙ্কায় যোশীমঠের বাসিন্দারা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২০ জানুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
  • / 179

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: যোশীমঠে বিপর্যয়ের ঘটনায় উদ্বেগে গোটা  দেশ। ফাটল তো রয়েছে, তারসঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাত। তার জেরেই বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই  ৬০০ টি পরিবারকে অন্যত্রে সরিয়ের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এখনও বেশ কয়েক পরিবার সেখানে নিজের ইচ্ছায় থেকে গেছে। এই প্রসঙ্গে তাদের জজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, আমাদের বাড়ি গুলিতে বেশি ফাটল ধরেনি। আর আমরা অন্য কোথাও যেতে চাইনা। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্থানীয় অনেককেই অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: মন্থার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি

কিন্তু যোশীমঠ বাসীর মনে নতুন করে আশঙ্কা ধরেছে যে , তুষারপাত ও বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত  এলাকায় ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। নতুন করে ভূমিধসও নামতে পারে এলাকায় এবং যে কোনও সময়ে হুড়মুড়িয়ে বাড়িঘর ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। বিগত কয়েক দিনে এই শহরের ৭০০টিরও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। চওড়া ফাটল দেখা গেছে শহরের রাস্তা-মন্দির-জমিতে।

আরও পড়ুন: ‘মন্থা’র প্রভাবে সপ্তাহজুড়ে চলবে বৃষ্টি

 

আরও পড়ুন: সপ্তাহ শেষে বৃষ্টির পূর্বাভাস

উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, ‘জেপি রেসিডেন্সিয়াল কলোনি’র ক্ষত এতটাই যে নতুন করে মেরামতি সম্ভব নয়। ওই এলাকার মাটি অন্তত ৭০ সেন্টিমিটার বসে গেছে। অন্যদিকে যোশীমঠ থেকে ১  কিলোমিটার দূরেই এনটিপিসির জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে।  নির্মীয়মাণ সেই প্রকল্পে সু়ড়ঙ্গ খননের জন্য বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছিল।   বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিটি বিস্ফোরণের পরেই কেঁপে উঠত   যোশীমঠ। আর এরপরেই গত ডিসেম্বরে শহরের বেশ কিছু বাড়িতে  ফাটল দেখা যায়। তবে এনটিপিসি দাবি করেছে, প্রকল্পের কারণে যোশীমঠের এমন বিপর্যয় হয়নি।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে তুষারপাত, বড় বিপদের আশঙ্কায় যোশীমঠের বাসিন্দারা

আপডেট : ২০ জানুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: যোশীমঠে বিপর্যয়ের ঘটনায় উদ্বেগে গোটা  দেশ। ফাটল তো রয়েছে, তারসঙ্গে শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি ও তুষারপাত। তার জেরেই বড় বিপদের আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই  ৬০০ টি পরিবারকে অন্যত্রে সরিয়ের নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এখনও বেশ কয়েক পরিবার সেখানে নিজের ইচ্ছায় থেকে গেছে। এই প্রসঙ্গে তাদের জজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন, আমাদের বাড়ি গুলিতে বেশি ফাটল ধরেনি। আর আমরা অন্য কোথাও যেতে চাইনা। ইতিমধ্যেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্থানীয় অনেককেই অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: মন্থার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি

কিন্তু যোশীমঠ বাসীর মনে নতুন করে আশঙ্কা ধরেছে যে , তুষারপাত ও বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত  এলাকায় ফাটল আরও চওড়া হতে পারে। নতুন করে ভূমিধসও নামতে পারে এলাকায় এবং যে কোনও সময়ে হুড়মুড়িয়ে বাড়িঘর ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। বিগত কয়েক দিনে এই শহরের ৭০০টিরও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। চওড়া ফাটল দেখা গেছে শহরের রাস্তা-মন্দির-জমিতে।

আরও পড়ুন: ‘মন্থা’র প্রভাবে সপ্তাহজুড়ে চলবে বৃষ্টি

 

আরও পড়ুন: সপ্তাহ শেষে বৃষ্টির পূর্বাভাস

উত্তরাখণ্ড সরকার জানিয়েছে, ‘জেপি রেসিডেন্সিয়াল কলোনি’র ক্ষত এতটাই যে নতুন করে মেরামতি সম্ভব নয়। ওই এলাকার মাটি অন্তত ৭০ সেন্টিমিটার বসে গেছে। অন্যদিকে যোশীমঠ থেকে ১  কিলোমিটার দূরেই এনটিপিসির জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চলছে।  নির্মীয়মাণ সেই প্রকল্পে সু়ড়ঙ্গ খননের জন্য বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছিল।   বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিটি বিস্ফোরণের পরেই কেঁপে উঠত   যোশীমঠ। আর এরপরেই গত ডিসেম্বরে শহরের বেশ কিছু বাড়িতে  ফাটল দেখা যায়। তবে এনটিপিসি দাবি করেছে, প্রকল্পের কারণে যোশীমঠের এমন বিপর্যয় হয়নি।