০১ জুন ২০২৫, রবিবার, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এই মরশুমে জ্বর হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

সামিমা এহসানা
  • আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 22

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বর। কম বেশি প্রতিটি বাড়িতেই কেউ না কেউ ভুগছেন জ্বরে। আগে জ্বর আসলে অনেকেই ডাক্তারের কাছে না গিয়ে নিজেরাই জ্বরের ওষুধ খেয়ে সেরে উঠতেন। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। এবারে জ্বর মানে সেটা হতে পারে ভাইরাল, সিজনাল, ম্যালেরিয়া, অথবা ডেঙ্গু।

অ্যাপোলো মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটালের চিকিৎসক, ডা. শিবব্রত ব্যানার্জীর মতে, আগে জ্বরের সঙ্গে সর্দি,কাশি, হাঁচি, গলা ব্যাথার উপসর্গ থাকলে রক্ত পরীক্ষার আগেই চিকিৎসকরা অনুমান করতে পারতেন যে সেটা ভাইরাল ফিভার। কিন্তু এখন কোভিড ও ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রেও এই একই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ফলে কোনভাবেই জ্বরকে অবহেলা করা যাবে না। ডা. ব্যানার্জি জানিয়েছেন, এখন ইনফ্লুয়েন্সা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সোয়াইন ফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জার আর একটি রূপ। চিকিৎসার পরিভাষায় এটি H1 N1 নামে পরিচিত। এই শীতে সোয়াইন ফ্লু’র দৌরাত্ম বাড়ছে। এর লক্ষণ গুলি হল, প্রচন্ড জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশি ইত্যাদি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়, যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

আরও পড়ুন: দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজারের কাছে, বাড়ছে মৃত্যুও

ডক্টর ব্যানার্জীর মতে, জ্বরের পাশাপাশি এই ধরনের কোন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ফেলে রাখলে অসুখের তীব্রতা বাড়বে।

আরও পড়ুন: কলকাতায় আক্রান্ত আরও ২, রাজ্যে করোনা পজিটিভ ১৮

জ্বরের সঙ্গে যদি সর্দি,কাশি না থাকে তাহলে দ্বিগুন সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে বলে মত ডা. ব্যানার্জির। রোগী যদি ম্যালেরিয়া টাইফয়েড বা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, তবে জ্বরের সঙ্গে সর্দি বা কাশির লক্ষণ থাকবে না। এমন পরিস্থিতিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
তাই এই শীতে জ্বর যে ধরনেরই হোক না কেন তা কোনভাবেই ফেলে রাখা বা প্যারাসিটামল খেয়ে চিকিৎসা করার চেষ্টা করা যাবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরও পড়ুন: কোভিডের পর এবার রহস্যময় নিউমোনিয়া চিনে

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

এই মরশুমে জ্বর হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে

আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জ্বর। কম বেশি প্রতিটি বাড়িতেই কেউ না কেউ ভুগছেন জ্বরে। আগে জ্বর আসলে অনেকেই ডাক্তারের কাছে না গিয়ে নিজেরাই জ্বরের ওষুধ খেয়ে সেরে উঠতেন। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। এবারে জ্বর মানে সেটা হতে পারে ভাইরাল, সিজনাল, ম্যালেরিয়া, অথবা ডেঙ্গু।

অ্যাপোলো মাল্টি স্পেশালিটি হসপিটালের চিকিৎসক, ডা. শিবব্রত ব্যানার্জীর মতে, আগে জ্বরের সঙ্গে সর্দি,কাশি, হাঁচি, গলা ব্যাথার উপসর্গ থাকলে রক্ত পরীক্ষার আগেই চিকিৎসকরা অনুমান করতে পারতেন যে সেটা ভাইরাল ফিভার। কিন্তু এখন কোভিড ও ইনফ্লুয়েঞ্জার ক্ষেত্রেও এই একই উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। ফলে কোনভাবেই জ্বরকে অবহেলা করা যাবে না। ডা. ব্যানার্জি জানিয়েছেন, এখন ইনফ্লুয়েন্সা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সোয়াইন ফ্লু, ইনফ্লুয়েঞ্জার আর একটি রূপ। চিকিৎসার পরিভাষায় এটি H1 N1 নামে পরিচিত। এই শীতে সোয়াইন ফ্লু’র দৌরাত্ম বাড়ছে। এর লক্ষণ গুলি হল, প্রচন্ড জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, কাশি ইত্যাদি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়, যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

আরও পড়ুন: দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজারের কাছে, বাড়ছে মৃত্যুও

ডক্টর ব্যানার্জীর মতে, জ্বরের পাশাপাশি এই ধরনের কোন লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ফেলে রাখলে অসুখের তীব্রতা বাড়বে।

আরও পড়ুন: কলকাতায় আক্রান্ত আরও ২, রাজ্যে করোনা পজিটিভ ১৮

জ্বরের সঙ্গে যদি সর্দি,কাশি না থাকে তাহলে দ্বিগুন সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে বলে মত ডা. ব্যানার্জির। রোগী যদি ম্যালেরিয়া টাইফয়েড বা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন, তবে জ্বরের সঙ্গে সর্দি বা কাশির লক্ষণ থাকবে না। এমন পরিস্থিতিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
তাই এই শীতে জ্বর যে ধরনেরই হোক না কেন তা কোনভাবেই ফেলে রাখা বা প্যারাসিটামল খেয়ে চিকিৎসা করার চেষ্টা করা যাবে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরও পড়ুন: কোভিডের পর এবার রহস্যময় নিউমোনিয়া চিনে