২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘পঞ্জাবের মতো রাজ্যের জন্য নভোজ্যোত সিং সিধু উপযুক্ত ব্যক্তি নন’, ট্যুইট অমরিন্দর সিংয়ের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 16

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাজনীতিতে এক নাটকীয় মোড় দিয়ে পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নভোজ্যোত সিং সিধু। মঙ্গলবার বিকেল তিনটে নাগাদ তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ট্যুইট করে পদত্যাগের কথা জানান সিধু। ঠিক তার পরেই বিকেল ৩.২৯ মিনিট নাগাদ ট্যুইট করে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং লিখলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম পঞ্জাবের মতো রাজ্যের জন্য নভোজ্যোত সিং সিধু উপযুক্ত ব্যক্তি নন’।

পঞ্জাবে রাজনীতিতে নাটকীয় মোড় অব্যাহত থাকল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অমরিন্দর সিং। ইস্তফা দিয়ে ক্যাপ্টেন ক্ষোভের সুরে বলেছিলেন, আমাকে অপমান করা হয়েছে। দুই মাসে তিনবার বিধায়ক দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সরকার চালানো নিয়ে আমার উপর সন্দেহ করা হচ্ছে। আমি নিজেকে অপমানিত মনে করছি। এইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ টিকিয়ে রাখা যায় না’।  

আরও পড়ুন: দলকে উপেক্ষা করে জনসংযোগ কর্মসূচী সিধুর, ‘শৃঙ্খলাভঙ্গ’ মত শীর্ষ নেতাদের

বহুদিন ধরেই পঞ্জাবের রাজনীতিতে অন্তর্কলহ স্পষ্ট। নভজ্যোত সিং সিধু বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বিরোধ প্রকট হয়েছে। পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব হাইকমান্ড সিধুর কাঁধে দেয়। যা নিয়ে শুরু হয় দু পক্ষের মধ্যে বিরোধ। ক্যাপ্টেনের প্রতিবাদ সত্ত্বেও তাতে আমল দেননি সোনিয়া গান্ধী। সেই সময়ে সিধু ও অমরিন্দরের বিরোধের সমাধান হয়ে গিয়েছিল বলেই মনে করা হয়েছিল।  কিন্তু, সিধুর পরামর্শদাতা মালবিন্দর সিং মালির কাশ্মীর সংক্রান্ত একটি ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। তার প্রভাব পড়ে দলের অন্দরেও। কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক অমরিন্দরকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত দলের চাপে ক্যাপ্টেনকে গদি ছাড়ার নির্দেশ দেয় হাই কম্যান্ড।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘পঞ্জাবের মতো রাজ্যের জন্য নভোজ্যোত সিং সিধু উপযুক্ত ব্যক্তি নন’, ট্যুইট অমরিন্দর সিংয়ের

আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাজনীতিতে এক নাটকীয় মোড় দিয়ে পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন নভোজ্যোত সিং সিধু। মঙ্গলবার বিকেল তিনটে নাগাদ তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে ট্যুইট করে পদত্যাগের কথা জানান সিধু। ঠিক তার পরেই বিকেল ৩.২৯ মিনিট নাগাদ ট্যুইট করে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং লিখলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম পঞ্জাবের মতো রাজ্যের জন্য নভোজ্যোত সিং সিধু উপযুক্ত ব্যক্তি নন’।

পঞ্জাবে রাজনীতিতে নাটকীয় মোড় অব্যাহত থাকল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন অমরিন্দর সিং। ইস্তফা দিয়ে ক্যাপ্টেন ক্ষোভের সুরে বলেছিলেন, আমাকে অপমান করা হয়েছে। দুই মাসে তিনবার বিধায়ক দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সরকার চালানো নিয়ে আমার উপর সন্দেহ করা হচ্ছে। আমি নিজেকে অপমানিত মনে করছি। এইভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ টিকিয়ে রাখা যায় না’।  

আরও পড়ুন: দলকে উপেক্ষা করে জনসংযোগ কর্মসূচী সিধুর, ‘শৃঙ্খলাভঙ্গ’ মত শীর্ষ নেতাদের

বহুদিন ধরেই পঞ্জাবের রাজনীতিতে অন্তর্কলহ স্পষ্ট। নভজ্যোত সিং সিধু বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বিরোধ প্রকট হয়েছে। পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব হাইকমান্ড সিধুর কাঁধে দেয়। যা নিয়ে শুরু হয় দু পক্ষের মধ্যে বিরোধ। ক্যাপ্টেনের প্রতিবাদ সত্ত্বেও তাতে আমল দেননি সোনিয়া গান্ধী। সেই সময়ে সিধু ও অমরিন্দরের বিরোধের সমাধান হয়ে গিয়েছিল বলেই মনে করা হয়েছিল।  কিন্তু, সিধুর পরামর্শদাতা মালবিন্দর সিং মালির কাশ্মীর সংক্রান্ত একটি ট্যুইট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। তার প্রভাব পড়ে দলের অন্দরেও। কংগ্রেসের একাধিক বিধায়ক অমরিন্দরকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ার দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত দলের চাপে ক্যাপ্টেনকে গদি ছাড়ার নির্দেশ দেয় হাই কম্যান্ড।