২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দলকে উপেক্ষা করে জনসংযোগ কর্মসূচী সিধুর, ‘শৃঙ্খলাভঙ্গ’ মত শীর্ষ নেতাদের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২২ জানুয়ারী ২০২৪, সোমবার
  • / 72

চন্ডীগড়, ২২ জানুয়ারি: কংগ্রেস দলে এখন বাঘ দরকার, তবেই দলের উন্নতিসাধন হবে বলে মন্তব্য করলেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্যে লাগাতার জনসংযোগ কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। গত রবিবার মোগায় ‘জিত্তেগা পঞ্জাব, জিত্তেগি কংগ্রেস’ র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন সিধু। সেখানেই নিজের দলের নেতৃত্বকে আক্রমণ করেন তিনি। সিধু বলেন, “এখন আর ছাগল-ভেড়া নয়। দলে বাঘ দরকার।” মোগায় সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি, ‘কংগ্রেস গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। পুরানো গৌরব নিয়ে বেঁচে থাকলে হবে না। দলে সততা আনতে হবে। জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। তবেই কংগ্রেস এগিয়ে যেতে পারবে।’ পঞ্জাবের আপ সরকারকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সিধু। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যার প্যাকেটে কাজ হবে না’।

 

আরও পড়ুন: ইরানের সার্বভৌমত্বের উপর হামলার নিন্দা, কেন্দ্রকে কটাক্ষ কংগ্রেসের

সিধুর জনসংযোগ কর্মসূচী এবং দলীয় নেতাদের আক্রমণ মোটেও ভালোভাবে নেয়নি কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য নেতাদের বক্তব্য, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই ‘জিত্তেগা পঞ্জাব, জিত্তেগি কংগ্রেস’ জনসংযোগ কর্মসূচী করছেন সিধু। রাজ্য নেতাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না তিনি। ইচ্ছেমত কাজ করছেন। দলীয় নেতাদের আপত্তি সত্ত্বেও গত দু’মাস ধরে ওই কর্মসূচী করছেন তিনি। তাঁর দলবিরোধী কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ হয়ে সম্প্রতি পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবেন্দ্র যাদবকেও বিষয়টি জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা। সিধুর জনসংযোগ কর্মসূচীকে “শৃঙ্খলাভঙ্গ” বলেই মনে করছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা।

আরও পড়ুন: ইউপিএ সরকার নয়টি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে, কিন্তু কখনও রাজনীতি করেনি: কংগ্রেস

 

আরও পড়ুন: শহিদ ঝন্টু শেখের পরিবারের পাশে কংগ্রেস

কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শ নিয়ে দলীয় কর্মসূচি নেওয়া উচিত।’ প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় হয়েছিল সিধুর। তারপর থেকে নিজের রাজনৈতিক ভাগ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

দলকে উপেক্ষা করে জনসংযোগ কর্মসূচী সিধুর, ‘শৃঙ্খলাভঙ্গ’ মত শীর্ষ নেতাদের

আপডেট : ২২ জানুয়ারী ২০২৪, সোমবার

চন্ডীগড়, ২২ জানুয়ারি: কংগ্রেস দলে এখন বাঘ দরকার, তবেই দলের উন্নতিসাধন হবে বলে মন্তব্য করলেন পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে, রাজ্যে লাগাতার জনসংযোগ কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি। গত রবিবার মোগায় ‘জিত্তেগা পঞ্জাব, জিত্তেগি কংগ্রেস’ র‍্যালিতে উপস্থিত ছিলেন সিধু। সেখানেই নিজের দলের নেতৃত্বকে আক্রমণ করেন তিনি। সিধু বলেন, “এখন আর ছাগল-ভেড়া নয়। দলে বাঘ দরকার।” মোগায় সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি, ‘কংগ্রেস গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। পুরানো গৌরব নিয়ে বেঁচে থাকলে হবে না। দলে সততা আনতে হবে। জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। তবেই কংগ্রেস এগিয়ে যেতে পারবে।’ পঞ্জাবের আপ সরকারকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সিধু। মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যার প্যাকেটে কাজ হবে না’।

 

আরও পড়ুন: ইরানের সার্বভৌমত্বের উপর হামলার নিন্দা, কেন্দ্রকে কটাক্ষ কংগ্রেসের

সিধুর জনসংযোগ কর্মসূচী এবং দলীয় নেতাদের আক্রমণ মোটেও ভালোভাবে নেয়নি কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য নেতাদের বক্তব্য, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও আলোচনা ছাড়াই ‘জিত্তেগা পঞ্জাব, জিত্তেগি কংগ্রেস’ জনসংযোগ কর্মসূচী করছেন সিধু। রাজ্য নেতাদের গুরুত্ব দিচ্ছেন না তিনি। ইচ্ছেমত কাজ করছেন। দলীয় নেতাদের আপত্তি সত্ত্বেও গত দু’মাস ধরে ওই কর্মসূচী করছেন তিনি। তাঁর দলবিরোধী কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ হয়ে সম্প্রতি পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবেন্দ্র যাদবকেও বিষয়টি জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা। সিধুর জনসংযোগ কর্মসূচীকে “শৃঙ্খলাভঙ্গ” বলেই মনে করছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা।

আরও পড়ুন: ইউপিএ সরকার নয়টি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে, কিন্তু কখনও রাজনীতি করেনি: কংগ্রেস

 

আরও পড়ুন: শহিদ ঝন্টু শেখের পরিবারের পাশে কংগ্রেস

কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের পরামর্শ নিয়ে দলীয় কর্মসূচি নেওয়া উচিত।’ প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় হয়েছিল সিধুর। তারপর থেকে নিজের রাজনৈতিক ভাগ্য পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।