২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চোখের জলে ১৮ বছরের গ্র্যান্ডস্লাম কেরিয়ারে ইতি সানিয়া মির্জার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
  • / 26

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক : অবসরের কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেটা মাথায় রেখে ১৮ বছরের  কেরিয়ারের শেষ গ্রান্ডস্ল্যাম খেলতে নেমেছিলেন সানিয়া মির্জা। এই ৩৬ বছর বয়সেও দাপুটে পারফরম্যান্স দিয়ে মিস্কড ডাবলসে রোহন বোপান্নার সঙ্গে তরতরিয়ে উঠেও পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া ওপেন ফাইনালে। তবে শেষটা সুখকর হল না। গোটা দেশের মনে আশা জাগিয়েও এদিন রড লেভার এরিনায় প্রতিযোগিতার ফাইনালে সানিয়া-রোহন বোপান্না জুটি ৬-৭, ২-৬ গেমে হেরে গেলেন ব্রাজিলের লুইসা স্টেফানি-রাফায়েল মাতোস জুটির কাছে।আর তাতে টেনিস জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামের শেষে চোখের জল বাঁধ মানল না ভারতীয় টেনিস কুইনের।

২০০৫ সালে এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মেলবোর্নে রড লেভার এরিনা থেকে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সানিয়া। এরপর দেখতে দেখতে কেটে গেল ১৮টি বছর। ধারাবাহিকভাবে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দিয়ে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরী সানিয়া মির্জা ভারতের ‌’টেনিস কুইন’ এর তকমাটা নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে নেন। চোটের কারণে ২০১৩ সালে সানিয়া সিঙ্গেলস খেলা ছেড়ে দিয়েছিলেন।ডাবলস ও মিক্সড ডাবলসেই বেশি সফল। ২০১৫ সাল থেকে সানিয়া মির্জা-মার্টিনা হিঙ্গিস জুটি টানা ৪৪টি ম্যাচ জিতেছিলেন। টানা ৯১ সপ্তাহ ধরে ডাবলসে এক নম্বরে ছিলেন সানিয়া। ভারতের একমাত্র মহিলা টেনিস খেলোয়ার হিসেবে জিতেছিলেন গ্র্যান্ডস্ল্যাম। তার ঝুলিতে তিনটি ডাবলস ও তিনটি মিক্সড ডাবলস গ্র্যান্ডস্ল্যাম রয়েছে।গ্র্যান্ডস্লামে কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে জিতলেই সপ্তম গ্র্যান্ডস্লামটা জিততে পারতেন ৩৬ বছরের সানিয়া।  শেষটা স্মরণীয় হলেও পুরোপুরি রূপকথার হল না তার।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ধারাভাষ্য দেবেন সানিয়া

মিক্সড ডাবলস ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ২০১২ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং ২০১৪ সালে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন সানিয়া মির্জা। মহিলাদের ডাবলসে, ২০১৫ সালে উইম্বলডন এবং ইউএস ওপেন, ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের খেতাব জিতেছিলেন।

আরও পড়ুন: কেরিয়ারের দিশা দেখাচ্ছে মুম্বইয়ের মসজিদ

এমনকি এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমসেও পদক জিতেছেন সানিয়া। কেরিয়ারের শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যামের গোটা ম্যাচে নিজের মাকে সমর্থন করে গেলেন ৪ বছরের ইজহান মির্জা মালিক। তবে এবারে আর ছেলের মুখে হাঁসি ফোটাতে পারলেন না মা। প্রতিযোগিতায় রানার্স আপ হয়ে কথা বলার সময় বারবার গলা ধরে আসছিল সানিয়ার। চোখে জল। মায়ের চোখে জল দেখে ছোট্ট ইজহান তখন হতাশ মুখে কাঁদো কাঁদো মুখে সানিয়ার দিকে তাকিয়ে। চোখের জলে শেষ পর্যন্ত নিজের ভক্তদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘ হ্যাঁ, আমি কাঁদছি। এটা আসলে খুশির চোখের জল। চাইলে হয়ত আরও গোটা দুয়েক প্রতিযোগিতা খেলতেই পারতাম। এই মেলবোর্নে ২০০৫ সালে টেনিস যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন আমি ১৮। সেরিনা উইলিয়ামসের সঙ্গে খেলেছিলাম। আমার জীবনে রড লেভার এরিনার আলাদা জায়গা রয়েছে। এর চেয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যাম কেরিয়ার শেষ করার আর ভালো কোনও জায়গা হয় না।সবাইকে ধন্যবাদ।’

আরও পড়ুন: আইপিএলে এবার বড় দায়িত্ব পেলেন সানিয়া মির্জা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চোখের জলে ১৮ বছরের গ্র্যান্ডস্লাম কেরিয়ারে ইতি সানিয়া মির্জার

আপডেট : ২৭ জানুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক : অবসরের কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। সেটা মাথায় রেখে ১৮ বছরের  কেরিয়ারের শেষ গ্রান্ডস্ল্যাম খেলতে নেমেছিলেন সানিয়া মির্জা। এই ৩৬ বছর বয়সেও দাপুটে পারফরম্যান্স দিয়ে মিস্কড ডাবলসে রোহন বোপান্নার সঙ্গে তরতরিয়ে উঠেও পড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া ওপেন ফাইনালে। তবে শেষটা সুখকর হল না। গোটা দেশের মনে আশা জাগিয়েও এদিন রড লেভার এরিনায় প্রতিযোগিতার ফাইনালে সানিয়া-রোহন বোপান্না জুটি ৬-৭, ২-৬ গেমে হেরে গেলেন ব্রাজিলের লুইসা স্টেফানি-রাফায়েল মাতোস জুটির কাছে।আর তাতে টেনিস জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামের শেষে চোখের জল বাঁধ মানল না ভারতীয় টেনিস কুইনের।

২০০৫ সালে এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মেলবোর্নে রড লেভার এরিনা থেকে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সানিয়া। এরপর দেখতে দেখতে কেটে গেল ১৮টি বছর। ধারাবাহিকভাবে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দিয়ে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরী সানিয়া মির্জা ভারতের ‌’টেনিস কুইন’ এর তকমাটা নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে নেন। চোটের কারণে ২০১৩ সালে সানিয়া সিঙ্গেলস খেলা ছেড়ে দিয়েছিলেন।ডাবলস ও মিক্সড ডাবলসেই বেশি সফল। ২০১৫ সাল থেকে সানিয়া মির্জা-মার্টিনা হিঙ্গিস জুটি টানা ৪৪টি ম্যাচ জিতেছিলেন। টানা ৯১ সপ্তাহ ধরে ডাবলসে এক নম্বরে ছিলেন সানিয়া। ভারতের একমাত্র মহিলা টেনিস খেলোয়ার হিসেবে জিতেছিলেন গ্র্যান্ডস্ল্যাম। তার ঝুলিতে তিনটি ডাবলস ও তিনটি মিক্সড ডাবলস গ্র্যান্ডস্ল্যাম রয়েছে।গ্র্যান্ডস্লামে কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে জিতলেই সপ্তম গ্র্যান্ডস্লামটা জিততে পারতেন ৩৬ বছরের সানিয়া।  শেষটা স্মরণীয় হলেও পুরোপুরি রূপকথার হল না তার।

আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ধারাভাষ্য দেবেন সানিয়া

মিক্সড ডাবলস ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ২০১২ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেন এবং ২০১৪ সালে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন সানিয়া মির্জা। মহিলাদের ডাবলসে, ২০১৫ সালে উইম্বলডন এবং ইউএস ওপেন, ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের খেতাব জিতেছিলেন।

আরও পড়ুন: কেরিয়ারের দিশা দেখাচ্ছে মুম্বইয়ের মসজিদ

এমনকি এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথ গেমসেও পদক জিতেছেন সানিয়া। কেরিয়ারের শেষ গ্র্যান্ডস্ল্যামের গোটা ম্যাচে নিজের মাকে সমর্থন করে গেলেন ৪ বছরের ইজহান মির্জা মালিক। তবে এবারে আর ছেলের মুখে হাঁসি ফোটাতে পারলেন না মা। প্রতিযোগিতায় রানার্স আপ হয়ে কথা বলার সময় বারবার গলা ধরে আসছিল সানিয়ার। চোখে জল। মায়ের চোখে জল দেখে ছোট্ট ইজহান তখন হতাশ মুখে কাঁদো কাঁদো মুখে সানিয়ার দিকে তাকিয়ে। চোখের জলে শেষ পর্যন্ত নিজের ভক্তদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘ হ্যাঁ, আমি কাঁদছি। এটা আসলে খুশির চোখের জল। চাইলে হয়ত আরও গোটা দুয়েক প্রতিযোগিতা খেলতেই পারতাম। এই মেলবোর্নে ২০০৫ সালে টেনিস যাত্রা শুরু করেছিলাম। তখন আমি ১৮। সেরিনা উইলিয়ামসের সঙ্গে খেলেছিলাম। আমার জীবনে রড লেভার এরিনার আলাদা জায়গা রয়েছে। এর চেয়ে গ্র্যান্ড স্ল্যাম কেরিয়ার শেষ করার আর ভালো কোনও জায়গা হয় না।সবাইকে ধন্যবাদ।’

আরও পড়ুন: আইপিএলে এবার বড় দায়িত্ব পেলেন সানিয়া মির্জা