০৩ অগাস্ট ২০২৫, রবিবার, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেরলে আদানি পোর্টের তীব্র বিরোধিতা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 29

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কেরলে আদানিদের তৈরি বন্দরবিরোধী আন্দোলন ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে। কেরল পুলিশ বুধবার বলেছে যে তারা ক্ষমতাসীন বিজেপির ঘনিষ্ঠ একটি হিন্দু গোষ্ঠীকে ক্যাথলিক পুরোহিতদের নেতৃত্বে বিক্ষোভের উত্তেজনার মধ্যে আদানি গোষ্ঠীর ৯০০ মিলিয়ন মেগা পোর্টের সমর্থনে মিছিল করার অনুমতি দেবে না। হিন্দু ইউনাইটেড ফ্রন্টের সদস্যরা ভিঞ্জিজামের বন্দরে আদানি গোষ্ঠীর প্রকল্পের সমর্থনে একটি পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছে,তাদের দাবি যে এলাকায় এই প্রকল্পের কারণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে মৎস্যজীবিদের অভিযোগ, এই বন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর উপকূলবর্তী একালায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমি ক্ষয় শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে মৎসজীবীদের উপর। ইতিমধ্যে অনেকেই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

তাঁদের আরও অভিযোগ, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তারপর সামুদ্রিক মাটি অনেকটাই ক্ষয়ে গেছে। ফলে, বিপাকে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। ফলে মৎস্যজীবীদের বিক্ষোভের কারণে নির্মাণ প্রায় চার মাস ধরে আটকে আছে। বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীরা মঙ্গলবার প্রকল্পস্থলে নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ট্রাক আটকে দেয়।

আরও পড়ুন: টার্গেট পূরণ হয়নি, কর্মীদের গলায় দড়ি পরিয়ে কুকুরের মতো ব্যবহার সংস্থার

পুলিশ হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়, এতে ৮০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়। উল্লেখ্য যে,আদানিদের বন্দর তৈরির পক্ষে দাড়িয়েছে বিজেপি সহ বিভিন্ন হিন্দু গোষ্ঠীর সদস্যরাও। তারা গোটা এলাকা জুড়ে নিজেদের আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষায় কেন্দ্রের পক্ষপাত! বাংলা-কেরল-তামিলনাড়ু পেল না কিছুই 

পুলিশ জানিয়েছে, হিন্দু গোষ্ঠী যাতে সেখানে পৌঁছতে না পারে সে জন্য বন্দরের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রবিবারের সংঘর্ষে ৩ হাজারেরও বেশি গ্রামবাসী একটি থানায় হামলা চালানোর পরে ইতিমধ্যেই ভিঞ্জিজাম এলাকায় শক্তিশালী বাহিনী পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে কোরআনের আলো জ্বালানোই আমার লক্ষ্য: মুফতি আব্দুল মাতিন

ত্রিভান্দ্রাম পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অজিত ভি রয়টার্সকে বলেছেন, “আমরা হিন্দু ইউনাইটেড ফ্রন্টের সমাবেশের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছি। যদি মোর্চা আদেশ অমান্য করে, আমরা তা প্রতিরোধ করার জন্য পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছি।”

তবে বন্দর পরিবেশের ক্ষতি করছে এমন অভিযোগ আদানি গ্রুপ এবং কেরল সরকার উভয়ই অস্বীকার করেছে। যদিও কেরল হাইকোর্টের বারবার নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য যে,নির্মাণের প্রথম ধাপটি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। আদানি গোষ্ঠী আদালতে ফাইলিংয়ে বলেছে যে বিক্ষোভের কারণে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে

গৌতম আদানি অস্ট্রেলিয়াতেও প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছেন, যেখানে পরিবেশপ্রেমীরা কুইন্সল্যান্ড রাজ্যে তার কারমাইকেল কয়লা খনি প্রকল্পের বিরোধিতা করার জন্য “স্টপ আদানি” আন্দোলন শুরু করেছিল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কেরলে আদানি পোর্টের তীব্র বিরোধিতা

আপডেট : ১ ডিসেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কেরলে আদানিদের তৈরি বন্দরবিরোধী আন্দোলন ক্রমশ জোরালো হয়ে উঠছে। কেরল পুলিশ বুধবার বলেছে যে তারা ক্ষমতাসীন বিজেপির ঘনিষ্ঠ একটি হিন্দু গোষ্ঠীকে ক্যাথলিক পুরোহিতদের নেতৃত্বে বিক্ষোভের উত্তেজনার মধ্যে আদানি গোষ্ঠীর ৯০০ মিলিয়ন মেগা পোর্টের সমর্থনে মিছিল করার অনুমতি দেবে না। হিন্দু ইউনাইটেড ফ্রন্টের সদস্যরা ভিঞ্জিজামের বন্দরে আদানি গোষ্ঠীর প্রকল্পের সমর্থনে একটি পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছে,তাদের দাবি যে এলাকায় এই প্রকল্পের কারণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে মৎস্যজীবিদের অভিযোগ, এই বন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর উপকূলবর্তী একালায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমি ক্ষয় শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে মৎসজীবীদের উপর। ইতিমধ্যে অনেকেই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

তাঁদের আরও অভিযোগ, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তারপর সামুদ্রিক মাটি অনেকটাই ক্ষয়ে গেছে। ফলে, বিপাকে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। ফলে মৎস্যজীবীদের বিক্ষোভের কারণে নির্মাণ প্রায় চার মাস ধরে আটকে আছে। বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীরা মঙ্গলবার প্রকল্পস্থলে নির্মাণসামগ্রী বহনকারী ট্রাক আটকে দেয়।

আরও পড়ুন: টার্গেট পূরণ হয়নি, কর্মীদের গলায় দড়ি পরিয়ে কুকুরের মতো ব্যবহার সংস্থার

পুলিশ হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ শুরু হয়, এতে ৮০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়। উল্লেখ্য যে,আদানিদের বন্দর তৈরির পক্ষে দাড়িয়েছে বিজেপি সহ বিভিন্ন হিন্দু গোষ্ঠীর সদস্যরাও। তারা গোটা এলাকা জুড়ে নিজেদের আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করছে।

আরও পড়ুন: শিক্ষায় কেন্দ্রের পক্ষপাত! বাংলা-কেরল-তামিলনাড়ু পেল না কিছুই 

পুলিশ জানিয়েছে, হিন্দু গোষ্ঠী যাতে সেখানে পৌঁছতে না পারে সে জন্য বন্দরের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রবিবারের সংঘর্ষে ৩ হাজারেরও বেশি গ্রামবাসী একটি থানায় হামলা চালানোর পরে ইতিমধ্যেই ভিঞ্জিজাম এলাকায় শক্তিশালী বাহিনী পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে কোরআনের আলো জ্বালানোই আমার লক্ষ্য: মুফতি আব্দুল মাতিন

ত্রিভান্দ্রাম পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অজিত ভি রয়টার্সকে বলেছেন, “আমরা হিন্দু ইউনাইটেড ফ্রন্টের সমাবেশের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছি। যদি মোর্চা আদেশ অমান্য করে, আমরা তা প্রতিরোধ করার জন্য পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছি।”

তবে বন্দর পরিবেশের ক্ষতি করছে এমন অভিযোগ আদানি গ্রুপ এবং কেরল সরকার উভয়ই অস্বীকার করেছে। যদিও কেরল হাইকোর্টের বারবার নির্মাণকাজ পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য যে,নির্মাণের প্রথম ধাপটি ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল। আদানি গোষ্ঠী আদালতে ফাইলিংয়ে বলেছে যে বিক্ষোভের কারণে তাদের ক্ষতি হচ্ছে। এদিকে

গৌতম আদানি অস্ট্রেলিয়াতেও প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছেন, যেখানে পরিবেশপ্রেমীরা কুইন্সল্যান্ড রাজ্যে তার কারমাইকেল কয়লা খনি প্রকল্পের বিরোধিতা করার জন্য “স্টপ আদানি” আন্দোলন শুরু করেছিল।