০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিকস সম্মেলন­ পশ্চিমাদের আক্রমণ পুতিন-জিনপিংয়ের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, শুক্রবার
  • / 41

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ চিন আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার যোগ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে তিনি সরাসরি আক্রমণ করেছেন পশ্চিমা বিশ্বকে। চিনের রাজধানী বেজিংয়ে অবস্থিত গ্রেট হল অব দ্য পিপলে স্থাপিত সম্মেলনের জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে ওঠে পুতিনের মুখ।

 

আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রাজিল সহ ৫ দেশে সফর

তিনি বলেন, বিশ্বে সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী পশ্চিমারা। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে স্বার্থপর কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ তোলার পর রাশিয়াকে সহযোগিতার জন্য ব্রিকস দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো হল, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। জোটের ১৪তম এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ছাড়াও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো ও দঃ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা অংশ নেন।

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরের ঘটনায় সরব PALESTINE

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের নির্দেশেই নতুন করে গাজায় হামলা ইসরাইলের: জানাল হোয়াইট হাউস

এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন পশ্চিমাদের একটি বার্তা দিয়েছেন। সেই বার্তাটি হল, ইউক্রেনে হামলার জেরে মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া ‘একা’ নয়। ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। নিষেধাজ্ঞার আওতায় খোদ পুতিনও পড়েছেন। ব্রিকস জোটভুক্ত প্রতিটি দেশের নেতাই ইউক্রেনে রুশ হামলার ঘটনায় মস্কোর বিরুদ্ধে কথা বলেননি।

 

চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং বলেছেন, কয়েকটি দেশের একতরফা নিষেধাজ্ঞা, রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি কুক্ষিগত করার প্রচেষ্টার বিরোধিতা করা উচিত বিশ্বের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর আমেরিকা ও মিত্রদেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে জিনপিং বলেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার অপপ্রয়োগ স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা।

 

চিনা প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা ঘিরে আমেরিকা ও এর মিত্রদের প্রকাশ্য সমালোচনা। তাঁর বক্তব্যে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি সমর্থন এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থার বিপরীতে নতুন আন্তর্জাতিক জোট গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে। তাঁর মতে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফল বুমেরাং হতে পারে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ব্রিকস সম্মেলন­ পশ্চিমাদের আক্রমণ পুতিন-জিনপিংয়ের

আপডেট : ২৪ জুন ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ চিন আয়োজিত ভার্চুয়াল ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার যোগ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে তিনি সরাসরি আক্রমণ করেছেন পশ্চিমা বিশ্বকে। চিনের রাজধানী বেজিংয়ে অবস্থিত গ্রেট হল অব দ্য পিপলে স্থাপিত সম্মেলনের জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে ওঠে পুতিনের মুখ।

 

আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রাজিল সহ ৫ দেশে সফর

তিনি বলেন, বিশ্বে সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী পশ্চিমারা। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে স্বার্থপর কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ তোলার পর রাশিয়াকে সহযোগিতার জন্য ব্রিকস দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলো হল, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। জোটের ১৪তম এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ছাড়াও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারো ও দঃ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রামাফোসা অংশ নেন।

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack: কাশ্মীরের ঘটনায় সরব PALESTINE

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের নির্দেশেই নতুন করে গাজায় হামলা ইসরাইলের: জানাল হোয়াইট হাউস

এই সম্মেলনে অংশ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন পশ্চিমাদের একটি বার্তা দিয়েছেন। সেই বার্তাটি হল, ইউক্রেনে হামলার জেরে মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া ‘একা’ নয়। ইউক্রেনে হামলার জেরে রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। নিষেধাজ্ঞার আওতায় খোদ পুতিনও পড়েছেন। ব্রিকস জোটভুক্ত প্রতিটি দেশের নেতাই ইউক্রেনে রুশ হামলার ঘটনায় মস্কোর বিরুদ্ধে কথা বলেননি।

 

চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং বলেছেন, কয়েকটি দেশের একতরফা নিষেধাজ্ঞা, রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি কুক্ষিগত করার প্রচেষ্টার বিরোধিতা করা উচিত বিশ্বের। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর আমেরিকা ও মিত্রদেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে জিনপিং বলেন, এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার অপপ্রয়োগ স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা।

 

চিনা প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য ইউক্রেন যুদ্ধের বিরোধিতা ঘিরে আমেরিকা ও এর মিত্রদের প্রকাশ্য সমালোচনা। তাঁর বক্তব্যে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার প্রতি সমর্থন এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ব্যবস্থার বিপরীতে নতুন আন্তর্জাতিক জোট গঠনের ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে। তাঁর মতে, নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফল বুমেরাং হতে পারে।