২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল, গাজায় মৃত্যু বেড়ে ৩২ হাজার, আহত ৭৪ হাজার

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪, সোমবার
  • / 16

গাজা, ২৫ মার্চ: আন্তজার্তিক মহল থেকে শুরু করে বিশ্বনেতারা যতই যুদ্ধবিরতি আহ্বান করুন না কেনো, তাতে আমল দিতে নারাজ ইসরাইল। গত বছরের অক্টোবর থেকে লাগাতার হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। যায়নবাদী নৃশংসতা থেকে রেহাই পায়নি ফিলিস্তিনি শিশুরাও। এখনও পর্যন্ত গাজায় ৪,৭০০রও বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনা। ইসরাইলি হামলা ও জ্বালানি সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার বহু হাসপাতাল। এমন পরিস্থিতিতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আল-শিফা হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা বহু শিশু।

 

আরও পড়ুন: Breaking: ৩২ হাজার চাকরি বাতিলে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

ইসরাইলি হামলায় কত মৃত্যু?

আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে ২৭ কেজি ওজনের বাঘাইড় নিলামে বিকোল সাড়ে ৩২ হাজার টাকায়

গত শুক্রবার নতুন এক তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাঁরা জানিয়েছে, গত অক্টোবর থেকে চলা লাগাতার হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ৩২ হাজার ৭০ ফিলিস্তিনি বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধের ১৬৮তম দিনেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইহুদিবাদী দেশটি। হামলায় ৭৪ হাজার ২৯৮ জন ফিলিস্তিনি বাসিন্দা আহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় নয়টি ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে। তাতে ৮২ জন নিহত ও ১১০ জন আহত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপ ও রাস্তার নিচে আটকে আছেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সড়কগুলি ফলে উদ্ধারকারীরা দল ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছে না।”

 

এদিকে, ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। চলতি মাসের প্রথম দিকে উদ্বেগ প্রকাশও করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ন্যূনতম খাবারের আশায় গাজাবাসী যখন লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণের অপেক্ষা করছে। তখনই ইসরাইলি সেনার গুলিতে নিহত হচ্ছে একের পর এক গাজাবাসী। কদিন আগেই হু জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে খাবারের ব্যাপক সংকট থাকা সত্ত্বেও সেখানে খাবার সরবরাহ করতে পারছে না। তল্লাশি কেন্দ্রগুলোতে বিলম্বের ফলে সেখানে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজার ৪১০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিকের। এরমধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৭১ হাজার ৭০০ জন।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল, গাজায় মৃত্যু বেড়ে ৩২ হাজার, আহত ৭৪ হাজার

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৪, সোমবার

গাজা, ২৫ মার্চ: আন্তজার্তিক মহল থেকে শুরু করে বিশ্বনেতারা যতই যুদ্ধবিরতি আহ্বান করুন না কেনো, তাতে আমল দিতে নারাজ ইসরাইল। গত বছরের অক্টোবর থেকে লাগাতার হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। যায়নবাদী নৃশংসতা থেকে রেহাই পায়নি ফিলিস্তিনি শিশুরাও। এখনও পর্যন্ত গাজায় ৪,৭০০রও বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনা। ইসরাইলি হামলা ও জ্বালানি সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার বহু হাসপাতাল। এমন পরিস্থিতিতে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে আল-শিফা হাসপাতালের ইনকিউবেটরে থাকা বহু শিশু।

 

আরও পড়ুন: Breaking: ৩২ হাজার চাকরি বাতিলে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চের

ইসরাইলি হামলায় কত মৃত্যু?

আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে ২৭ কেজি ওজনের বাঘাইড় নিলামে বিকোল সাড়ে ৩২ হাজার টাকায়

গত শুক্রবার নতুন এক তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাঁরা জানিয়েছে, গত অক্টোবর থেকে চলা লাগাতার হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ৩২ হাজার ৭০ ফিলিস্তিনি বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছেন, যুদ্ধের ১৬৮তম দিনেও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইহুদিবাদী দেশটি। হামলায় ৭৪ হাজার ২৯৮ জন ফিলিস্তিনি বাসিন্দা আহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় নয়টি ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে। তাতে ৮২ জন নিহত ও ১১০ জন আহত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপ ও রাস্তার নিচে আটকে আছেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সড়কগুলি ফলে উদ্ধারকারীরা দল ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারছে না।”

 

এদিকে, ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় খাদ্য সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। চলতি মাসের প্রথম দিকে উদ্বেগ প্রকাশও করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ন্যূনতম খাবারের আশায় গাজাবাসী যখন লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণের অপেক্ষা করছে। তখনই ইসরাইলি সেনার গুলিতে নিহত হচ্ছে একের পর এক গাজাবাসী। কদিন আগেই হু জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে খাবারের ব্যাপক সংকট থাকা সত্ত্বেও সেখানে খাবার সরবরাহ করতে পারছে না। তল্লাশি কেন্দ্রগুলোতে বিলম্বের ফলে সেখানে কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

 

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজার ৪১০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিকের। এরমধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৭১ হাজার ৭০০ জন।