১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘বাংলায় কোনও পক্ষপাতিত্ব হয় না’, সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে মন্তব্য ফিরহাদের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২২, শুক্রবার
  • / 48

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রামপুরহাট কাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে সিবিআই-য়ের হাতে।

রামপুরহাটকাণ্ডে চলা শুনানি হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় সিট আর তদন্ত করতে পারবে না। এই মামলা তুলে দিতে হবে সিবিআই-এর হাতে। বৃহস্পতিবারই শেষ হয় এই মামলার শুনানি।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। এ দিন আদালতের তরফে বলা হয়েছে, বগটুই -এর হত্যাকান্ড যে ভাবে সমাজে প্রভাব ফেলেছে, তাতে রাজ্যের তদন্তকারীদের ওপর আর ভরসা করা যাবে না। আদালত জানায়,

আরও পড়ুন: সিকিমে দুর্ঘটনার কবলে বাংলা ও ওড়িশার পর্যটকরা, নিখোঁজ ৯ জন

বিচার এবং সমাজে প্রতি ন্যায়ের কারণে স্বচ্ছ তদন্ত করে সত্য সামনে আনা জরুরি। সেই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে চায় আদালত।  বিচারের স্বার্থে, মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এই নির্দেশ বলে জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টির অশনি সংকেত বাংলায়, ভাসতে পারে সাত জেলা

এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, সিট তদন্তে অনেক দূর এগিয়েছিল। বাংলায় কোনও পক্ষপাতিত্ব হয় না। কেন্দ্রীয় পক্ষপাতিত্ব করে থাকে। বরং আদালত সিবিআইকে ‘তোতাপাখি’ বলেছিল। সিবিআই-এর আগের তদন্ত দেখা আছে’।

উল্লেখ্য, বীরভূমের রামপুরহাট-১ ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বগটুই গ্রাম। এর পরেই একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে চলে তাণ্ডব। সেইসঙ্গে চলে বোমাবাজি। জীবিত জ্বালিয়ে দেওয়া অভিযোগ। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে।  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে  ছিলেন এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহ। বাকি দুই সদস্য হলেন এডিজি পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিংহ এবং ডিআইজি সিআইডি (অপারেশন) মিরাজ খালিদ। কিন্তু এখন হাই কোর্টের নির্দেশ সিট আর এই তদন্ত করবে না। সিটকে তদন্তের সমস্ত তথ্য তুলে দিতে হবে সিবিআই-এর হাতে।

রামপুরহাট কাণ্ডে এখনও গ্রেফতার করা হয়েছে ২৩ জনকে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘বাংলায় কোনও পক্ষপাতিত্ব হয় না’, সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে মন্তব্য ফিরহাদের

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রামপুরহাট কাণ্ডে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে সিবিআই-য়ের হাতে।

রামপুরহাটকাণ্ডে চলা শুনানি হাইকোর্ট জানিয়ে দেয় সিট আর তদন্ত করতে পারবে না। এই মামলা তুলে দিতে হবে সিবিআই-এর হাতে। বৃহস্পতিবারই শেষ হয় এই মামলার শুনানি।

আরও পড়ুন: বাংলার প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ডিজিটালাইজেশন

রায়দান স্থগিত রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। এ দিন আদালতের তরফে বলা হয়েছে, বগটুই -এর হত্যাকান্ড যে ভাবে সমাজে প্রভাব ফেলেছে, তাতে রাজ্যের তদন্তকারীদের ওপর আর ভরসা করা যাবে না। আদালত জানায়,

আরও পড়ুন: সিকিমে দুর্ঘটনার কবলে বাংলা ও ওড়িশার পর্যটকরা, নিখোঁজ ৯ জন

বিচার এবং সমাজে প্রতি ন্যায়ের কারণে স্বচ্ছ তদন্ত করে সত্য সামনে আনা জরুরি। সেই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে এই মামলাটি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে চায় আদালত।  বিচারের স্বার্থে, মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এই নির্দেশ বলে জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টির অশনি সংকেত বাংলায়, ভাসতে পারে সাত জেলা

এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম এদিন বলেন, সিট তদন্তে অনেক দূর এগিয়েছিল। বাংলায় কোনও পক্ষপাতিত্ব হয় না। কেন্দ্রীয় পক্ষপাতিত্ব করে থাকে। বরং আদালত সিবিআইকে ‘তোতাপাখি’ বলেছিল। সিবিআই-এর আগের তদন্ত দেখা আছে’।

উল্লেখ্য, বীরভূমের রামপুরহাট-১ ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনের ঘটনায় রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে বগটুই গ্রাম। এর পরেই একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে চলে তাণ্ডব। সেইসঙ্গে চলে বোমাবাজি। জীবিত জ্বালিয়ে দেওয়া অভিযোগ। ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে আট জনের মৃত্যু হয়েছে।  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে  ছিলেন এডিজি সিআইডি জ্ঞানবন্ত সিংহ। বাকি দুই সদস্য হলেন এডিজি পশ্চিমাঞ্চল সঞ্জয় সিংহ এবং ডিআইজি সিআইডি (অপারেশন) মিরাজ খালিদ। কিন্তু এখন হাই কোর্টের নির্দেশ সিট আর এই তদন্ত করবে না। সিটকে তদন্তের সমস্ত তথ্য তুলে দিতে হবে সিবিআই-এর হাতে।

রামপুরহাট কাণ্ডে এখনও গ্রেফতার করা হয়েছে ২৩ জনকে।