২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নদী নেই কাতারে, পানি আসে কীভাবে?

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২২, সোমবার
  • / 36

বিশেষ প্রতিবেদন: কাতারে নেই কোনও নদী৷ বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণও অল্প৷ তাহলে গাল্ফ  দেশটিতে খাবার ও কৃষিকাজসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য পানি কোথা থেকে আসে? কাতারের চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ পানি আসে সাগর থেকে৷

 

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী ২০০টি নদী বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিল সেচ দফতর

সাগরের পানি পানের যোগ্য করতে রিভার্স অসমোসিস পদ্ধতি প্রয়োগ করে সেই পানিকে ডিস্যালিনেশন বা বিলবণীকরণ করা হয়, অর্থাৎ সাগরের পানি লবণমুক্ত করা হয়৷

আরও পড়ুন: কাতারের সঙ্গে ২৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ঘোষণা ট্রাম্পের

 

আরও পড়ুন: নদী পথে একুশের সভায় রওনা সুন্দরবনের তৃণমূল  কর্মী ও সমর্থকদের

কাতার ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, সউদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেও এভাবে পানি লবণমুক্ত করা হয়৷ ইসরাইলেও এই পদ্ধতি চালু আছে৷ রাষ্ট্রসংঘের হিসেবে বিশ্বে পানি লবণমুক্ত করার প্রায় ১৬ হাজার প্ল্যান্ট আছে৷

 

পানি লবণমুক্ত করতে অনেক জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হয়৷ কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০১৯ সালে জানিয়েছিলেন, এক হাজার লিটার পানি লবণমুক্ত করতে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়৷

 

 

আমেরিকায় একটি রেফ্রিজারেটর চালাতে দিনে প্রায় চার কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়৷ এছাড়া আরও একটি সমস্যা আছে৷ পানি লবণমুক্ত করার পর যে বর্জ্য থাকে সেগুলো প্রায়ই সাগরে ফেলা হয়, যা সি-উইড, কোরাল রিফ ও সিগ্রাসের জন্য ক্ষতিকর৷ তবে কিছু প্ল্যান্ট এসব বর্জ্য ভূগর্ভে পুঁতে ফেলে৷

 

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে কাতারে পানির চাহিদা ১০ শতাংশ বাড়তে পারে৷ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে সেই দেশে যাওয়া প্রায় ১২ লক্ষ সমর্থক ও মাঠের ঘাস পরিচর্যায় এই পানি প্রয়োজন৷ কাতার ও ফিফা অঙ্গীকার করেছে, বিশ্বকাপের আয়োজন জলবায়ুর উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না৷ আয়োজকরা জানিয়েছে, আট স্টেডিয়ামের টয়লেটে এবং স্টেডিয়াম ধুলামুক্ত রাখতে রিসাইকেল করা পানি ব্যবহার করা হবে৷

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

নদী নেই কাতারে, পানি আসে কীভাবে?

আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২২, সোমবার

বিশেষ প্রতিবেদন: কাতারে নেই কোনও নদী৷ বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণও অল্প৷ তাহলে গাল্ফ  দেশটিতে খাবার ও কৃষিকাজসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহারের জন্য পানি কোথা থেকে আসে? কাতারের চাহিদার প্রায় ৬০ শতাংশ পানি আসে সাগর থেকে৷

 

আরও পড়ুন: সুন্দরবনের নদী উপকূলবর্তী ২০০টি নদী বাঁধ সংস্কারের উদ্যোগ নিল সেচ দফতর

সাগরের পানি পানের যোগ্য করতে রিভার্স অসমোসিস পদ্ধতি প্রয়োগ করে সেই পানিকে ডিস্যালিনেশন বা বিলবণীকরণ করা হয়, অর্থাৎ সাগরের পানি লবণমুক্ত করা হয়৷

আরও পড়ুন: কাতারের সঙ্গে ২৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ঘোষণা ট্রাম্পের

 

আরও পড়ুন: নদী পথে একুশের সভায় রওনা সুন্দরবনের তৃণমূল  কর্মী ও সমর্থকদের

কাতার ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, সউদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতেও এভাবে পানি লবণমুক্ত করা হয়৷ ইসরাইলেও এই পদ্ধতি চালু আছে৷ রাষ্ট্রসংঘের হিসেবে বিশ্বে পানি লবণমুক্ত করার প্রায় ১৬ হাজার প্ল্যান্ট আছে৷

 

পানি লবণমুক্ত করতে অনেক জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন হয়৷ কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০১৯ সালে জানিয়েছিলেন, এক হাজার লিটার পানি লবণমুক্ত করতে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়৷

 

 

আমেরিকায় একটি রেফ্রিজারেটর চালাতে দিনে প্রায় চার কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়৷ এছাড়া আরও একটি সমস্যা আছে৷ পানি লবণমুক্ত করার পর যে বর্জ্য থাকে সেগুলো প্রায়ই সাগরে ফেলা হয়, যা সি-উইড, কোরাল রিফ ও সিগ্রাসের জন্য ক্ষতিকর৷ তবে কিছু প্ল্যান্ট এসব বর্জ্য ভূগর্ভে পুঁতে ফেলে৷

 

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে কাতারে পানির চাহিদা ১০ শতাংশ বাড়তে পারে৷ বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে সেই দেশে যাওয়া প্রায় ১২ লক্ষ সমর্থক ও মাঠের ঘাস পরিচর্যায় এই পানি প্রয়োজন৷ কাতার ও ফিফা অঙ্গীকার করেছে, বিশ্বকাপের আয়োজন জলবায়ুর উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না৷ আয়োজকরা জানিয়েছে, আট স্টেডিয়ামের টয়লেটে এবং স্টেডিয়াম ধুলামুক্ত রাখতে রিসাইকেল করা পানি ব্যবহার করা হবে৷